আনিসুল হক জুয়েল, দিনাজপুর
বাংলাদেশের পোড়ামাটি স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কান্তজিউ মন্দির। দিনাজপুর জেলা সদর হতে ২০ কিলোমিটার উত্তরে কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেপা নদীর তীরে কান্তনগর এলাকায় কান্তজিউ মন্দিরের অবস্থান।
কান্তজিউ মন্দির ১৮ শতকে নির্মিত একটি চমৎকার ধর্মীয় স্থাপনা। শুধু নির্মাণ শৈলীই নয়, উৎকর্ষের জন্যও এ মন্দিরের পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। ১৭২২ খ্রিষ্টাব্দে মহারাজা প্রাণনাথ রায় তাঁর মৃত্যুর আগে ১৭০৪ সালে মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু করেন। মহারাজার মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র রাজা রাম নাথ ১৭৫২ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ করেন।
ইটের তৈরি অষ্টাদশ শতাব্দীর এ মন্দির ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। কালিয়াকান্ত জিউ অর্থাৎ শ্রী-কৃষ্ণের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত রয়েছে এ মন্দির গর্ভে। তাই এ মন্দিরের নাম কান্তজিউ, কান্তজি বা কান্তজির মন্দির। কান্তজি মন্দিরের কারণেই এ এলাকা কান্তনগর নামে পরিচিতি পায়। একই কারণে পরবর্তীতে মন্দিরটির আরেক নাম কান্তনগর মন্দির হয়ে ওঠে। এটি নবরত্ন মন্দির নামেও পরিচিত কারণ তিন তলাবিশিষ্ট এই মন্দিরের নয়টি চূড়া বা রত্ন ছিল।
কান্তজিউ মন্দিরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন এলাকা। নির্মিত হয়েছে জাদুঘর, হোটেল-মোটেল, শপিং মলসহ নানা স্থাপনা। অতি সুন্দর ও ধারাবাহিকভাবে মন্দিরের দেয়ালে তুলে ধরা রামায়ণ, মহাভারতসহ পুরানে বর্ণিত বিচিত্র কাহিনি পর্যটক ও পর্যটন প্রিয় সাধারণ মানুষকে বিমোহিত করে। দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে ঐতিহাসিক এ মন্দির দেখতে সারা বছর ভিড় করেন পুণ্যার্থী ও পর্যটকেরা। নির্মাণ শৈলী ও বৈচিত্র্যময়তা দেখে পর্যটকেরা বিমোহিত হন।
ইট দ্বারা তৈরি এই মন্দিরের গায়ে পোড়ামাটির ফলকে মধ্যযুগের শেষদিকে বাংলার সামাজিক জীবনের নানা কাহিনি বিবৃত রয়েছে, উৎকীর্ণ হয়েছে রামায়ণ, মহাভারত ও বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনির খণ্ডচিত্র। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি এ চারটি শাস্ত্রীয় যুগের পৌরাণিক কাহিনিগুলো মন্দিরের চার দেয়ালে চিত্রায়িত। তাই বৈদিক চিত্রকাহিনি সংবলিত টেরাকোটায় আচ্ছাদিত মন্দিরটি দেখলে মনে হবে এ যেন চার খণ্ডে শিল্প খচিত এক পৌরাণিক মহাকাব্যের দৃশ্যমান উপস্থাপনা। এ মন্দিরের টেরাকোটা কখনো আপনাকে নিয়ে যাবে মধ্যযুগীয় বাংলায়, আবার কখনো উপস্থাপন করবে পৌরাণিক কাহিনি।
প্রায় ১ মিটার উঁচু এবং ১৮ মিটার বাহুবিশিষ্ট বর্গাকার বেদির ওপর এ মন্দির প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরের প্রত্যেক বাহুর দৈর্ঘ্য ১৬ মিটার। মন্দিরের প্রাঙ্গণ আয়তাকার হলেও পাথরের ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো ৫০ ফুট উচ্চতার মন্দিরটি একটি বর্গাকার ইমারত, যা বর্গাকার প্রধান প্রকোষ্ঠ টিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পড়ে থাকা কান্তজিউ মন্দিরে ব্যাপক সংস্কার কাজ শুরু হয় স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। তিনি জানান, কান্তজিউ মন্দির ও নয়াবাদ মসজিদের উন্নয়নে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ (চল্লিশ) কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। আগে ঢেপা নদীর ওপর ব্রিজ না থাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে মন্দিরে যেতে হতো। পর্যটকদের দুর্দশা লাঘবে মন্দিরে যাওয়ার জন্য নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের প্রবেশ মুখে তৈরি করা হয়েছে তেভাগা আন্দোলনের স্মৃতিস্তম্ভ সিধু-কানু চত্বর। মন্দিরের সংস্কারের পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে রাস্তাঘাট, পার্ক, মিউজিয়াম ইত্যাদি। প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার চলছে রাসবেদীর।
এ ছাড়াও পর্যটকদের সুবিধার্থে কান্তজিউ মন্দির থেকে নয়াবাদ মসজিদ পর্যন্ত সরাসরি সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করার প্রস্তাবনাও বিবেচনাধীন আছে বলে জানান তিনি।
প্রতিবছর কান্তজি মন্দির প্রাঙ্গণে রাশ পূর্ণিমা মেলা বসে। মাসব্যাপী এই মেলায় ভিড় জমান অসংখ্য দর্শনার্থী আর পুণ্যার্থী। রাশ পূর্ণিমা উপলক্ষে তখন দিনাজপুরের রাজবাড়ি থেকে কান্তজির বিগ্রহ নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। সবকিছু মিলিয়ে তখন এই এলাকার গুরুত্ব যেন বেড়ে যায় বহুগুণ।
দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দির করোনার কারণে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকায় এখন পর্যটকশূন্য। মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক আপন চন্দ্র রায় জানান, লকডাউনে সরকারি সিদ্ধান্তে মন্দিরে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশের পোড়ামাটি স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কান্তজিউ মন্দির। দিনাজপুর জেলা সদর হতে ২০ কিলোমিটার উত্তরে কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেপা নদীর তীরে কান্তনগর এলাকায় কান্তজিউ মন্দিরের অবস্থান।
কান্তজিউ মন্দির ১৮ শতকে নির্মিত একটি চমৎকার ধর্মীয় স্থাপনা। শুধু নির্মাণ শৈলীই নয়, উৎকর্ষের জন্যও এ মন্দিরের পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। ১৭২২ খ্রিষ্টাব্দে মহারাজা প্রাণনাথ রায় তাঁর মৃত্যুর আগে ১৭০৪ সালে মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু করেন। মহারাজার মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র রাজা রাম নাথ ১৭৫২ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ করেন।
ইটের তৈরি অষ্টাদশ শতাব্দীর এ মন্দির ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। কালিয়াকান্ত জিউ অর্থাৎ শ্রী-কৃষ্ণের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত রয়েছে এ মন্দির গর্ভে। তাই এ মন্দিরের নাম কান্তজিউ, কান্তজি বা কান্তজির মন্দির। কান্তজি মন্দিরের কারণেই এ এলাকা কান্তনগর নামে পরিচিতি পায়। একই কারণে পরবর্তীতে মন্দিরটির আরেক নাম কান্তনগর মন্দির হয়ে ওঠে। এটি নবরত্ন মন্দির নামেও পরিচিত কারণ তিন তলাবিশিষ্ট এই মন্দিরের নয়টি চূড়া বা রত্ন ছিল।
কান্তজিউ মন্দিরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন এলাকা। নির্মিত হয়েছে জাদুঘর, হোটেল-মোটেল, শপিং মলসহ নানা স্থাপনা। অতি সুন্দর ও ধারাবাহিকভাবে মন্দিরের দেয়ালে তুলে ধরা রামায়ণ, মহাভারতসহ পুরানে বর্ণিত বিচিত্র কাহিনি পর্যটক ও পর্যটন প্রিয় সাধারণ মানুষকে বিমোহিত করে। দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে ঐতিহাসিক এ মন্দির দেখতে সারা বছর ভিড় করেন পুণ্যার্থী ও পর্যটকেরা। নির্মাণ শৈলী ও বৈচিত্র্যময়তা দেখে পর্যটকেরা বিমোহিত হন।
