ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে দাবি করা হচ্ছে, নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী ছিলেন। ‘ফরিদ ঢালী (Farid Dhali)’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আজ সন্ধ্যা ছয়টায় এমন দাবিতে একটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটিতে ঘণ্টা খানিকের মধ্যে চার শতাধিক রিয়েক্ট পড়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড, অপ ইন্ডিয়াসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমেও সাইফুল ইসলাম আলিফকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী দাবি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নিয়ে ফেসবুকসহ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ছড়ানো তথ্যটি সঠিক নয়। সাইফুল ইসলাম আলিফের মৃত্যু নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ দেশের প্রায় সবগুলো সংবাদমাধ্যমই খবর এসেছে।
সাইফুল ইসলাম আলিফের পরিচয় নিয়ে নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন লিখেছে, আলিফ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার জালাল উদ্দিনের ছেলে। চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এনামুল হকের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ‘নিহত সাইফুল ইসলাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, ‘চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় হতাহত আট জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। তার শরীরে কোপের আঘাত আছে।’
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এনামুল হক আজকের পত্রিকাকেও নিশ্চিত করেছেন সাইফুল ইসলাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল ২৪ সাইফুল ইসলামকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী উল্লেখ করে প্রতিবেদনে লিখেছে, নিহত সাইফুল ইসলাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।
সংবাদমাধ্যমটি অ্যাডভোকেট মোক্তার উদ্দিন সাগর নামে এক আইনজীবীর বরাত দিয়ে লিখেছে, ‘আমার চোখের সামনে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কোপানো হয়েছে।’
বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে শুভাশীষ শর্মা।
সাইফুল ইসলামের নিহতের ঘটনা নিয়ে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী দৈনিক প্রথম আলোকে বলেন, বিক্ষোভকারীরা আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে চেম্বারের নিচ থেকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবি প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে লিখেছে, আদালতের নিচতলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা সাইফুল ইসলামকে পার্শ্ববর্তী জঙ্গল সিনেমা লেনে নিয়ে গিয়ে মারধরের পর কুপিয়ে হত্যা করে।
এসব প্রতিবেদন থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, চট্টগ্রামে আজ মঙ্গলবার সংঘর্ষে নিহত সাইফুল ইসলাম আলিফ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নয় বরং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এবং তিনি পুলিশের গুলিতে মারা যাননি। তাঁকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা কুপিয়ে হত্যা করেছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার নিউমার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে হওয়া মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাঁকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর আদালতে তার জামিনের শুনানির সময় নির্ধারিত ছিল। আদালতে শুনানি শেষে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন না মঞ্জুর করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারায় প্রিজন ভ্যানে ওঠানো হয়। তবে তাঁর অনুসারীদের বাধার কারণে প্রিজন ভ্যানটি আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হতে পারেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা প্রিজন ভ্যান আটকে রাখার পর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে দাবি করা হচ্ছে, নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী ছিলেন। ‘ফরিদ ঢালী (Farid Dhali)’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আজ সন্ধ্যা ছয়টায় এমন দাবিতে একটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটিতে ঘণ্টা খানিকের মধ্যে চার শতাধিক রিয়েক্ট পড়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড, অপ ইন্ডিয়াসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমেও সাইফুল ইসলাম আলিফকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী দাবি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নিয়ে ফেসবুকসহ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ছড়ানো তথ্যটি সঠিক নয়। সাইফুল ইসলাম আলিফের মৃত্যু নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ দেশের প্রায় সবগুলো সংবাদমাধ্যমই খবর এসেছে।
সাইফুল ইসলাম আলিফের পরিচয় নিয়ে নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন লিখেছে, আলিফ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার জালাল উদ্দিনের ছেলে। চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এনামুল হকের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ‘নিহত সাইফুল ইসলাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, ‘চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় হতাহত আট জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। তার শরীরে কোপের আঘাত আছে।’
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এনামুল হক আজকের পত্রিকাকেও নিশ্চিত করেছেন সাইফুল ইসলাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল ২৪ সাইফুল ইসলামকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী উল্লেখ করে প্রতিবেদনে লিখেছে, নিহত সাইফুল ইসলাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।
সংবাদমাধ্যমটি অ্যাডভোকেট মোক্তার উদ্দিন সাগর নামে এক আইনজীবীর বরাত দিয়ে লিখেছে, ‘আমার চোখের সামনে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কোপানো হয়েছে।’
বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে শুভাশীষ শর্মা।
সাইফুল ইসলামের নিহতের ঘটনা নিয়ে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী দৈনিক প্রথম আলোকে বলেন, বিক্ষোভকারীরা আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে চেম্বারের নিচ থেকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবি প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে লিখেছে, আদালতের নিচতলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা সাইফুল ইসলামকে পার্শ্ববর্তী জঙ্গল সিনেমা লেনে নিয়ে গিয়ে মারধরের পর কুপিয়ে হত্যা করে।
এসব প্রতিবেদন থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, চট্টগ্রামে আজ মঙ্গলবার সংঘর্ষে নিহত সাইফুল ইসলাম আলিফ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নয় বরং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এবং তিনি পুলিশের গুলিতে মারা যাননি। তাঁকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা কুপিয়ে হত্যা করেছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার নিউমার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে হওয়া মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাঁকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর আদালতে তার জামিনের শুনানির সময় নির্ধারিত ছিল। আদালতে শুনানি শেষে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন না মঞ্জুর করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারায় প্রিজন ভ্যানে ওঠানো হয়। তবে তাঁর অনুসারীদের বাধার কারণে প্রিজন ভ্যানটি আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হতে পারেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা প্রিজন ভ্যান আটকে রাখার পর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে দুটি বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যমের ভিডিও প্রতিবেদন শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ‘আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশের সব বিচারিক আদালতে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।’
৯ ঘণ্টা আগেইউটিউবে ‘Chetona।। চেতনা’ নামের একটি চ্যানেলে ‘ভয়ংকর তথ্য, মাহফুজ আফগান ট্রেনিংপ্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক।’ শিরোনামে পোস্ট করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন পোস্টেও সূত্র হিসেবে এই ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। গত শনিবার (২৩ নভেম্বর) প্রায় ৯ মিনিটের ভিডিওটি চ্যানেলটিতে পোস্ট করা হয়।
১ দিন আগেনোয়াখালী সদর উপজেলার দুই নং দাদপুর নলুয়া বাজার এলাকায় তিন যুবলীগ নেতা–কর্মী নির্যাতন করে হত্যা করার দাবিতে ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিগুলোর একটিতে দেখা যাচ্ছে, তিন ব্যক্তিকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন প্রায় অর্ধনগ্ন। একটিতে ছবিতে একজনের চেহারা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। আরেকটি ছবিতে কিরিচ ও
১ দিন আগেফ্যাক্টচেক, সোশ্যাল মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভাইরাল, ভুয়া পোস্ট, সংঘর্ষ, রাজধানী, সেনাবাহিনী, বিক্ষোভ, রিকশা
২ দিন আগে