কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
‘স্বামীসহ ভাত আমি খাচ্ছিলাম। হঠাৎ তাঁর মোবাইল ফোনে কল আসে। ভাতের প্লেট রেখে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। পরে খবর শুনে হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার স্বামী আর নাই!’ এভাবেই স্বামী সেলিম মিয়ার (৪৫) মৃত্যুর খবরের কথা বলছিলেন জেসমিন বেগম। হাসপাতালে থাকা নিথর দেহ দেখিয়ে আহাজারি করছিলেন তিনি। অথচ মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে তাঁরা একসঙ্গে ভাত খাচ্ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার নাজিরা ব্যাপারীপাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় মাথায় ও শরীরে গুরুতর আঘাত পেয়ে প্রাণ হারান সেলিম মিয়া। তিনি ওই গ্রামের মৃত বদরুজ্জামান বাদশাহ মিয়ার একমাত্র ছেলে। এই ঘটনায় দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, ব্যাপারীপাড়া গ্রামের স্থানীয় কুদরতের বাড়ির পাশে আব্দুল আহাদ নামের এক ব্যক্তির বাড়ি নির্মাণকাজ চলছিল। ওই নির্মাণকাজ দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন সেলিম ও তাঁর চাচাতো ভাই জামাল। আজ দুপুরে সীমানা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বাড়ির নির্মাণকাজে বাধা দেন কুদরত ও কাওছার আলী। এ নিয়ে জামাল ও বাড়ির নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান তাঁরা। খবর পেয়ে সেলিম সেখানে গিয়ে জামাল, কুদরত ও কাওছারকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে কুদরত ও কাওছারের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে সেলিম ও জামালের ওপর হামলা করেন। এ সময় মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যান সেলিম। জামালের হাত ভেঙে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন আরও জানান, স্থানীয়রা সেলিম ও জামালকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে কুদরতসহ কয়েকজন পালিয়ে যান। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ কুদরতের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩২), ভাই লিয়াকত আলী (৪০) ও আরেক ভাই কাওছারের স্ত্রী মল্লিকা বেগমকে (৪০) আটক করে থানায় আনে।
হামলায় আহত জামাল বলেন, ‘আমি ও সেলিম বাড়ি তৈরির কাজ দেখাশোনা করি। কিন্তু আজ দুপুরে কাওছার ও কুদরত নির্মাণকাজে বাধা দেন। পরে হঠাৎ তাঁরা আমাদের ওপর হামলা করেন। এ সময় তাঁদের লাঠির আঘাতে সেলিম মারা যান। সামান্য বিষয় নিয়ে ওরা আমার ভাইটাকে মারি ফেলল। আমি তাঁদের বিচার চাই।’
নিহত সেলিমের মামা আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, ‘অন্যের বিবাদ থামাতে গিয়ে সেলিম প্রাণ হারিয়েছেন। ওর ঘরে স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। আমরা এই ঘটনায় থানায় মামলা করব।’
ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘স্বামীসহ ভাত আমি খাচ্ছিলাম। হঠাৎ তাঁর মোবাইল ফোনে কল আসে। ভাতের প্লেট রেখে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। পরে খবর শুনে হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার স্বামী আর নাই!’ এভাবেই স্বামী সেলিম মিয়ার (৪৫) মৃত্যুর খবরের কথা বলছিলেন জেসমিন বেগম। হাসপাতালে থাকা নিথর দেহ দেখিয়ে আহাজারি করছিলেন তিনি। অথচ মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে তাঁরা একসঙ্গে ভাত খাচ্ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার নাজিরা ব্যাপারীপাড়া গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় মাথায় ও শরীরে গুরুতর আঘাত পেয়ে প্রাণ হারান সেলিম মিয়া। তিনি ওই গ্রামের মৃত বদরুজ্জামান বাদশাহ মিয়ার একমাত্র ছেলে। এই ঘটনায় দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, ব্যাপারীপাড়া গ্রামের স্থানীয় কুদরতের বাড়ির পাশে আব্দুল আহাদ নামের এক ব্যক্তির বাড়ি নির্মাণকাজ চলছিল। ওই নির্মাণকাজ দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন সেলিম ও তাঁর চাচাতো ভাই জামাল। আজ দুপুরে সীমানা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বাড়ির নির্মাণকাজে বাধা দেন কুদরত ও কাওছার আলী। এ নিয়ে জামাল ও বাড়ির নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান তাঁরা। খবর পেয়ে সেলিম সেখানে গিয়ে জামাল, কুদরত ও কাওছারকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে কুদরত ও কাওছারের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে সেলিম ও জামালের ওপর হামলা করেন। এ সময় মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যান সেলিম। জামালের হাত ভেঙে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন আরও জানান, স্থানীয়রা সেলিম ও জামালকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে কুদরতসহ কয়েকজন পালিয়ে যান। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ কুদরতের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩২), ভাই লিয়াকত আলী (৪০) ও আরেক ভাই কাওছারের স্ত্রী মল্লিকা বেগমকে (৪০) আটক করে থানায় আনে।
হামলায় আহত জামাল বলেন, ‘আমি ও সেলিম বাড়ি তৈরির কাজ দেখাশোনা করি। কিন্তু আজ দুপুরে কাওছার ও কুদরত নির্মাণকাজে বাধা দেন। পরে হঠাৎ তাঁরা আমাদের ওপর হামলা করেন। এ সময় তাঁদের লাঠির আঘাতে সেলিম মারা যান। সামান্য বিষয় নিয়ে ওরা আমার ভাইটাকে মারি ফেলল। আমি তাঁদের বিচার চাই।’
নিহত সেলিমের মামা আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, ‘অন্যের বিবাদ থামাতে গিয়ে সেলিম প্রাণ হারিয়েছেন। ওর ঘরে স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। আমরা এই ঘটনায় থানায় মামলা করব।’
ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের অভিযানে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ৩৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাত ১২টা থেকে বুধবার (৫ মার্চ) রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৮ মিনিট আগেচাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মিঠামইন উপজেলা যুবদলের সভাপতি নৌশাদ শিকদারকে মারধর করেছে শহীদ জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক টুটুল ও জিয়া প্রজন্ম দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সজীবের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে মিঠামইন উপজেলার মিঠামইন বাজারের শিকদার গেস্টহাউসের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
১০ মিনিট আগেখাম ছাড়া নারী দিবসের চিঠি দেওয়ায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা ডলির ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছেন জামায়াতের এক কর্মী। এমনকি ওই কর্মকর্তাকে সালথা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। আজ বৃহস্পতিবার মহিলা কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে এ কথা বলেন ওয়ালি উজ জামান নামের এক ব্যক্তি।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের রাউজানে ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যার ঘটনায় আরাফাত মামুন ও বিপ্লব বড়ুয়া নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে আরাফাত মামুন রাউজানে যুবদলের নেতা হিসেবে পরিচিত। বিএনপির সক্রিয় রাজনীতি করলেও তাঁর কোনো পদ-পদবি নেই।
১ ঘণ্টা আগে