রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে কোনো দিকে লক্ষ না করে শাবল দিয়ে এক নিশানায় মাটি খুঁড়ে যাচ্ছে একদল মানুষ। উদ্দেশ্য, মাটি খুঁড়লেই পাওয়া যেতে পারে স্বর্ণ। তাই কোনো দিকে না তাকিয়ে মাথা নিচু করে চলছে মাটি খনন। ঘটনাটি ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার একটি ইটভাটায়।
রাণীশংকৈল সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বাচোর ইউনিয়নের রাজোর এলাকায় অবস্থিত আরবিবি ব্রিক্স ইটভাটা। এক মাসে আগে কথা উঠে এই ইটভাটায় স্তূপ করে রাখা মাটি খুঁড়লেই মিলছে স্বর্ণের বিভিন্ন অংশ। এ কথা ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ দিন–রাত সমানতালে মাটি খননে নেমে পড়েন।
আজ শনিবার বিকেলে আরবিবি ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটাটির পূর্ব দিকে দুটি ও পশ্চিম পাশে একটি মাটির স্তূপ রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি মানুষের জটলা। সে জটলার মধ্যেই ছোট শাবল ও কোদাল দিয়ে আস্তে আস্তে মাটি খনন করে বাছাই করছেন বয়স্ক, যুবক, কিশোর, কিশোরীসহ বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষেরা।
এ সময় শ্রাবন্তী নামের এক নারীর সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, হরিপুর উপজেলার কামারপুকুর এলাকা থেকে দুই দিন ধরে এখানে এসে মাটি খনন করছেন। তিনি কোনো সোনা পাননি। কিন্তু তাঁর সামনে দুজন দুটি কানের দুল পেয়েছেন।
নুরুল নামের এক তরুণ হরিপুর উপজেলা থেকে এসেছেন। তিনি জানান, সারা দিন মাটি খুঁড়েছেন, তবে সোনা পাননি। তিনি শুনেছেন অনেকে পেয়েছেন, তাই তিনিও মাটি খনন করছেন।
নানি আফরোজার সঙ্গে কিশোরী আঁখি এসেছে মাটি খুঁড়তে। সে জানায়, যদি স্বর্ণ খুঁজে পায়, তাহলে সেটি বিক্রি করে নতুন জামা–কাপড় কিনবে।
এদিকে কাতিহার এলাকার লিটন আলী নামের এক যুবক স্বর্ণ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি ও তাঁর বড় ভাই মাটি খনন করে ৩ ভরি ১০ আনা ৩৫ পয়েন্ট ওজনের একটি দুল পেয়েছিলেন। সেটি তাঁরা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন।
সেখানে কথা হয় কাতিহার এলাকার নারায়ণের সঙ্গে। তিনি বলেন, কাতিহারের পরিত্যক্ত শ্যামরাই কালীমন্দিরের আশপাশে অনেক দামি জিনিসপত্র মাটির নিচে রয়েছে। এটি প্রচলিত। সেই মন্দিরের আশপাশের জমি খনন করে এ মাটি আনা হয়েছে। কেউ একজন নাকি মাটি খননের সময় স্বর্ণের বালা পেয়েছে। সে কথা ছড়িয়ে পড়লেই তিনিও সবার মতো এসেছেন এসেছে স্বর্ণের সন্ধানে।
আরবিবি ইটভাটার পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, কাতিহার শ্যামরাই মন্দিরসহ আরও আশপাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তূপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে ওই মাটির স্তূপ থেকে নাকি স্বর্ণের জিনিস পাওয়া গেছে। এর পর থেকেই সাধারণ মানুষ দিন–রাত ওই মাটির স্তূপ খনন করে যাচাই–বাছাই শুরু করেছে। তবে কেউ স্বর্ণের কোনো অংশ পেয়েছে, এমন খবর তাঁর কাছে নেই। তবে সাধারণ মানুষকে ভাটার মালিক থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। মানুষ দলে দলে আসছেই। বাধ্য হয়ে তিনি মাটি খনন অনেকটা উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, মাটি খননের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। শিগগির এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে কোনো দিকে লক্ষ না করে শাবল দিয়ে এক নিশানায় মাটি খুঁড়ে যাচ্ছে একদল মানুষ। উদ্দেশ্য, মাটি খুঁড়লেই পাওয়া যেতে পারে স্বর্ণ। তাই কোনো দিকে না তাকিয়ে মাথা নিচু করে চলছে মাটি খনন। ঘটনাটি ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার একটি ইটভাটায়।
রাণীশংকৈল সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে বাচোর ইউনিয়নের রাজোর এলাকায় অবস্থিত আরবিবি ব্রিক্স ইটভাটা। এক মাসে আগে কথা উঠে এই ইটভাটায় স্তূপ করে রাখা মাটি খুঁড়লেই মিলছে স্বর্ণের বিভিন্ন অংশ। এ কথা ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ দিন–রাত সমানতালে মাটি খননে নেমে পড়েন।
