ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ অতীতে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করলেও আজ তাদের হাতে গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে। তারা ’৭৫-এ বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল, কিন্তু তখন পারেনি। এখন ছদ্মবেশে আবার সে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে মরিয়া।’
আজ বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও শহরের সাধারণ পাঠাগার চত্বরে সদর উপজেলা বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
পুলিশের সাবেক আইজি বেনজির প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি ১৭০০ কোটি টাকার সম্পত্তি তৈরি করেছেন নিজের নামে। এরপরও নামে-বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকার মালিক। আওয়ামী লীগ এভাবে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে দুর্নীতি গ্রস্ত করে তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করছে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর যে স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেদিন দেশের সমস্ত মানুষ একত্রিত হয়েছিল। ওই সময় আমাদের আন্দোলনকে নস্যাৎ ও আয়োজন পণ্ড করতে (আওয়ামী লীগ) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছিল। তারা আমাদের ওপর গুলি বর্ষণ করে, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। আমরা বেশিক্ষণ সে মিটিংয়ে (সভায়) দাঁড়িয়ে থাকতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘এসবের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এ দেশের গণতন্ত্রের কবর রচনা করতে চেয়েছিল।’ বর্তমানে এ দানব সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রকে গিলে ফেলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে অসংখ্য মানুষকে হত্যা ও গুম করেছে। প্রায় ৬০ লাখ নিরপরাধ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। কারাগারে এক দিনে নিয়ে গেছে ৩০ হাজার মানুষকে। এভাবে তারা রাষ্ট্র যন্ত্রকে অসাংবিধানিকভাবে ব্যবহার করে দেশের জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা সেটি ধ্বংস করে দিয়েছে। কিন্তু আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারিনি, আজকের সমাবেশে হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে সেটি তার প্রমাণ।’
ফখরুল বলেন, ‘এ অবৈধ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। যাদের কোনো ম্যান্ডেট নাই, তাদের যদি ক্ষমতায় আরও থাকতে দেওয়া হয় তাহলে ভয়াবহ পরিণতি হবে বাংলাদেশের। বর্তমানে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। সে জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলে সেই সংগ্রামকে আরও বেশি জোরদার করতে হবে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য আমরা আন্দোলন করছি না, আমরা আন্দোলন করছি ভোটের অধিকার, অন্নের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার এবং কথা বলার অধিকারের জন্য।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর সরকারি লোকেরা চেপে বসেছে যেন তারা খবর লিখতে না পারে। এ দেশে এখন কথা কইতে মানা, বলতে মানা সে অবস্থা সৃষ্টি করেছে। আন্দোলন এবং সংগ্রামের মাধ্যমে এ অবৈধ সরকারকে আমরা পরাজিত করব। বাংলাদেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব আমাদের গণতন্ত্রকে সমর্থন করে।’
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মামুন-উর-রশিদ প্রমুখ। এর আগে তিনি বিভিন্ন মামলায় কারামুক্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ অতীতে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করলেও আজ তাদের হাতে গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে। তারা ’৭৫-এ বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল, কিন্তু তখন পারেনি। এখন ছদ্মবেশে আবার সে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে মরিয়া।’
আজ বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও শহরের সাধারণ পাঠাগার চত্বরে সদর উপজেলা বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
পুলিশের সাবেক আইজি বেনজির প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি ১৭০০ কোটি টাকার সম্পত্তি তৈরি করেছেন নিজের নামে। এরপরও নামে-বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকার মালিক। আওয়ামী লীগ এভাবে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে দুর্নীতি গ্রস্ত করে তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করছে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর যে স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেদিন দেশের সমস্ত মানুষ একত্রিত হয়েছিল। ওই সময় আমাদের আন্দোলনকে নস্যাৎ ও আয়োজন পণ্ড করতে (আওয়ামী লীগ) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছিল। তারা আমাদের ওপর গুলি বর্ষণ করে, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। আমরা বেশিক্ষণ সে মিটিংয়ে (সভায়) দাঁড়িয়ে থাকতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘এসবের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এ দেশের গণতন্ত্রের কবর রচনা করতে চেয়েছিল।’ বর্তমানে এ দানব সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রকে গিলে ফেলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে অসংখ্য মানুষকে হত্যা ও গুম করেছে। প্রায় ৬০ লাখ নিরপরাধ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। কারাগারে এক দিনে নিয়ে গেছে ৩০ হাজার মানুষকে। এভাবে তারা রাষ্ট্র যন্ত্রকে অসাংবিধানিকভাবে ব্যবহার করে দেশের জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা সেটি ধ্বংস করে দিয়েছে। কিন্তু আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারিনি, আজকের সমাবেশে হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে সেটি তার প্রমাণ।’
ফখরুল বলেন, ‘এ অবৈধ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। যাদের কোনো ম্যান্ডেট নাই, তাদের যদি ক্ষমতায় আরও থাকতে দেওয়া হয় তাহলে ভয়াবহ পরিণতি হবে বাংলাদেশের। বর্তমানে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। সে জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলে সেই সংগ্রামকে আরও বেশি জোরদার করতে হবে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য আমরা আন্দোলন করছি না, আমরা আন্দোলন করছি ভোটের অধিকার, অন্নের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার এবং কথা বলার অধিকারের জন্য।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর সরকারি লোকেরা চেপে বসেছে যেন তারা খবর লিখতে না পারে। এ দেশে এখন কথা কইতে মানা, বলতে মানা সে অবস্থা সৃষ্টি করেছে। আন্দোলন এবং সংগ্রামের মাধ্যমে এ অবৈধ সরকারকে আমরা পরাজিত করব। বাংলাদেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব আমাদের গণতন্ত্রকে সমর্থন করে।’
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মামুন-উর-রশিদ প্রমুখ। এর আগে তিনি বিভিন্ন মামলায় কারামুক্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
রাজনৈতিক দলগুলো এখন যতই ভালো কথা বলুক না কেন, ক্ষমতায় গেলে তারা আবার বদলে যেতে পারে—এমন শঙ্কার কথা এসেছে ঢাকায় এক গোলটেবিল বৈঠকে। সে জন্য বক্তারা সংস্কারের দাবিতে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিহীনদের জন্য গ্রহণ করা আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। যেসব ‘ভূমিহীনকে’ এসব ঘর দেওয়া হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই এখন এসব আশ্রয়ণের ঘরে থাকেন না। অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দ দাতাদের সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকায় ভূমিহীন না হয়েও এসব ঘর পেয়েছেন
৩ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে শর্ত অমান্য করে মেঘনা নদীর তীর ভরাট করে বাণিজ্যিকভাবে জেটি নির্মাণ করেছেন ইজারাদার উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সিরাজ। এই জেটি থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক ভারী পণ্য নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের পাশ দিয়ে যাতায়াত করছে। এতে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের (এপিএসসিএল) ৬০০ মেগাওয়া
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাইফুল আলম ওরফে এস আলমের সম্পদ জব্দ এবং বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে অভিযোগ আলোচিত-সমালোচিত এই ব্যবসায়ীর। এ প্রেক্ষাপটে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনি পদক্ষেপের উদ্যোগ নিয়েছেন
৪ ঘণ্টা আগে