কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বাশুড়ি ও দেবরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শ্বাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বদরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রাজিবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত তাসলিমা জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মৌলভীরচর এলাকার মৃত সালামের মেয়ে। ১০ বছর আগে বদরপুরের রহিজল হকের ছেলে মুকুল হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তাঁর বিয়ে হয়।
তাসলিমার (২৫) স্বামী কাজের সূত্রে এলাকার বাইরে থাকায় শ্বশুর রহিজল (৪৮), শাশুড়ি সালেহা খাতুন (৪০) ও দেবর সানোয়ার (২১) মিলে নানা অজুহাতে প্রায়ই তাকে নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ প্রতিবেশী ও নিহতের স্বজনদের।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিবেশী মরিয়ম আক্তার (৫৫) জানান, আজ শনিবার সকালে তাসলিমা টয়লেটের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। তার দেবর সানোয়ার টয়লেটে যাবে বলে তাকে সরে দাঁড়াতে বলে। তাসলিমার সরতে দেরি হওয়ায় দুজনের মধ্যে তর্ক হয়।
এ সময় তার সৎ শাশুড়ি গিয়ে তাকে লাথি ও কিল-ঘুষি মারতে থাকে। পরে তার শশুর রহিজল তাকে আরও মারধর করতে বলে। শ্বাশুড়ি ও দেবর মিলে তাকে এলোপাতাড়ি পেটায়। তিনি বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারা চটে গিয়ে তাঁকেও মারতে আসেন। পরে চিৎকার করলে এলাকার মানুষ এগিয়ে আসে। এ সময় দেবর সানোয়ার পালিয়ে যায়। পরে সবাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রতিবেশী লাল মিয়া (৪২) বলেন, ‘মেয়েটা অত্যন্ত ভালো-সহজ সরল। ওর স্বামী কাজের জন্য যখনই ঢাকায় যায়, তখনই মেয়েটার ওপর অত্যাচার নির্যাতন করে তার শ্বশুর, সৎ শাশুড়ি ও দেবর। আজ শনিবার সকালে সামান্য ঘটনায় এমনভাবে মেয়েটাকে মেরেছে যে মেয়েটা মরেই গেছে। আমরা এই হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সামিউল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
পরিদর্শক আতাউর রহমান বলেন, গৃহবধূকে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগে গৃহবধূর ছোট ভাই মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় তাঁর শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও দেবরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলায় শ্বাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হলেও শ্বশুর ও দেবর পলাতক রয়েছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বাশুড়ি ও দেবরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শ্বাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বদরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রাজিবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত তাসলিমা জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মৌলভীরচর এলাকার মৃত সালামের মেয়ে। ১০ বছর আগে বদরপুরের রহিজল হকের ছেলে মুকুল হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তাঁর বিয়ে হয়।
তাসলিমার (২৫) স্বামী কাজের সূত্রে এলাকার বাইরে থাকায় শ্বশুর রহিজল (৪৮), শাশুড়ি সালেহা খাতুন (৪০) ও দেবর সানোয়ার (২১) মিলে নানা অজুহাতে প্রায়ই তাকে নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ প্রতিবেশী ও নিহতের স্বজনদের।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিবেশী মরিয়ম আক্তার (৫৫) জানান, আজ শনিবার সকালে তাসলিমা টয়লেটের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। তার দেবর সানোয়ার টয়লেটে যাবে বলে তাকে সরে দাঁড়াতে বলে। তাসলিমার সরতে দেরি হওয়ায় দুজনের মধ্যে তর্ক হয়।
এ সময় তার সৎ শাশুড়ি গিয়ে তাকে লাথি ও কিল-ঘুষি মারতে থাকে। পরে তার শশুর রহিজল তাকে আরও মারধর করতে বলে। শ্বাশুড়ি ও দেবর মিলে তাকে এলোপাতাড়ি পেটায়। তিনি বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারা চটে গিয়ে তাঁকেও মারতে আসেন। পরে চিৎকার করলে এলাকার মানুষ এগিয়ে আসে। এ সময় দেবর সানোয়ার পালিয়ে যায়। পরে সবাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রতিবেশী লাল মিয়া (৪২) বলেন, ‘মেয়েটা অত্যন্ত ভালো-সহজ সরল। ওর স্বামী কাজের জন্য যখনই ঢাকায় যায়, তখনই মেয়েটার ওপর অত্যাচার নির্যাতন করে তার শ্বশুর, সৎ শাশুড়ি ও দেবর। আজ শনিবার সকালে সামান্য ঘটনায় এমনভাবে মেয়েটাকে মেরেছে যে মেয়েটা মরেই গেছে। আমরা এই হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সামিউল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
পরিদর্শক আতাউর রহমান বলেন, গৃহবধূকে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগে গৃহবধূর ছোট ভাই মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় তাঁর শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও দেবরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলায় শ্বাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হলেও শ্বশুর ও দেবর পলাতক রয়েছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৭ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৭ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৭ ঘণ্টা আগে