ইট দ্বারা তৈরি এই মন্দিরের গায়ে পোড়ামাটির ফলকে মধ্যযুগের শেষদিকে বাংলার সামাজিক জীবনের নানা কাহিনি বিবৃত রয়েছে, উৎকীর্ণ হয়েছে রামায়ণ, মহাভারত ও বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনির খণ্ডচিত্র। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি এ চারটি শাস্ত্রীয় যুগের পৌরাণিক কাহিনিগুলো মন্দিরের চার দেয়ালে চিত্রায়িত। তাই বৈদিক চিত্রকাহিনি সংবলিত টেরাকোটায় আচ্ছাদিত মন্দিরটি দেখলে মনে হবে এ যেন চার খণ্ডে শিল্প খচিত এক পৌরাণিক মহাকাব্যের দৃশ্যমান উপস্থাপনা। এ মন্দিরের টেরাকোটা কখনো আপনাকে নিয়ে যাবে মধ্যযুগীয় বাংলায়, আবার কখনো উপস্থাপন করবে পৌরাণিক কাহিনি।
প্রায় ১ মিটার উঁচু এবং ১৮ মিটার বাহুবিশিষ্ট বর্গাকার বেদির ওপর এ মন্দির প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরের প্রত্যেক বাহুর দৈর্ঘ্য ১৬ মিটার। মন্দিরের প্রাঙ্গণ আয়তাকার হলেও পাথরের ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো ৫০ ফুট উচ্চতার মন্দিরটি একটি বর্গাকার ইমারত, যা বর্গাকার প্রধান প্রকোষ্ঠ টিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পড়ে থাকা কান্তজিউ মন্দিরে ব্যাপক সংস্কার কাজ শুরু হয় স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। তিনি জানান, কান্তজিউ মন্দির ও নয়াবাদ মসজিদের উন্নয়নে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ (চল্লিশ) কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। আগে ঢেপা নদীর ওপর ব্রিজ না থাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে মন্দিরে যেতে হতো। পর্যটকদের দুর্দশা লাঘবে মন্দিরে যাওয়ার জন্য নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজের প্রবেশ মুখে তৈরি করা হয়েছে তেভাগা আন্দোলনের স্মৃতিস্তম্ভ সিধু-কানু চত্বর। মন্দিরের সংস্কারের পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে রাস্তাঘাট, পার্ক, মিউজিয়াম ইত্যাদি। প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার চলছে রাসবেদীর।
এ ছাড়াও পর্যটকদের সুবিধার্থে কান্তজিউ মন্দির থেকে নয়াবাদ মসজিদ পর্যন্ত সরাসরি সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করার প্রস্তাবনাও বিবেচনাধীন আছে বলে জানান তিনি।
প্রতিবছর কান্তজি মন্দির প্রাঙ্গণে রাশ পূর্ণিমা মেলা বসে। মাসব্যাপী এই মেলায় ভিড় জমান অসংখ্য দর্শনার্থী আর পুণ্যার্থী। রাশ পূর্ণিমা উপলক্ষে তখন দিনাজপুরের রাজবাড়ি থেকে কান্তজির বিগ্রহ নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। সবকিছু মিলিয়ে তখন এই এলাকার গুরুত্ব যেন বেড়ে যায় বহুগুণ।
দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দির করোনার কারণে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকায় এখন পর্যটকশূন্য। মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক আপন চন্দ্র রায় জানান, লকডাউনে সরকারি সিদ্ধান্তে মন্দিরে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রয়েছে।
ঝিনাইদহ সদরের নতুন বাড়ি এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে আল আমিন (২৫) নামের এক ট্রাকচালকের নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
৪২ মিনিট আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
১ ঘণ্টা আগে