কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাস চলাচল নিয়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী মোটরমালিক সমিতির সঙ্গে দ্বন্দ্বে আজ মঙ্গলবার থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখে কুড়িগ্রাম মোটরমালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গমনেচ্ছু যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
কুড়িগ্রাম মোটর মালিক সমিতির সড়ক বিষয়ক সম্পাদক রায়হান কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাইবান্ধার পলাশবাড়ী মোটরমালিক সমিতির নেতা ও পৌর মেয়র গোলাম সরোয়ার বিপ্লব কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাস পলাশবাড়ীতে আটকে দিচ্ছেন। শ্রমিকদের হেনস্তা করছেন।
এর প্রতিবাদে আমরা আজ সন্ধ্যা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি। একই সঙ্গে শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে পলাশবাড়ী মালিক সমিতির অন্যায় হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা জেলা থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছাড়ব না।’
জানা যায়, আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনের সড়কে দূরপাল্লার বাস আড়াআড়ি রেখে অবরোধ করে পরিবহন শ্রমিকেরা। তারা সব ধরনের যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন। ফলে কুড়িগ্রাম থেকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে উত্তেজিত মোটর শ্রমিকদের বেপরোয়া অবরোধে কুলিয়ে উঠতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাফিক পুলিশের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ‘পলাশবাড়ী মোটরমালিক সমিতি অন্যায়ভাবে কুড়িগ্রামের গাড়ি যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করছে। ঈদের আগে এ ধরনের সমস্যা সাধারণ মানুষকে পেরেশানিতে ফেলেছে। এর প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম মোটরমালিক ও শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।’
তবে পলাশবাড়ী মোটর মালিক সমিতির সদস্য ও পৌর মেয়র বিপ্লব তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি গাড়ি চলাচলে বাধা দিচ্ছি না। আমাদের দাবি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থেকে আমাদের একটি বাস চলাচল করবে। কিন্তু কুড়িগ্রাম মোটর মালিক সমিতি তা দিতে নারাজ। তারা রাজি হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
পৌর মেয়রের দাবির বিষয়ে কুড়িগ্রাম মোটর মালিক সমিতির সড়ক সম্পাদক রায়হান কবির বলেন, ‘তাদের গাড়ি প্রবেশে আমাদের পক্ষ থেকে নয়, রংপুর মোটর মালিক সমিতি থেকে আপত্তি রয়েছে। তার (বিপ্লবের) দাবি সঠিক নয়। আমাদের গাড়ি চলাচলে বাধা দিলে আমরা গাড়ি ছাড়ব না।’
কুড়িগ্রাম মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বকসী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রবেশদ্বার হওয়ায় পলাশবাড়ী মোটরমালিক সমিতি আমাদের জিম্মি করে রাখতে চায়। তারা প্রশাসনের কোনো নির্দেশ তোয়াক্কা করছেন না। রংপুর ও গাইবান্ধার সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে গৃহীত সম্মিলিত সিদ্ধান্ত তারা অমান্য করে আমাদের গাড়ি আটকে দিচ্ছে। এর বিহিত হওয়া প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। রাত সাড়ে ৮টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সড়ক অবরোধ অব্যাহত ছিল।
কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাস চলাচল নিয়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী মোটরমালিক সমিতির সঙ্গে দ্বন্দ্বে আজ মঙ্গলবার থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখে কুড়িগ্রাম মোটরমালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গমনেচ্ছু যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
কুড়িগ্রাম মোটর মালিক সমিতির সড়ক বিষয়ক সম্পাদক রায়হান কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাইবান্ধার পলাশবাড়ী মোটরমালিক সমিতির নেতা ও পৌর মেয়র গোলাম সরোয়ার বিপ্লব কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাস পলাশবাড়ীতে আটকে দিচ্ছেন। শ্রমিকদের হেনস্তা করছেন।
এর প্রতিবাদে আমরা আজ সন্ধ্যা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি। একই সঙ্গে শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে পলাশবাড়ী মালিক সমিতির অন্যায় হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা জেলা থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছাড়ব না।’
জানা যায়, আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনের সড়কে দূরপাল্লার বাস আড়াআড়ি রেখে অবরোধ করে পরিবহন শ্রমিকেরা। তারা সব ধরনের যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন। ফলে কুড়িগ্রাম থেকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে উত্তেজিত মোটর শ্রমিকদের বেপরোয়া অবরোধে কুলিয়ে উঠতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাফিক পুলিশের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ‘পলাশবাড়ী মোটরমালিক সমিতি অন্যায়ভাবে কুড়িগ্রামের গাড়ি যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করছে। ঈদের আগে এ ধরনের সমস্যা সাধারণ মানুষকে পেরেশানিতে ফেলেছে। এর প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম মোটরমালিক ও শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।’
তবে পলাশবাড়ী মোটর মালিক সমিতির সদস্য ও পৌর মেয়র বিপ্লব তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি গাড়ি চলাচলে বাধা দিচ্ছি না। আমাদের দাবি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থেকে আমাদের একটি বাস চলাচল করবে। কিন্তু কুড়িগ্রাম মোটর মালিক সমিতি তা দিতে নারাজ। তারা রাজি হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
পৌর মেয়রের দাবির বিষয়ে কুড়িগ্রাম মোটর মালিক সমিতির সড়ক সম্পাদক রায়হান কবির বলেন, ‘তাদের গাড়ি প্রবেশে আমাদের পক্ষ থেকে নয়, রংপুর মোটর মালিক সমিতি থেকে আপত্তি রয়েছে। তার (বিপ্লবের) দাবি সঠিক নয়। আমাদের গাড়ি চলাচলে বাধা দিলে আমরা গাড়ি ছাড়ব না।’
কুড়িগ্রাম মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বকসী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রবেশদ্বার হওয়ায় পলাশবাড়ী মোটরমালিক সমিতি আমাদের জিম্মি করে রাখতে চায়। তারা প্রশাসনের কোনো নির্দেশ তোয়াক্কা করছেন না। রংপুর ও গাইবান্ধার সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে গৃহীত সম্মিলিত সিদ্ধান্ত তারা অমান্য করে আমাদের গাড়ি আটকে দিচ্ছে। এর বিহিত হওয়া প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। রাত সাড়ে ৮টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সড়ক অবরোধ অব্যাহত ছিল।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাতের আঁধারে খননযন্ত্র দিয়ে নদীতীরের মাটি কেটে নেওয়ার অপরাধে চার ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলা সদরের বংশাই নদীর ত্রিমোহন ও লৌহজং নদীর পাকুল্যা ঋষিপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন উপজ
৫ মিনিট আগেমিয়ানমার থেকে পণ্য নিয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদীর মোহনা থেকে পণ্যবাহী তিনটি কার্গো ছিনিয়ে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়ায় গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে তল্লাশির কথা বলে কার্গোগুলো আটক করে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত জাহাজগুলো ছাড়েনি তারা।
৮ মিনিট আগেনির্বাচনের সাড়ে তিন বছর পর আদালতের রায়ের মাধ্যমে মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রয়াত উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ডা. শাহাদাত হোসেন।
১৫ মিনিট আগেপশ্চিম শিবরামপুর কোম্পানি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কিশোরী দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
৪৪ মিনিট আগে