বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা না করাতে পেরে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এনে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন হতদরিদ্র বাবা। অপেক্ষার শেষ হয় প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর। মারা যায় কিশোর সুমন। চোখের সামনে ছেলেকে মরতে দেখেন অসহায় বাবা!
আজ শনিবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের জুগিহার কাশিবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার সকালে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
সুমন (১৬) ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের জুগিহার বাঁশবাড়ী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
সরেজমিন জানা গেছে, তিন মাস আগে কাজের সন্ধানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় গিয়েছিলেন কিশোর সুমনসহ সীমান্তবর্তী ওই এলাকার ২৫-৩০ কিশোর। সেখানে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে চিওড়া সরকারি কলেজের ভবন নির্মাণে কাজের শ্রমিক ছিল তারা।
রমজানের শেষ দিকে ঈদের জন্য বাড়ি চলে আসে সবাই। যাতায়াতের খরচ বাঁচাতে বাড়িতে আসেনি কিশোর সুমন ও তার প্রতিবেশী জিলানী। সেখানে ঈদের পরদিন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হয় সুমন। সুমনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কৌশলে অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী খোকন মিয়া। সুমনকে রংপুরে নিয়ে আসেন প্রতিবেশী জিলানী।
রংপুরে পাঁচ দিন চিকিৎসার পর সুমনের স্বজনদের উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় বিশেষায়িত একটি ক্লিনিকে রেফার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে স্বজনেরা টাকার অভাবে সেখানে চিকিৎসা করাতে পারেননি। গতকাল বাড়িতে নিয়ে আসেন সুমনকে। আজ বেলা ১১টায় মারা যায় সুমন।
চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী স্বজনেরা জানতেন সুমন আর বাঁচবে না। কিন্তু বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসার খরচ বহন করার মতো সামর্থ্য তাঁদের নেই। তাই গতকাল দুপুর থেকে আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত মূলত সুমনের মৃত্যুর জন্য প্রহর গুনছিলেন তাঁরা।
সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য আইসিইউতে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে, এত টাকা কোথা থেকে পাব! এ জন্য গতকাল ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে এসে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম!’ অ্যাম্বুলেন্সে ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসার টাকা গ্রামবাসী চাঁদা তুলে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
সুমনের বাবা জানান, ঠিকাদার খোকন চিকিৎসা বাবদ ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এরপর আর খোঁজ নেননি। আজ সকালে মৃত্যুর খবর জানালে দাফনের পরামর্শ দিয়েছেন।
সুমনের সঙ্গে কাজ করতে যাওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদে সবাই বাড়ি ফিরলেও জিলানী ও সুমন সেখানেই ছিল। পরে তাঁরা শোনেন, সেখানে মারামারি হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সুমনকে। কেন, কী কারণে মারামারি হলো কেউ পরিষ্কার করে বলতে পারছেন না। তবে সুমনের মৃত্যুর পর থেকে জিলানীও গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানান তাঁরা।
সুমনের প্রতিবেশী শরিফ ও তাঁর স্বজনেরা জানান, ২৫ হাজার টাকা প্রতিদিন খরচ করতে হবে, এটা শোনার পর বাবা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। আজ রাতে খাওয়ার জন্য যে চাল, ডাল লাগবে সেটার জন্য গ্রামবাসীর কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। অভাবী বাবা চোখের সামনে ছেলেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেছেন। তাঁর কিছুই করার ছিল না!
পরিবারের কাছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক খোকলের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আজকের পত্রিকার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি ফোনে জানিয়েছেন, ওই ভবনের কাজ পেয়েছেন ফারুক আহমেদ মিয়াজী নামে এক ঠিকাদার। খোকন নামে কোনো ব্যক্তির অধীনে হয়তো সুমন শ্রমিকের কাজ করতেন। তিনি ঠিকাদার নন।
এরপর ঠিকাদার ফারুক আহমেদ মিয়াজীর নম্বরে কল করা হলে তিনিও রিসিভ করেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিঠু জানান, এলাকার মধ্যে সবচেয়ে অসহায় পরিবার সুমনদের। কোনোমতে খেয়েপরে বেঁচে আছে। চিকিৎসার জন্য টাকা নেই বলে ছেলেকে নিয়ে এসে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিল!
আমজানখোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আকালু (ডংগা) বলেন, ‘ঘটনাটি মর্মান্তিক। ছেলেটির চিকিৎসা করানো সামর্থ্য নেই তার বাবার। তাই বাধ্য হয়েছে এমন কাজ করতে। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সন্ধ্যায় তাকে দাফন করা হয়েছে।’
টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা না করাতে পেরে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এনে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন হতদরিদ্র বাবা। অপেক্ষার শেষ হয় প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর। মারা যায় কিশোর সুমন। চোখের সামনে ছেলেকে মরতে দেখেন অসহায় বাবা!
আজ শনিবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের জুগিহার কাশিবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার সকালে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
সুমন (১৬) ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের জুগিহার বাঁশবাড়ী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
সরেজমিন জানা গেছে, তিন মাস আগে কাজের সন্ধানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় গিয়েছিলেন কিশোর সুমনসহ সীমান্তবর্তী ওই এলাকার ২৫-৩০ কিশোর। সেখানে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে চিওড়া সরকারি কলেজের ভবন নির্মাণে কাজের শ্রমিক ছিল তারা।
রমজানের শেষ দিকে ঈদের জন্য বাড়ি চলে আসে সবাই। যাতায়াতের খরচ বাঁচাতে বাড়িতে আসেনি কিশোর সুমন ও তার প্রতিবেশী জিলানী। সেখানে ঈদের পরদিন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হয় সুমন। সুমনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কৌশলে অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী খোকন মিয়া। সুমনকে রংপুরে নিয়ে আসেন প্রতিবেশী জিলানী।
রংপুরে পাঁচ দিন চিকিৎসার পর সুমনের স্বজনদের উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় বিশেষায়িত একটি ক্লিনিকে রেফার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে স্বজনেরা টাকার অভাবে সেখানে চিকিৎসা করাতে পারেননি। গতকাল বাড়িতে নিয়ে আসেন সুমনকে। আজ বেলা ১১টায় মারা যায় সুমন।
চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী স্বজনেরা জানতেন সুমন আর বাঁচবে না। কিন্তু বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসার খরচ বহন করার মতো সামর্থ্য তাঁদের নেই। তাই গতকাল দুপুর থেকে আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত মূলত সুমনের মৃত্যুর জন্য প্রহর গুনছিলেন তাঁরা।
সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য আইসিইউতে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে, এত টাকা কোথা থেকে পাব! এ জন্য গতকাল ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে এসে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম!’ অ্যাম্বুলেন্সে ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসার টাকা গ্রামবাসী চাঁদা তুলে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
সুমনের বাবা জানান, ঠিকাদার খোকন চিকিৎসা বাবদ ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এরপর আর খোঁজ নেননি। আজ সকালে মৃত্যুর খবর জানালে দাফনের পরামর্শ দিয়েছেন।
সুমনের সঙ্গে কাজ করতে যাওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদে সবাই বাড়ি ফিরলেও জিলানী ও সুমন সেখানেই ছিল। পরে তাঁরা শোনেন, সেখানে মারামারি হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সুমনকে। কেন, কী কারণে মারামারি হলো কেউ পরিষ্কার করে বলতে পারছেন না। তবে সুমনের মৃত্যুর পর থেকে জিলানীও গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানান তাঁরা।
সুমনের প্রতিবেশী শরিফ ও তাঁর স্বজনেরা জানান, ২৫ হাজার টাকা প্রতিদিন খরচ করতে হবে, এটা শোনার পর বাবা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। আজ রাতে খাওয়ার জন্য যে চাল, ডাল লাগবে সেটার জন্য গ্রামবাসীর কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। অভাবী বাবা চোখের সামনে ছেলেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেছেন। তাঁর কিছুই করার ছিল না!
পরিবারের কাছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক খোকলের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আজকের পত্রিকার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি ফোনে জানিয়েছেন, ওই ভবনের কাজ পেয়েছেন ফারুক আহমেদ মিয়াজী নামে এক ঠিকাদার। খোকন নামে কোনো ব্যক্তির অধীনে হয়তো সুমন শ্রমিকের কাজ করতেন। তিনি ঠিকাদার নন।
এরপর ঠিকাদার ফারুক আহমেদ মিয়াজীর নম্বরে কল করা হলে তিনিও রিসিভ করেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিঠু জানান, এলাকার মধ্যে সবচেয়ে অসহায় পরিবার সুমনদের। কোনোমতে খেয়েপরে বেঁচে আছে। চিকিৎসার জন্য টাকা নেই বলে ছেলেকে নিয়ে এসে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিল!
আমজানখোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আকালু (ডংগা) বলেন, ‘ঘটনাটি মর্মান্তিক। ছেলেটির চিকিৎসা করানো সামর্থ্য নেই তার বাবার। তাই বাধ্য হয়েছে এমন কাজ করতে। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সন্ধ্যায় তাকে দাফন করা হয়েছে।’
পশ্চিম শিবরামপুর কোম্পানি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কিশোরী দিনাজপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে। এই ঘটনায় পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
৯ মিনিট আগেপিস্তল–গুলিসহ বাগেরহাটের রামপালে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারের একটি রাইস মিল থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে এক রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ২৫ রাউন্ড শটগানের গুলি উদ্ধার করা হয়। আজ (শনিবার) তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
৯ মিনিট আগেজনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কোটা প্রশাসন ক্যাডারের জন্য বরাদ্দ রাখা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান।
১২ মিনিট আগেখুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বিরাট গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জীবনে পরিবর্তনের আশা জাগাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ ‘প্রজেক্ট সমৃদ্ধি’। পুরোনো কাপড় আর পাটের সৃজনশীল ব্যবহারের মাধ্যমে শুধু পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরি নয় নারীদের স্বাবলম্বী করার পথ দেখাচ্ছে। পাশাপাশি, শিশুদের সৃজনশীল
১২ মিনিট আগে