আজ শনিবার বিকেলে আরবিবি ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটাটির পূর্ব দিকে দুটি ও পশ্চিম পাশে একটি মাটির স্তূপ রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন শ্রেণি মানুষের জটলা। সে জটলার মধ্যেই ছোট শাবল ও কোদাল দিয়ে আস্তে আস্তে মাটি খনন করে বাছাই করছেন বয়স্ক, যুবক, কিশোর, কিশোরীসহ বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষেরা।
এ সময় শ্রাবন্তী নামের এক নারীর সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, হরিপুর উপজেলার কামারপুকুর এলাকা থেকে দুই দিন ধরে এখানে এসে মাটি খনন করছেন। তিনি কোনো সোনা পাননি। কিন্তু তাঁর সামনে দুজন দুটি কানের দুল পেয়েছেন।
নুরুল নামের এক তরুণ হরিপুর উপজেলা থেকে এসেছেন। তিনি জানান, সারা দিন মাটি খুঁড়েছেন, তবে সোনা পাননি। তিনি শুনেছেন অনেকে পেয়েছেন, তাই তিনিও মাটি খনন করছেন।
নানি আফরোজার সঙ্গে কিশোরী আঁখি এসেছে মাটি খুঁড়তে। সে জানায়, যদি স্বর্ণ খুঁজে পায়, তাহলে সেটি বিক্রি করে নতুন জামা–কাপড় কিনবে।
এদিকে কাতিহার এলাকার লিটন আলী নামের এক যুবক স্বর্ণ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি ও তাঁর বড় ভাই মাটি খনন করে ৩ ভরি ১০ আনা ৩৫ পয়েন্ট ওজনের একটি দুল পেয়েছিলেন। সেটি তাঁরা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন।
সেখানে কথা হয় কাতিহার এলাকার নারায়ণের সঙ্গে। তিনি বলেন, কাতিহারের পরিত্যক্ত শ্যামরাই কালীমন্দিরের আশপাশে অনেক দামি জিনিসপত্র মাটির নিচে রয়েছে। এটি প্রচলিত। সেই মন্দিরের আশপাশের জমি খনন করে এ মাটি আনা হয়েছে। কেউ একজন নাকি মাটি খননের সময় স্বর্ণের বালা পেয়েছে। সে কথা ছড়িয়ে পড়লেই তিনিও সবার মতো এসেছেন এসেছে স্বর্ণের সন্ধানে।
আরবিবি ইটভাটার পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, কাতিহার শ্যামরাই মন্দিরসহ আরও আশপাশ থেকে মাটি খনন করে ইটভাটায় স্তূপ করা হয়েছে। গুজব উঠেছে ওই মাটির স্তূপ থেকে নাকি স্বর্ণের জিনিস পাওয়া গেছে। এর পর থেকেই সাধারণ মানুষ দিন–রাত ওই মাটির স্তূপ খনন করে যাচাই–বাছাই শুরু করেছে। তবে কেউ স্বর্ণের কোনো অংশ পেয়েছে, এমন খবর তাঁর কাছে নেই। তবে সাধারণ মানুষকে ভাটার মালিক থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। মানুষ দলে দলে আসছেই। বাধ্য হয়ে তিনি মাটি খনন অনেকটা উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, মাটি খননের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। শিগগির এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব এলাকার সাহেলা বেগম নিজের ও তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ফেরত যেতে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে চরমথুরার শ্বাসকষ্টের রোগী আবুল কালাম সকাল ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টার সময়ও চিকিৎসক দেখাতে
১২ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই কারণে সিটি করপোরেশনের স্থায়ী দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১৮ মিনিট আগেরাজধানী ঢাকার যানজট কমাতে নেওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) এই প্রকল্পের ঠিকাদারদের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা অবসানের পর শুরু হচ্ছে নতুন ধাপ, এতে গুরুত্ব দেওয়া হবে পান্থকুঞ্জ থেকে বুয়েট পর্যন্ত অংশ।
২ ঘণ্টা আগেথানা হলো জনসাধারণকে সেবা প্রদানের মূল কেন্দ্রস্থল। পুলিশের কাজ হচ্ছে জনগণকে সেবা দেওয়া। আমরা সম্মানিত নগরবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। থানায় আসা একজন ব্যক্তিও যেন সেবা বঞ্চিত না হন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে...
২ ঘণ্টা আগে