গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিভিন্ন অভিযোগে কয়েকটি সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। এতে পানির অভাবে প্রায় ২০০ বিঘা জমির বোরো ধানের আবাদ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস জানায়, বিভিন্ন অভিযোগে সর্বশেষ সাতটি সেচ পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ না নিয়ে অনেকে সেচ পাম্প চালাচ্ছেন। সেচ পাম্পের লাইসেন্স ও বৈধতা না থাকলে যেকোনো মুহূর্তে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
কৃষকদের দাবি, সেচ পাম্পের মালিকেরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একে অপরের বিরুদ্ধে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ করায় সেচ পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ অফিস। যেসব এলাকায় সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, সেখানে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। খেতে ঠিকমতো সেচ দিতে না পারলে ফলন ভালো হবে না। এতে তাঁদের লোকসানে পড়তে হবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজীবপুর ছাতানের ডাঙ্গী, রামজীবনের সূবর্ণদহ ও হরিপুর ইউনিয়নের চারিতাবাড়ী বিলে গিয়ে দেখা গেছে, দুই শতাধিক বিঘা জমির ধান আধা পাকা অবস্থায় রয়েছে। ধান কাটতে প্রায় ২০ দিনের মতো সময় লাগবে। ধানের ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু শেষ সময়ে এসে সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় কৃষকেরা ধানের জমিতে পর্যাপ্ত পানি দিতে পারছেন না। যদিও কৃষি বিভাগ বলছে, ভালো ফলনের জন্য, ধানের জমিতে নিয়মিত সেচ দিতে হবে।
দক্ষিণ রাজীবপুর গ্রামের ছাতানের ডাঙ্গী বিল এলাকার ফরিদ মিয়া বলেন, ‘আলু তুলে উচ্চফলনশীল তিন বিঘা জমিতে ধান লাগানো হয়েছে। আমার জমিতে ধান কাটতে আরও সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ দিন। স্থানীয় দুই সেচ পাম্পের মালিকের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে বিদ্যুৎ অফিস থেকে সংযোগ কেটে দিয়ে যায়। প্রায় ১০ দিন জমিতে পানি দিতে পারি নাই। ধানে পানি ঠিকমতো না দিলে শুধু চিটা হবে।’
ছাতানের ডাঙ্গী বিল এলাকার কৃষক মাহাবুর রহমান বলেন, ‘পাঁচ বিঘা হিরা ধান লাগাইছি। প্রতিদিন বিদ্যুৎ অফিস থেকে লাইন কাটতে আসে। আর হামরা সোক কৃষকগুলো দিয়ে বাধা দিই। কন তো তোমরা, এলা একটি হুরুস করে লাইন কোনা কাটে দিয়ে গেলে তোমরাই কন তো এই কলাপাকা ধানগুলো ঘরোত তুলমো ক্যামনে?’
রামজীবন সুবর্ণদহের কৃষক মো. জহুরল ইসলাম টুটুল বলেন, ‘এক মাস ধরে সেচ পাম্পের বিদ্যুতের লাইন কেটে নিয়ে গেছে। মোটরের মালিক শ্যালোমেশিন দিয়ে জমিতে পানি ঠিকমতো দেয় না। তেলের দাম বেশি, তাই জোরও করা যায় না। শরিষা তুলে জমি লাইছি এই জন্য ধান নমলা হইছে। ধানের ফলন ভালো না হলে সারাটা বছর খাবার নিয়ে কষ্টে ভুগতে হবে।’
রামজীবন সুবর্ণদহ এলাকার সেচ পাম্পের মালিক পরিমল চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসের এক ইলেকট্রিশিয়ানের মাধ্যমে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়, আমি দিই নাই। আমার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ বে লাইন কোনা কাটে দেয়। কাগজের মেয়াদ যে শেষ ধান গাড়ার আগে বললেই তো কাগজ ঠিক নিলাম হয়, না হয় এবার স্কিম চালালাম। অর্ধেক সময়ে এসে বিদ্যুতের লাইন কাটে দিয়ে আমার ব্যাপক ক্ষতি করা হয়েছে।’
দক্ষিণ রাজীবপুর ছাতানের ডাঙ্গী এলাকার সেচ পাম্পের মালিক মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ঘুষের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় আমাদের সঙ্গে তাঁরা অত্যাচার শুরু করছে। একদিকে লাইন কাটা নিয়ে চিন্তা, অন্যদিকে জমিতে ঠিকমতো পানি না দেওয়ার কারণে কৃষকেরা হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। ধানের ফলন ভালো না হলে বা কোনো ধরনের ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ চাচ্ছেন কৃষকেরা।’
সুন্দরগঞ্জ-১ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আব্দুল বারী বলেন, ‘উপজেলায় ৩ হাজার ৪০০-এর মতো সেচ পাম্পে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া আছে। অনেকে অবৈধভাবে সেচ পাম্প চালাচ্ছে। যাদের নিয়ে অভিযোগ পাচ্ছি, তাদের সংযোগ বন্ধ করা হচ্ছে। কেউ নিয়মনীতির বাইরে সেচ পাম্প চালু করলে আর আমাদের চোখে ধরা পড়লে সংযোগ বন্ধ করব। এতে ফসলের কোনো সমস্যা হলে আমার করার কিছু নেই।’
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেচ পাম্প-সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। ডিজিএম সাহেবকে বলে দিচ্ছি, কোনো কৃষকের ক্ষতি করে যেন বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা না হয়।’ কমিটি কর্তৃক যাচাই-বাছাই করে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিভিন্ন অভিযোগে কয়েকটি সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। এতে পানির অভাবে প্রায় ২০০ বিঘা জমির বোরো ধানের আবাদ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস জানায়, বিভিন্ন অভিযোগে সর্বশেষ সাতটি সেচ পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ না নিয়ে অনেকে সেচ পাম্প চালাচ্ছেন। সেচ পাম্পের লাইসেন্স ও বৈধতা না থাকলে যেকোনো মুহূর্তে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
কৃষকদের দাবি, সেচ পাম্পের মালিকেরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একে অপরের বিরুদ্ধে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ করায় সেচ পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ অফিস। যেসব এলাকায় সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, সেখানে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। খেতে ঠিকমতো সেচ দিতে না পারলে ফলন ভালো হবে না। এতে তাঁদের লোকসানে পড়তে হবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজীবপুর ছাতানের ডাঙ্গী, রামজীবনের সূবর্ণদহ ও হরিপুর ইউনিয়নের চারিতাবাড়ী বিলে গিয়ে দেখা গেছে, দুই শতাধিক বিঘা জমির ধান আধা পাকা অবস্থায় রয়েছে। ধান কাটতে প্রায় ২০ দিনের মতো সময় লাগবে। ধানের ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু শেষ সময়ে এসে সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় কৃষকেরা ধানের জমিতে পর্যাপ্ত পানি দিতে পারছেন না। যদিও কৃষি বিভাগ বলছে, ভালো ফলনের জন্য, ধানের জমিতে নিয়মিত সেচ দিতে হবে।
দক্ষিণ রাজীবপুর গ্রামের ছাতানের ডাঙ্গী বিল এলাকার ফরিদ মিয়া বলেন, ‘আলু তুলে উচ্চফলনশীল তিন বিঘা জমিতে ধান লাগানো হয়েছে। আমার জমিতে ধান কাটতে আরও সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ দিন। স্থানীয় দুই সেচ পাম্পের মালিকের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে বিদ্যুৎ অফিস থেকে সংযোগ কেটে দিয়ে যায়। প্রায় ১০ দিন জমিতে পানি দিতে পারি নাই। ধানে পানি ঠিকমতো না দিলে শুধু চিটা হবে।’
ছাতানের ডাঙ্গী বিল এলাকার কৃষক মাহাবুর রহমান বলেন, ‘পাঁচ বিঘা হিরা ধান লাগাইছি। প্রতিদিন বিদ্যুৎ অফিস থেকে লাইন কাটতে আসে। আর হামরা সোক কৃষকগুলো দিয়ে বাধা দিই। কন তো তোমরা, এলা একটি হুরুস করে লাইন কোনা কাটে দিয়ে গেলে তোমরাই কন তো এই কলাপাকা ধানগুলো ঘরোত তুলমো ক্যামনে?’
রামজীবন সুবর্ণদহের কৃষক মো. জহুরল ইসলাম টুটুল বলেন, ‘এক মাস ধরে সেচ পাম্পের বিদ্যুতের লাইন কেটে নিয়ে গেছে। মোটরের মালিক শ্যালোমেশিন দিয়ে জমিতে পানি ঠিকমতো দেয় না। তেলের দাম বেশি, তাই জোরও করা যায় না। শরিষা তুলে জমি লাইছি এই জন্য ধান নমলা হইছে। ধানের ফলন ভালো না হলে সারাটা বছর খাবার নিয়ে কষ্টে ভুগতে হবে।’
রামজীবন সুবর্ণদহ এলাকার সেচ পাম্পের মালিক পরিমল চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসের এক ইলেকট্রিশিয়ানের মাধ্যমে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়, আমি দিই নাই। আমার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ বে লাইন কোনা কাটে দেয়। কাগজের মেয়াদ যে শেষ ধান গাড়ার আগে বললেই তো কাগজ ঠিক নিলাম হয়, না হয় এবার স্কিম চালালাম। অর্ধেক সময়ে এসে বিদ্যুতের লাইন কাটে দিয়ে আমার ব্যাপক ক্ষতি করা হয়েছে।’
দক্ষিণ রাজীবপুর ছাতানের ডাঙ্গী এলাকার সেচ পাম্পের মালিক মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ঘুষের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় আমাদের সঙ্গে তাঁরা অত্যাচার শুরু করছে। একদিকে লাইন কাটা নিয়ে চিন্তা, অন্যদিকে জমিতে ঠিকমতো পানি না দেওয়ার কারণে কৃষকেরা হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। ধানের ফলন ভালো না হলে বা কোনো ধরনের ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ চাচ্ছেন কৃষকেরা।’
সুন্দরগঞ্জ-১ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আব্দুল বারী বলেন, ‘উপজেলায় ৩ হাজার ৪০০-এর মতো সেচ পাম্পে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া আছে। অনেকে অবৈধভাবে সেচ পাম্প চালাচ্ছে। যাদের নিয়ে অভিযোগ পাচ্ছি, তাদের সংযোগ বন্ধ করা হচ্ছে। কেউ নিয়মনীতির বাইরে সেচ পাম্প চালু করলে আর আমাদের চোখে ধরা পড়লে সংযোগ বন্ধ করব। এতে ফসলের কোনো সমস্যা হলে আমার করার কিছু নেই।’
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেচ পাম্প-সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। ডিজিএম সাহেবকে বলে দিচ্ছি, কোনো কৃষকের ক্ষতি করে যেন বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা না হয়।’ কমিটি কর্তৃক যাচাই-বাছাই করে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
মূল সড়কে অটোরিকশা চালানোর দাবিতে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় চালকেরা বিক্ষোভ করলে মারধরের শিকার হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা তাঁদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে...
২৫ মিনিট আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
১ ঘণ্টা আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
২ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
২ ঘণ্টা আগে