ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় এক ছাত্রকে বাঁশের ফালি দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার পরিচালক ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মারধরের ঘটনা কাউকে জানালে ওই ছাত্রকে বহিস্কার করা হবে মর্মে তার স্বাক্ষরও নেওয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার দারুল উলুম আশরাফিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আজ বুধবার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন।
অভিযুক্ত মুফতী মতিউর রহমান কয়েক বছর আগে ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে দারুল উলুম আশরাফিয়া মাদ্রাসা নামের একটি আবাসিক মাদ্রাসা চালু করেন।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর নাম শামীম হোসেন (১৫)। সে উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ শিংঝাড় গ্রামের কাঠমিস্ত্রী আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও দারুল উলুম আশরাফিয়া মাদ্রাসার উর্দু ফার্সি কিতাবখানা বিভাগের ছাত্র।
শামীম হোসেনের বাবা আনোয়ার হোসেনের জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শামীম মোবাইল ফোনে ওয়াজ দেখছিল। মোবাইল দেখার কারণে মাদ্রাসার পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক মুফতী মতিউর রহমান তাঁর আরেক সহযোগী মুফতী সাইফুল্লাহর উপস্থিতিতে শামীমকে মাটিতে ফেলে বাঁশের ফালি দিয়ে মারধর করেন।
মারধরে শামীমের শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্মকভাবে জখম হয়। এরপর তিনি একটা সাদা স্ট্যাম্পে শামীমের স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করার ভয়ভীতি দেখান।
শামীম গোপনে তার এক খালার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানিয়ে অভিভাবকদের খবর দিতে বলে। খবর পেয়ে শামীমের বাবা-মা এসে তাকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
শামীমকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার সময় স্থানীয়রা নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসা ঘেরাও করে মতিউর রহমানের শাস্তি দাবি করেন। এ সময় মতিউর রহমান পেছনের গেট দিয়ে পালিয়ে যান। খবর পয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ঘটনায় শামীমের বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মতিউর রহমান ও তাঁর সহযোগি মুফতী সাইফুল্লাহর নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শামীম জানায়, প্রায় সময়ই প্রধান শিক্ষক ছাত্রদের সামান্য কারণে মারপিটের পর সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. এ এস এম সায়েম জানান, শামীম হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত কর জানান, অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষকের নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় এক ছাত্রকে বাঁশের ফালি দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার পরিচালক ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মারধরের ঘটনা কাউকে জানালে ওই ছাত্রকে বহিস্কার করা হবে মর্মে তার স্বাক্ষরও নেওয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার দারুল উলুম আশরাফিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আজ বুধবার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন।
অভিযুক্ত মুফতী মতিউর রহমান কয়েক বছর আগে ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে দারুল উলুম আশরাফিয়া মাদ্রাসা নামের একটি আবাসিক মাদ্রাসা চালু করেন।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর নাম শামীম হোসেন (১৫)। সে উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ শিংঝাড় গ্রামের কাঠমিস্ত্রী আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও দারুল উলুম আশরাফিয়া মাদ্রাসার উর্দু ফার্সি কিতাবখানা বিভাগের ছাত্র।
শামীম হোসেনের বাবা আনোয়ার হোসেনের জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শামীম মোবাইল ফোনে ওয়াজ দেখছিল। মোবাইল দেখার কারণে মাদ্রাসার পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক মুফতী মতিউর রহমান তাঁর আরেক সহযোগী মুফতী সাইফুল্লাহর উপস্থিতিতে শামীমকে মাটিতে ফেলে বাঁশের ফালি দিয়ে মারধর করেন।
মারধরে শামীমের শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্মকভাবে জখম হয়। এরপর তিনি একটা সাদা স্ট্যাম্পে শামীমের স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করার ভয়ভীতি দেখান।
শামীম গোপনে তার এক খালার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানিয়ে অভিভাবকদের খবর দিতে বলে। খবর পেয়ে শামীমের বাবা-মা এসে তাকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
শামীমকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার সময় স্থানীয়রা নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসা ঘেরাও করে মতিউর রহমানের শাস্তি দাবি করেন। এ সময় মতিউর রহমান পেছনের গেট দিয়ে পালিয়ে যান। খবর পয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ঘটনায় শামীমের বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মতিউর রহমান ও তাঁর সহযোগি মুফতী সাইফুল্লাহর নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শামীম জানায়, প্রায় সময়ই প্রধান শিক্ষক ছাত্রদের সামান্য কারণে মারপিটের পর সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. এ এস এম সায়েম জানান, শামীম হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত কর জানান, অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষকের নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
১৭ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেবগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
২ ঘণ্টা আগে