‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান দিয়ে নীলফামারীতে অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯: ২১
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২০: ২৭
Thumbnail image
নীলফামারীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান দিয়ে নীলফামারী সদর উপজেলার একটি স্কুল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার সদর উপজেলার বাবরীঝাড় স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সন্ধ্যায় ওই স্কুল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় যুবকেরা। এতে স্থানীয় শিল্পী ছাড়াও রংপুরের শিল্পীদের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তবে শুরুর আগেই তোপের মুখে ভন্ডুল হয়ে যায় অনুষ্ঠানটি। এ সময় কয়েকজন যুবক মঞ্চে উঠে ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিতে থাকেন।

তবে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ‘ওই মাঠটি বিদ্যালয়ের মাঠ হলেও ঈদগাহ মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া মাঠের পাশেই রয়েছে মসজিদ। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করায় রুখে দিয়েছি।’

আয়োজক কমিটির সদস্য বাসু ইসলাম বলেন, ‘আমরা পুলিশ প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষ সবার অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এখানে চেয়ারম্যান ও জামায়াতের লোকজন অনুষ্ঠান পণ্ড করেছে। আমাদের প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল ভাঙচুর করেছে।’

নীলফামারীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর। ছবি: আজকের পত্রিকা
নীলফামারীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠান নিয়ে স্থানীয়রা কেউ কিছু বলেন নাই, পুরো ইন্ধনটা চেয়ারম্যান দিয়েছেন। তাঁদের এসব করার উদ্দেশ্য কী? এটাই জানতে চাই আমরা। আমাদের এই ক্ষতিপূরণ তাঁদেরই দিতে হবে।’

জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মু. জাহাঙ্গীর আলম শাহ্ ফকির বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমার ইউনিয়নে কোনো সংঘাত হোক এটা আমি আশা করি নাই। কাউকে সংঘাতে জড়ানোর সুযোগও দিই নাই, কেউ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ুক সেটাও আমি চাইনি। সন্ধ্যায় সংঘাত হবে এটা আমি আশঙ্কা করেছিলাম। পরে আয়োজক ও স্থানীয়দের অনুরোধ করেছিলাম, কেউ সংঘাতে জড়িয়ে পড়বেন না। তাঁরা কেউ কথা রাখেননি, পরে পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।’

নীলফামারীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর। ছবি: আজকের পত্রিকা
নীলফামারীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর। ছবি: আজকের পত্রিকা

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। দুই পক্ষকে সমাধানের জন্য বসতে বলা হয়েছে। এখানে মূলত প্রোগ্রামের আগে আয়োজকেরা স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ ঠিকমতো করেননি। এ কারণে এমনটা হতে পারে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ প্রোগ্রাম স্থগিত থাকবে। সমাধান হলে প্রোগ্রামটি আবার হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত