তিস্তার বুকে বালুচর, পায়ে হেঁটে পারাপার 

তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা (রংপুর) 
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ২৩: ১৫

তিস্তার বুক এখন প্রায় পানিশূন্য। এক সময়ের প্রমত্তা তিস্তায় এখন যেন ধু ধু বালুচর। নাব্য হারিয়ে তিস্তা নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। দুই তীরের মানুষ পায়ে হেঁটেই তিস্তা পার হচ্ছেন। তিস্তার বুকে জেগে ওঠা বালুচরেই কৃষকেরা ফলাচ্ছেন নানা রকম ফসল। ফলে তিস্তা নদীর চর এখন কৃষকের ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে।

পায়ে হেঁটে তিস্তা নদীর পার হচ্ছেন দুই তীরের মানুষ। পীরগাছা উপজেলার শিবদের চর থেকে তোলানদীতে পানি না থাকায় ২ হাজার জেলেও এখন বেকার। কেউ কেউ পেশা বদল করে অন্য পেশায় গেলেও বাকিরা এখনো চেয়ে আছে তিস্তার দিকে। 

পায়ে হেঁটে তিস্তা নদীর পার হচ্ছেন দুই তীরের মানুষ। পীরগাছা উপজেলার শিবদের চর থেকে তোলাসরেজমিনে পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, নদীতে পানি নেই। মাঝ নদীতে হাটুজল পানি। অল্প পানিতে নৌকাও চলছে না। এ ছাড়াও তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখাগুলো শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। মানুষ পায়ে হেঁটেই পার হচ্ছেন। নদীর বুকে জেগে ওঠা বালুচরে শাক-সবজিসহ ফসলে ভরা। এ যেন এক সবুজের সমারোহ। 

পায়ে হেঁটে তিস্তা নদীর পার হচ্ছেন দুই তীরের মানুষ। পীরগাছা উপজেলার শিবদের চর থেকে তোলাশিবদের চর এলাকার কৃষক আজিজুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে নদীতে পানি ছিল। নৌকা চালিয়ে ও মাছ ধরে সংসার চালাতাম। এখন নদীতে পানি নেই, মাছও নেই। তাই জেগে ওঠা বালু চরে বাদাম, রসুন, পেঁয়াজ, শাক-সবজিসহ নানা রকম ফসল আবাদ করছি। বর্তমানে তিস্তা পাড়ের হাজারো মানুষের চলছে চরম দুর্দিন।’ 

পায়ে হেঁটে তিস্তা নদীর পার হচ্ছেন দুই তীরের মানুষ। পীরগাছা উপজেলার শিবদের চর থেকে তোলানৌ শ্রমিক মহুবর রহমান বলেন, ‘নদী মরে গেছে। তাই বাপ-দাদার পেশা বদল করে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছি। বর্তমানে তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে কৃষি কাজ চলছে পুরোদমে। পানি না থাকায় অনেক কৃষক শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে বালুচরে কৃষিকাজ করছে। তাই খরচ বেশি হচ্ছে। এতে কৃষকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তিস্তা নদী বেষ্টিত এ অঞ্চলের মানুষ এখনো চেয়ে আছে পানির অপেক্ষায়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত