গাইবান্ধা প্রতিনিধি
বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন তোলার অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছর ধরে বিদ্যালয়ের অনুপস্থিত থেকেই নিয়মিত বেতন-ভাতার সুবিধা ভোগ করছেন তিনি। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি তাঁর আত্মীয় হওয়ায় এসব সম্ভব হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সেই সঙ্গে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার দেওয়ার কথা বলে একটি পরিবার থেকে টাকা নিয়েছিলেন। পরে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা করেন তিনি। এরপর পাওনা টাকা ফেরত না দিতে পারায় তিন বছর যাবৎ বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন ওই শিক্ষক।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম হায়দার আলী। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর রাজিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তিনটা পর্যন্ত সরেজমিনে উপজেলার উত্তর রাজিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অবস্থান করে সহকারী শিক্ষক হায়দার আলীকে পাওয়া যায়নি। তিনি চলমান এসএসসি পরীক্ষার দায়িত্বেও নেই। শিক্ষক হাজিরা খাতায়ও এ দিন তাঁর সাক্ষর নেই। তবে আগের হাজিরা খাতায় তাঁর নিয়মিত উপস্থিত দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হেড স্যারের আত্মীয় হওয়ায় হায়দার আলী স্কুল না এসেও নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন। তাঁর ক্লাস অন্যান্য শিক্ষককে নিতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে শিক্ষক হায়দার আলী টাকা নিয়েছিলেন। পরে সেই টাকা দিতে না পারার কারণে তিনি আর স্কুলে আসেন না। তবে পাওনাদারেরা প্রায়ই স্কুলে এসে বসে থাকে।’
ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলছে, ‘হায়দার স্যারকে আমরা অনেক দিন হলে দেখি না। স্যারের ক্লাসগুলো অন্যান্য স্যারেরা নেয়। সেটাও বিভিন্ন দিন বিভিন্ন স্যার নেয়।’
স্থানীয় কয়েকজন ও ভুক্তভোগী পরিবার বলছে, শিক্ষক হায়দার আলীর সঙ্গে রাজিবপুর গ্রামের তসলিম শেখের ছেলে সোহেল রানার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৮ সালে হায়দার আলী সেনাবাহিনীর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সোহেল রানার বাবা তসলিম শেখের কাছ থেকে দুই দফায় ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। পরে হায়দার আলী ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট সদর দপ্তরের একটি নিয়োগপত্র সোহেল রানার হাতে ধরে দেন। ওই নিয়োগপত্র নিয়ে সোহেল রানা চাকরিতে যোগদান করতে গেলে ঢাকা সেনানিবাস থেকে তাঁকে বলা হয় নিয়োগপত্রটি ভুয়া। পরে সোহেল রানা বাড়িতে ফিরে এলে হায়দার আলীর কাছে টাকা ফেরত চায় সোহেলের পরিবার। এ সময় তিনি টাকা ফেরত দিতে দুই মাসের সময় নেন।
আরও জানা গেছে, দুই মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও হায়দার আলী টাকা ফেরত না দেওয়ায় সোহেলের পরিবারের লোকজন স্কুলে গিয়ে বিষয়টি জানান। পরে স্কুলের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে শিক্ষক হায়দার আলী টাকা পরিশোধের এক মাসের সময় নেন। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে সোহেলের পরিবারের লোকজন টাকার জন্য স্কুলে গেলে হায়দার আলী স্কুলে আসা বন্ধ করে দেন।
ভুক্তভোগী সোহেলের বড় ভাই আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সুন্দরগঞ্জের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দুই পক্ষকে চিঠি দিয়ে তার অফিসে ডাকেন। আমরা উপস্থিত হলেও হায়দার আলী উপস্থিত হননি। এরপর দুজন অফিসার বদলি হয়ে গেছেন। টাকা দেওয়ার ভয়ে তিনি তিন বছর থেকে স্কুলে আসেন না। কিন্তু তিনি নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করেন।’
আশরাফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘হায়দার আলী ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ছোট বোনের স্বামী এবং সভাপতি প্রধান শিক্ষকের শ্যালক। হায়দার আলী স্কুলে না আসলেও প্রধান শিক্ষক ওই প্রতিষ্ঠানের নাইটগার্ডকে পাঠান হাজিরা খাতায় সাক্ষর নেওয়ার জন্য। নাইটগার্ড সুলতান হায়দার আলীর ছাপরহাটী ইউনিয়নে, গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মাস শেষে হাজিরা খাতায় সই করে নিয়ে আসে।’
সোহেলের বাবা তসলিম শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামার ছলের নাকি আরমির চাকরি হবে। সে কথা কয়া হায়দার আলী মাস্টার হামার কাছে ট্যাকা চায়। হামি সুদের ওপর ট্যাকা নিয়ে মাস্টারক দিছি। তাই ট্যাকা দেওয়ার ভয়েতে আর স্কুলোতে আসে না। হামি সুদের ট্যাকা টানতে টানতে শেষ হলে গেলাম। প্রত্যেক দিন স্কুলোত আসি বসি থাকি, মাস্টার স্কুলোত আসে না।’
এ সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর রাজিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চৌধুরী মো. ছাদ্দাকতুলবারী এমাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক হায়দার আলী স্কুলের পার্শ্বে একজনকে চাকরি দেওয়া কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন। বেশ কয়েকবার আমিও টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ দিয়েছি। কিন্তু টাকা দেয়নি। হায়দার আলী স্কুলে আসলেই যারা টাকা পান তাঁরা এসে টাকা চেয়ে অপমান করে। এ জন্যই তিনি স্কুলে আসেন না। লোকজন আমার কাছেও টাকার জন্য প্রতিনিয়ত আসেন।’
তিন বছর স্কুলে না এসেও হায়দার আলী কীভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন এ প্রসঙ্গে তাঁর কাছে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আগামী মাস থেকে তাঁর আর বেতন-ভাতা দেওয়া হবে না।’
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি চৌধুরী মো. সাফিউল বারী লিয়াকত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক স্কুলে না আসলে তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো অ্যাকশন নেওয়া সুযোগ নেই। নিতে হলে আইন মেনে নিতে হবে। আর সে জন্য আরও একটু সময় লাগবে।’
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে শিক্ষক হায়দার আলীর মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলে, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মমিন মণ্ডল অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে, ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোছা. রোকসানা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্কুলে অনুপস্থিত থেকে কীভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে! ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ অনুপস্থিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হবে। তিন বছর প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।’
বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন তোলার অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছর ধরে বিদ্যালয়ের অনুপস্থিত থেকেই নিয়মিত বেতন-ভাতার সুবিধা ভোগ করছেন তিনি। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি তাঁর আত্মীয় হওয়ায় এসব সম্ভব হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সেই সঙ্গে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার দেওয়ার কথা বলে একটি পরিবার থেকে টাকা নিয়েছিলেন। পরে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা করেন তিনি। এরপর পাওনা টাকা ফেরত না দিতে পারায় তিন বছর যাবৎ বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন ওই শিক্ষক।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম হায়দার আলী। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর রাজিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তিনটা পর্যন্ত সরেজমিনে উপজেলার উত্তর রাজিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অবস্থান করে সহকারী শিক্ষক হায়দার আলীকে পাওয়া যায়নি। তিনি চলমান এসএসসি পরীক্ষার দায়িত্বেও নেই। শিক্ষক হাজিরা খাতায়ও এ দিন তাঁর সাক্ষর নেই। তবে আগের হাজিরা খাতায় তাঁর নিয়মিত উপস্থিত দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হেড স্যারের আত্মীয় হওয়ায় হায়দার আলী স্কুল না এসেও নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন। তাঁর ক্লাস অন্যান্য শিক্ষককে নিতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় একজনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে শিক্ষক হায়দার আলী টাকা নিয়েছিলেন। পরে সেই টাকা দিতে না পারার কারণে তিনি আর স্কুলে আসেন না। তবে পাওনাদারেরা প্রায়ই স্কুলে এসে বসে থাকে।’
ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলছে, ‘হায়দার স্যারকে আমরা অনেক দিন হলে দেখি না। স্যারের ক্লাসগুলো অন্যান্য স্যারেরা নেয়। সেটাও বিভিন্ন দিন বিভিন্ন স্যার নেয়।’
স্থানীয় কয়েকজন ও ভুক্তভোগী পরিবার বলছে, শিক্ষক হায়দার আলীর সঙ্গে রাজিবপুর গ্রামের তসলিম শেখের ছেলে সোহেল রানার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৮ সালে হায়দার আলী সেনাবাহিনীর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সোহেল রানার বাবা তসলিম শেখের কাছ থেকে দুই দফায় ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। পরে হায়দার আলী ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট সদর দপ্তরের একটি নিয়োগপত্র সোহেল রানার হাতে ধরে দেন। ওই নিয়োগপত্র নিয়ে সোহেল রানা চাকরিতে যোগদান করতে গেলে ঢাকা সেনানিবাস থেকে তাঁকে বলা হয় নিয়োগপত্রটি ভুয়া। পরে সোহেল রানা বাড়িতে ফিরে এলে হায়দার আলীর কাছে টাকা ফেরত চায় সোহেলের পরিবার। এ সময় তিনি টাকা ফেরত দিতে দুই মাসের সময় নেন।
