সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার যন্ত্র অনেক দিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে। সেবা না পেয়ে বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে গিয়ে বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে রোগীদের। এতে বেশি সমস্যায় পড়েছে গরিব মানুষেরা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শরীরে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়ামসহ বিভিন্ন বিষয় জানতে প্রয়োজন হয় ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার যন্ত্রের। ১০ মাস ধরে এই যন্ত্র নষ্ট হয়ে আছে। এ ছাড়া গত ১৬ দিন ধরে হাসপাতালের একটিমাত্র আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্রও নষ্ট হয়ে আছে। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দরিদ্র রোগীরা। মেশিন দুটি সংস্কারে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও প্রতিকার মিলছে না।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা শফিকুল ইসলাম নামের একজন রোগী বলেন, ‘এই হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে লাগে মাত্র ২০০ টাকা। কিন্তু বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে খরচ হয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া শহরে আসা-যাওয়া করতে আরও টাকা খরচ হয়। আসা-যাওয়ার কষ্ট তো আছেই। এত টাকা জোগাড় করতে কষ্ট হয়।’
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের ইনচার্জ আব্দুর রব চৌধুরী বলেন, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনের সমস্যার বিষয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুটি চিঠি দেওয়া হয়। তারা মেশিনের সমস্যা সমাধানে গড়িমসি করছে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন ২৫টি থেকে ৩০টি পর্যন্ত আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। যেসব রোগীর করা হয়, তাদের বেশির ভাগই আর্থিকভাবে অসচ্ছল।’
ষাটোর্ধ্ব রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে অসুস্থ। হাসপাতালের বহির্বিভাগে গেলে চিকিৎসক তাঁকে ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে গিয়ে জানতে পারেন, হাসপাতালের একটিমাত্র ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার নষ্ট। এখানে রোগ নির্ণয় করালে ২৫০ টাকায় হয়ে যেত, এখন বেসরকারি ল্যাবে খরচ হবে ৮০০ টাকা।
হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ল্যাব (ইনচার্জ) ফণীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ‘গত ১০ মাস ধরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার অকেজো হয়ে পড়ে আছে।’
জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগ বলছে, হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৬০০-৭০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নেয়। পাশাপাশি নারী-শিশুসহ ৪০০-৫০০ রোগী ভর্তি হয়ে থাকে।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রকিবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনের ওয়ারেন্টির মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জানিয়েছি। ওয়ারেন্টির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠান মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। খুব দ্রুত তারা মেরামত করে পাঠিয়ে দেবে। অন্যদিকে ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার যন্ত্রটি ঠিক করতে ঢাকায় পাঠানো হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানিয়েছে, এটি আর মেরামত করা সম্ভব নয়। তাই নতুন ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার সরবরাহের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার যন্ত্র অনেক দিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে। সেবা না পেয়ে বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে গিয়ে বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে রোগীদের। এতে বেশি সমস্যায় পড়েছে গরিব মানুষেরা।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শরীরে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়ামসহ বিভিন্ন বিষয় জানতে প্রয়োজন হয় ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার যন্ত্রের। ১০ মাস ধরে এই যন্ত্র নষ্ট হয়ে আছে। এ ছাড়া গত ১৬ দিন ধরে হাসপাতালের একটিমাত্র আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্রও নষ্ট হয়ে আছে। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দরিদ্র রোগীরা। মেশিন দুটি সংস্কারে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও প্রতিকার মিলছে না।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা শফিকুল ইসলাম নামের একজন রোগী বলেন, ‘এই হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে লাগে মাত্র ২০০ টাকা। কিন্তু বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে খরচ হয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া শহরে আসা-যাওয়া করতে আরও টাকা খরচ হয়। আসা-যাওয়ার কষ্ট তো আছেই। এত টাকা জোগাড় করতে কষ্ট হয়।’
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের ইনচার্জ আব্দুর রব চৌধুরী বলেন, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনের সমস্যার বিষয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুটি চিঠি দেওয়া হয়। তারা মেশিনের সমস্যা সমাধানে গড়িমসি করছে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন ২৫টি থেকে ৩০টি পর্যন্ত আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। যেসব রোগীর করা হয়, তাদের বেশির ভাগই আর্থিকভাবে অসচ্ছল।’
ষাটোর্ধ্ব রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে অসুস্থ। হাসপাতালের বহির্বিভাগে গেলে চিকিৎসক তাঁকে ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে গিয়ে জানতে পারেন, হাসপাতালের একটিমাত্র ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার নষ্ট। এখানে রোগ নির্ণয় করালে ২৫০ টাকায় হয়ে যেত, এখন বেসরকারি ল্যাবে খরচ হবে ৮০০ টাকা।
হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ল্যাব (ইনচার্জ) ফণীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ‘গত ১০ মাস ধরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার অকেজো হয়ে পড়ে আছে।’
জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগ বলছে, হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৬০০-৭০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নেয়। পাশাপাশি নারী-শিশুসহ ৪০০-৫০০ রোগী ভর্তি হয়ে থাকে।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রকিবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনের ওয়ারেন্টির মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জানিয়েছি। ওয়ারেন্টির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠান মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। খুব দ্রুত তারা মেরামত করে পাঠিয়ে দেবে। অন্যদিকে ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার যন্ত্রটি ঠিক করতে ঢাকায় পাঠানো হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানিয়েছে, এটি আর মেরামত করা সম্ভব নয়। তাই নতুন ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার সরবরাহের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে পর্যন্ত রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ ও ভারতের মুর্শিদাবাদের ময়া পর্যন্ত পদ্মা নদীতে চালু ছিল একটি নৌ-রুট। ৫৯ বছর পর নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় আবার এই নৌ-রুট চালুর উদ্যোগ নেয় বিগত সরকার।
১ মিনিট আগেযশোরের বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনাল চালু করতে বেনাপোল বন্দর আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল বন্ধ করে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের পর গতকাল শনিবার সারা দেশ থেকে বেনাপোল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন ব্যবসায়ী সমিতি।
৮ মিনিট আগেকালাবদর নদের তীরের গ্রাম বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ জাঙ্গালিয়া। গভীর রাতে খননযন্ত্রের (এক্সকাভেটর) শব্দে গ্রামটির মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। প্রতিরাতে একদল লোক কয়েকটি ট্রলারে এসে এক্সকাভেটর দিয়ে নদের তীরের মাটি কেটে নিয়ে যায়। গ্রামবাসী ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
২২ মিনিট আগে