স্কিপিং বা দড়ি লাফে ৩০ সেকেন্ডে ১৪৫ বার লাফিয়ে গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের মো. রাসেল। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ওয়ার্ল্ড গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের দেওয়া দুটি সনদ হাতে পেয়েছেন রাসেল। 

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠায় রাসেলকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। শনিবার (৩১ জুলাই) শহীদ মোহাম্মদ আলী ষ্টেডিয়ামে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রবীর কুমার গুপ্ত বুয়া প্রমুখ। 

১৮ বছর বয়সী রাসেল সদর উপজেলার হরিহরপুর ইউনিয়নের সিরাজ পাড়ার গ্রামের কৃষক বজলুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও শিবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগে লেখা পড়া করছেন তিনি। 

রাসেল জানায়, ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা তাঁর কাছে প্রিয়।  ইচ্ছে ছিল একদিন এই খেলা নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার। সেই থেকে বাসার আশপাশে বিভিন্ন সড়কের ধারে যখন যেখানে সময় পেয়েছে সেখানেই স্কিপিং রোপের চর্চা করেছে সে। অবশেষে, নিজেকে এই খেলায় পরিপূর্ণ মনে হলে ২০১৯ সালে অনলাইনের মাধ্যমে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করে রাসেল। স্কিপিং রোপে এক পায়ের ওপর দুটি বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করে সে। একটি ৩০ সেকেন্ডের অন্যটি এক মিনিটের। 

এক পায়ে ৩০ সেকেন্ড স্কিপিং রোপে ১৪৪ বার লাফানোর বিশ্ব রেকর্ড থাকলেও রাসেল করেছেন ১৪৫ বার। আর ১ মিনিটে এক পায়ে ২৫৬ বার লাফানোর বিশ্ব রেকর্ড থাকলেও রাসেল পেড়েছেন ২৫৮ বার। গত বৃহস্পতিবার পোস্ট অফিসের মাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দুটি সনদপত্র হাতে পায় রাসেল। 

নতুন কোন লক্ষ্য আছে কী-না জানতে চাইলে রাসেল বলে, তাঁর লক্ষ্য এখন সাউথ এশিয়ান গেমস ও আন্তর্জাতিকভাবে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে খেলায় অংশগ্রহণ করা।

রাসেলের বাবা বজলুর রহমান বলেন, ছোটবেলা থেকেই রাসেল খেলাধুলার প্রতি খুব আগ্রহী। তবে এ রেকর্ডের জন্য সে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি আমি ওকে উৎসাহিত করেছি। আজ ওর সাফল্যে আমরা খুবই আনন্দিত। 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রাসেলের এ রেকর্ড আমাদের গর্বিত করেছে। ভবিষ্যতে রাসেলকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দিতে আমরা প্রস্তুত। 

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু বলেন, রাসেলের সাফল্য দেশের জন্য বয়ে এনেছে সুনাম। তাতে আমরা দারুণ খুশি। তাঁর সাফল্যে বিশ্বব্যাপী দেশের নাম ছড়িয়ে পড়বে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে আজ ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে পরবর্তীতে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।