আরও জানা গেছে, দুই মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও হায়দার আলী টাকা ফেরত না দেওয়ায় সোহেলের পরিবারের লোকজন স্কুলে গিয়ে বিষয়টি জানান। পরে স্কুলের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে শিক্ষক হায়দার আলী টাকা পরিশোধের এক মাসের সময় নেন। ২০১৯ সালের শুরুর দিকে সোহেলের পরিবারের লোকজন টাকার জন্য স্কুলে গেলে হায়দার আলী স্কুলে আসা বন্ধ করে দেন।
ভুক্তভোগী সোহেলের বড় ভাই আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সুন্দরগঞ্জের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দুই পক্ষকে চিঠি দিয়ে তার অফিসে ডাকেন। আমরা উপস্থিত হলেও হায়দার আলী উপস্থিত হননি। এরপর দুজন অফিসার বদলি হয়ে গেছেন। টাকা দেওয়ার ভয়ে তিনি তিন বছর থেকে স্কুলে আসেন না। কিন্তু তিনি নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করেন।’
আশরাফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘হায়দার আলী ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ছোট বোনের স্বামী এবং সভাপতি প্রধান শিক্ষকের শ্যালক। হায়দার আলী স্কুলে না আসলেও প্রধান শিক্ষক ওই প্রতিষ্ঠানের নাইটগার্ডকে পাঠান হাজিরা খাতায় সাক্ষর নেওয়ার জন্য। নাইটগার্ড সুলতান হায়দার আলীর ছাপরহাটী ইউনিয়নে, গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মাস শেষে হাজিরা খাতায় সই করে নিয়ে আসে।’
সোহেলের বাবা তসলিম শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামার ছলের নাকি আরমির চাকরি হবে। সে কথা কয়া হায়দার আলী মাস্টার হামার কাছে ট্যাকা চায়। হামি সুদের ওপর ট্যাকা নিয়ে মাস্টারক দিছি। তাই ট্যাকা দেওয়ার ভয়েতে আর স্কুলোতে আসে না। হামি সুদের ট্যাকা টানতে টানতে শেষ হলে গেলাম। প্রত্যেক দিন স্কুলোত আসি বসি থাকি, মাস্টার স্কুলোত আসে না।’
এ সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর রাজিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চৌধুরী মো. ছাদ্দাকতুলবারী এমাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক হায়দার আলী স্কুলের পার্শ্বে একজনকে চাকরি দেওয়া কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন। বেশ কয়েকবার আমিও টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ দিয়েছি। কিন্তু টাকা দেয়নি। হায়দার আলী স্কুলে আসলেই যারা টাকা পান তাঁরা এসে টাকা চেয়ে অপমান করে। এ জন্যই তিনি স্কুলে আসেন না। লোকজন আমার কাছেও টাকার জন্য প্রতিনিয়ত আসেন।’
তিন বছর স্কুলে না এসেও হায়দার আলী কীভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন এ প্রসঙ্গে তাঁর কাছে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আগামী মাস থেকে তাঁর আর বেতন-ভাতা দেওয়া হবে না।’
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি চৌধুরী মো. সাফিউল বারী লিয়াকত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক স্কুলে না আসলে তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো অ্যাকশন নেওয়া সুযোগ নেই। নিতে হলে আইন মেনে নিতে হবে। আর সে জন্য আরও একটু সময় লাগবে।’
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে শিক্ষক হায়দার আলীর মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলে, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মমিন মণ্ডল অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে, ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোছা. রোকসানা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্কুলে অনুপস্থিত থেকে কীভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে! ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ অনুপস্থিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হবে। তিন বছর প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।’
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মাদকের টাকার জন্য মাকে মারধর করায় শাহজাহান মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে শাহজাহানের মা সাজেদা খাতুন ছেলেকে থানায় সোপর্দ করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
২ মিনিট আগেঝিনাইদহ সদরের নতুন বাড়ি এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে আল আমিন (২৫) নামের এক ট্রাকচালকের নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
২ ঘণ্টা আগে