বিচারক স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করেছেন আদালত, তদন্তে পিবিআই

রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২২, ২০: ০৩

রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক দেবাংশু কুমার সরকারের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা গ্রহণ করেছেন আদালতের বিচারক। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেওয়া হয়েছে। 

আজ রোববার বিকেলে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক মোস্তফা কামালের আদালতে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছে আদালত। 

যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলার আবেদন করেছিলেন স্ত্রী ডা. হৃদিতা সরকার। আগামী ৯ মে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি রফিক হাসনাইন। 

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ডা. হৃদিতা সরকার রংপুর মেডিকেল থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। হিন্দু আইন অনুয়ায়ী ২০১৫ সালের ১১ মে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বামী ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। সে সময় সন্তানের সুখের কথা ভেবে ৫০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ২৫ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী প্রদান করেন হৃদিতার পরিবার। বিয়ের কিছুদিন না যেতে পুনরায় একটি নতুন গাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন অভিযুক্ত দেবাংশু কুমার। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এর মধ্যে তার স্বামী রংপুর জজ হিসেবে বদলী হয়ে আসেন। 

গত ৮ মার্চ  সন্ধ্যায় বাদী ও তাঁর স্বজন এবং স্বাক্ষীরাসহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে দেবাংশু কুমার সরকারের সঙ্গে দেখা করার জন্য আসেন। এ সময় স্ত্রী ডা. হৃদিতা সরকারকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এরপর তাঁকে রমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  

সেখানে নিয়ে ২১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ হয়ে ১৭ এপ্রিল রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে যান। থানায় মামলা গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করতে বলে। মামলায় স্বামী দেবাংশু কুমার সরকারসহ শ্বশুর শুধাংশ কুমার সরকার, নিলয় দে সরকার ও রঞ্জন সরকারকে আসামি করা হয়। 

পিপি রফিক হাসনাইন জানান, রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত