Ajker Patrika

অধিকার পেতে বাবার কাছে ছেলের আকুতি

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
অধিকার পেতে বাবার কাছে ছেলের আকুতি

বগুড়ার নন্দীগ্রামে বাবার অধিকার ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন সামিউল ইসলাম রঞ্জু (৩৬) নামের এক যুবক। তিনি উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের গুলিয়া কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সামিউল ইসলাম রঞ্জু বলেন, ‘আমার বাবার অনেক সম্পত্তি আছে। কিন্তু আমাকে ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালাতে হয়। খুব কষ্টে চলে আমার সংসার। বাবা কখনো খোঁজখবর নেন না। এ জন্যই বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বাবা আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দেননি। আমার প্রাপ্য অধিকার পেতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

সামিউল ইসলাম রঞ্জু বলেন, ‘আমার বাবা আব্দুস সালাম, মা রেহেনা বেগম। ১৯৮৫ সালে আমার জন্মের পর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়, বাবাও আরেক বিয়ে করেন। সেই থেকে আমি অসহায় অবস্থায় মামার বাড়িতে বেড়ে উঠেছি। এখন আমার বয়স ৩৬ বছর। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে অতিকষ্টে জীবনযাপন করছি। আমার বাবা প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে দিলে আমাকে আর্থিকভাবে এত কষ্ট করতে হতো না।’

সামিউল আরও বলেন, আগেও একাধিকবার তিনি বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। গত বুধবার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এই আবেদন জানাতে তিনি বাবার বাড়ি যান। তবে এ সময় তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

আব্দুস সালাম একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি। আগের স্ত্রীর ঘরে সামিউলই একমাত্র সন্তান; পরের স্ত্রীর ঘরে রয়েছে তিনজন। আব্দুস সালাম বলেন, ‘সে আমারই সন্তান। সে বিয়ে করেছে, কিন্তু আমাকে কিছুই বলেনি।’ তবে ছেলেকে জমি দেওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দেননি।

স্থানীয় থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে। আমি তাদের আইনি সহায়তা নিতে বলেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত