Ajker Patrika

দাম বেশি থাকায় বিক্রি হয়ে যাচ্ছে খেতেই, আলু পাচ্ছে না কোল্ড স্টোরেজ

তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা (রংপুর) 
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৬: ৪৫
দাম বেশি থাকায় বিক্রি হয়ে যাচ্ছে খেতেই, আলু পাচ্ছে না কোল্ড স্টোরেজ

রংপুরের পীরগাছায় এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম ভালো পেয়ে কৃষকেরা মাঠেই আলু বিক্রি করে দিচ্ছেন। যে কারণে হিমাগারগুলো পর্যাপ্ত আলু পাচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। এসব জমি থেকে ৩ লাখ ২০ হাজার ৭৮৬ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও উৎপাদন হয়েছে আরও অনেক বেশি।

কৃষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছর অতিরিক্ত দামে আলুবীজ কিনে রোপণ করতে হয়। প্রথম দিকে হতাশা থাকলেও আলুর বাম্পার ফলনে কৃষকেরা খুশি হয়। গত বছর দাম কম থাকলেও এবার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে খেতেই ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এই সময়ে দাম ছিল ১২ থেকে ১৩ টাকা। বাজারে দাম বেশি থাকায় রপ্তানিযোগ্য আলু পাওয়া যাচ্ছে না।

অন্যদিকে উপজেলার সাতটি কোল্ড স্টোরেজের ধারণক্ষমতা ৫৪ হাজার ৩০০ টন হলেও পর্যাপ্ত আলু পাচ্ছে না স্টোরেজগুলো। এখন পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ ভাগ স্টোরেজ খালি রয়েছে বলে দাবি করছেন স্টোরেজ মালিকেরা।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় আলু বাম্পার ফলন হয়েছে। গড়ে প্রতি হেক্টর জমিতে ৩০ থেকে ৩৫ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছে।

উপজেলার দেউতি এলাকার কৃষক জয়নাল শেখ ও আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আলুর ফলন বেশ ভালো, দামও বেশি। তাই আগেই বিক্রি করে দিয়েছি।’

অনন্তরাম গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন ও আব্দুস সামাদ বলেন, বাজারে আলু ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এই সময়ে যা ছিল ১২ থেকে ১৩ টাকা। এমনিতেই উৎপাদন খরচ বেশি। তারপর স্টোরেজে রেখে দিলে বস্তা, পরিবহন ভাড়া, স্টোরেজ ভাড়াসহ অনেক বেশি পড়ে যায়। দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কায় বিক্রি করে দিয়েছেন। শুধু বীজ আলু স্টোরেজে রাখা হয়েছে।

আলু রপ্তানির সঙ্গে জড়িত কৃষক নুরুন্নবী মিয়া বলেন, বাজারে দাম বেশি, তাই বাইরে পাঠানোতে আগ্রহ নেই কৃষকের। প্রথম দিকে সামান্য কিছু আলু রপ্তানি করা হলেও হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানিযোগ্য আলু পাওয়া যাচ্ছে না। তারপর মুন্সিগঞ্জ, বগুড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় আলুর ফলন খারাপ হওয়ায় হঠাৎ আলুর দাম বেড়ে গেছে।

অনন্তরাম গ্রামের কৃষক নাজনু মিয়া বলেন, ‘আগে আলু তুলে ব্যাপারীর পেছনে ঘুরতে হতো। আর এ বছর আলু তোলার আগে ব্যাপারী তিন-চার দিন ধরে ঘুরছে। আগাম টাকা দেওয়ায়ও চেষ্টা করছে ব্যাপারীরা।’

জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, রংপুর বিভাগে বেশি আলু চাষ হয় পীরগাছায়। চলতি বছর আলুর দাম পেয়েও কৃষকেরা খুশি। বিদেশের চেয়ে দেশে আলুর দাম বেশি, তাই বেশি আলু রপ্তানি করা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

বগুড়ায় ইফতারের পর ডেকে নিয়ে যুবককে হত্যা

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন জামায়াতের আমির

সেনাসদস্যকে এক গাড়ি ধাক্কা দেয়, আরেক গাড়ি পিষে যায়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত