টয়লেটের সামনে থেকে সরতে দেরি হওয়ায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ২১: ১০

কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বাশুড়ি ও দেবরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শ্বাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বদরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

রাজিবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

নিহত তাসলিমা জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মৌলভীরচর এলাকার মৃত সালামের মেয়ে। ১০ বছর আগে বদরপুরের রহিজল হকের ছেলে মুকুল হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তাঁর বিয়ে হয়। 

তাসলিমার (২৫) স্বামী কাজের সূত্রে এলাকার বাইরে থাকায় শ্বশুর রহিজল (৪৮), শাশুড়ি সালেহা খাতুন (৪০) ও দেবর সানোয়ার (২১) মিলে নানা অজুহাতে প্রায়ই তাকে নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ প্রতিবেশী ও নিহতের স্বজনদের। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিবেশী মরিয়ম আক্তার (৫৫) জানান, আজ শনিবার সকালে তাসলিমা টয়লেটের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। তার দেবর সানোয়ার টয়লেটে যাবে বলে তাকে সরে দাঁড়াতে বলে। তাসলিমার সরতে দেরি হওয়ায় দুজনের মধ্যে তর্ক হয়। 

এ সময় তার সৎ শাশুড়ি গিয়ে তাকে লাথি ও কিল-ঘুষি মারতে থাকে। পরে তার শশুর রহিজল তাকে আরও মারধর করতে বলে। শ্বাশুড়ি ও দেবর মিলে তাকে এলোপাতাড়ি পেটায়। তিনি বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারা চটে গিয়ে তাঁকেও মারতে আসেন। পরে চিৎকার করলে এলাকার মানুষ এগিয়ে আসে। এ সময় দেবর সানোয়ার পালিয়ে যায়। পরে সবাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। 

প্রতিবেশী লাল মিয়া (৪২) বলেন, ‘মেয়েটা অত্যন্ত ভালো-সহজ সরল। ওর স্বামী কাজের জন্য যখনই ঢাকায় যায়, তখনই মেয়েটার ওপর অত্যাচার নির্যাতন করে তার শ্বশুর, সৎ শাশুড়ি ও দেবর। আজ শনিবার সকালে সামান্য ঘটনায় এমনভাবে মেয়েটাকে মেরেছে যে মেয়েটা মরেই গেছে। আমরা এই হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’ 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সামিউল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। 

পরিদর্শক আতাউর রহমান বলেন, গৃহবধূকে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগে গৃহবধূর ছোট ভাই মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় তাঁর শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও দেবরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলায় শ্বাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হলেও শ্বশুর ও দেবর পলাতক রয়েছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত