বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও এমপি ইকবালুর রহিমের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১৬: ২৪
Thumbnail image

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও তাঁর ভাই দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দিনাজপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও ছররা গুলি ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেল ও ছররা গুলিতে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীদের হাতে বেসরকারি টিভি চ্যানেল দীপ্ত টিভির দিনাজপুর প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ ও ক্যামেরা পারসন আবু বক্কর সিদ্দিক মারধরের শিকার হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী হুইপ ইকবালুর রহিমের বাসার নিরাপত্তা প্রহরী সুমন মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান, ‘স্যারের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় সব জায়গায় আগুন জ্বলছে। বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল যাচ্ছিল। হঠাৎ মেন গেটের ওপর দিয়ে লাফ দিয়ে বাড়ির ভেতরে কিছু ছেলেপেলে ঢুকে পড়ে। পরে হুড়মুড় করে কয়েক শ ছেলে ঢুকে পড়ে।’
 
এর আগে সকাল ১০টা থেকে দিনাজপুর শহরের ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মোড়ে জড়ো হতে থাকে আন্দোলনকারীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদের উপস্থিতিও দেখা গেছে। কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পলিটেকনিক মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বালুবাড়ী শহীদ মিনার মোড় হয়ে জোড়া ব্রিজের কাছে এলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। পরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ধীরে ধীরে পিছু হটে পৌরসভার দিকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরই হুইপের বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

দিনাজপুরে পুলিশের গাড়িতে আগুনএদিকে দিনাজপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে রাস্তায় টায়ারে আগুন দেওয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতাল মোড়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছিল।

২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের এক চিকিৎসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আহত হয়ে অর্ধশতাধিক চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি সবাই পুলিশের টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক সার্জন বলেন, সংঘর্ষে আহত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৭ জন ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত