ফুলবাড়ীতে তীব্র গরমে ৭০০ মুরগির মৃত্যু, দুশ্চিন্তায় খামারিরা

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ১৫: ৪৫
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ১৬: ০৮

গত কয়েক দিনের অব্যাহত প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ সময় পার করছে মানুষ। বাদ যায়নি পশুপাখিও। এরই ফলে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর একটি মুরগির খামারে এক দিনে ৭০০ ব্রয়লার মুরগির মৃত্যু হয়েছে। একসঙ্গে এত মুরগি মরে যাওয়ায় লোকসানের দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ভুক্তভোগী খামারি। 

এদিকে বিষয়টি জানার পর অন্য খামারিদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক খামারি লোকসান করে হলেও দ্রুত মুরগি বিক্রির চেষ্টা করছেন বলেও জানা গেছে। 

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের শমশেরনগর গ্রামের ‘বুসরা এগ্রো ফার্ম’ নামের খামারে মুরগি মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। খামারটির মালিক ওই এলাকার মো. বাবু ইসলাম। 

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

ভুক্তভোগী খামারি বাবু ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁর খামারে মোট ১ হাজার ৬০০ মুরগি ছিল। প্রতিটি মুরগির বয়স ছিল ২৯ দিন এবং ওজন প্রায় দুই কেজি। এর মধ্যে মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে অতিরিক্ত গরমের কারণে ৭০০ মুরগি মারা যায়। গরম থেকে মুরগি বাঁচানোর জন্য খামারের ভেতরে পানি ও বড় ফ্যানের ব্যবস্থা ছিল। এর পরেও মুরগিগুলো রক্ষা করতে পারেননি তিনি। আর কয়েক দিন থাকলেই প্রতিটি মুরগির ওজন তিন কেজি পরিমাণ হতো বলেও জানান তিনি।

খামারি বাবু ইসলাম আরও বলেন, ‘এই গরমে আর মুরগি রাখব না। যতটুকু আছে সব মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছি। এতে করে কিছু লস হলেও পুঁজি হারাতে হবে না। মারা যাওয়া ৭০০ মুরগির দাম আনুমানিক সোয়া ২ লাখ টাকা হতো। ঈদে বিক্রির জন্য রেখেছিলাম। এখন কী আর করব, সবই কপাল!’ 

একই এলাকার খামার মালিক হাবিবুর রহমান রতন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাদ্যের যে দাম, তার পরও অনেক কষ্ট করে মুরগিগুলো পালন করেছি। আমার এলাকায় এক খামারে গরমে মুরগি মারা গেছে। গরমে এভাবে মুরগি মারা গেলে, মুরগি রাখা যাবে না। লোকসান হলেও মুরগি বিক্রি করে দিতে হবে।’

উপজেলা পশুসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, অতিরিক্ত গরমে মুরগির হিট স্ট্রোক হচ্ছে। খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কোনো কার্যকর ফল পাওয়া যাবে না। 

ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় মোট মুরগির খামার রয়েছে ১৭৬টি। এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগির খামার ১৫০টি এবং লেয়ার মুরগির খামার ২৬টি। 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের আবহাওয়া মুরগির খামারে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তাপমাত্রা। তাপমাত্রা বাড়লে এবং তা যদি নিয়ন্ত্রণে না যায়, তাহলে খামারের ক্ষতি হবে এটাই স্বাভাবিক।’ 

রবিউল ইসলাম আরও বলেন, ‘টিনশেডের খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ছায়াযুক্ত স্থানে শেড করতে হবে। এ ছাড়া টিনের চালার ওপরে চট, খড়, পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে শেড কিছুটা শীতল থাকবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত