ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ট্রেনের ভেতরে এক যাত্রীকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠা দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শহিদুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে প্রত্যাহার করে সৈয়দপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
আজ সোমবার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম নুরুল ইসলাম।
এর আগে রোববার ই-মেইলের মাধ্যমে রেলওয়ে পুলিশের প্রধান বরাবর লিখিত অভিযোগ পাঠান ভুক্তভোগী যাত্রী করিম বাদশা।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেসে করে নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। কিছুক্ষণ পর তাঁর আসনের সামনে একটি বাড়তি চেয়ার বসান পুলিশের এক সদস্য। সেখানে এক যাত্রীকে বসতে দেওয়া হয়। সেই দৃশ্যের ছবি তুলে তিনি ফেসবুকে রেলওয়ের একটি ফ্যান পেজে পোস্ট করেন। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল তাঁর কাছে এসে নাম-ঠিকানা জানতে চান। জোর করে রেলওয়ে ক্যানটিনে নিয়ে দরজা লাগিয়ে ফোন কেড়ে নেন। ছবি ও ফেসবুক পোস্ট ডিলিট করে মারধর শুরু করেন।
করিম বাদশা জানান, রেলে এভাবে অতিরিক্ত চেয়ার বসানোর নিয়ম নেই। অথচ এটি নিয়ে পোস্ট দেওয়ার কারণে তিনজন পুলিশ সদস্য বেধড়ক মেরেছেন তাঁকে। তাঁরা ফোনটিও আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলেছেন। আসনে ফেরার পর চলে মানসিক নির্যাতন। মারধরের ঘটনার কথা কাউকে জানালে মাদক মামলায় ফাঁসানোসহ ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন এএসআই শহিদুল। কিছুক্ষণ পরপরই তিনি আসনের কাছে এসে এমন হুমকি দিতে থাকেন। যাত্রাপথের পুরোটা সময় পুলিশের অন্য সদস্যরা তাঁকে নজরবন্দী করে রাখেন। পরে শুক্রবার ভোরে তাঁরা দিনাজপুরের পার্বতীপুর স্টেশনে নামেন। এ সময় নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর রাখেন। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করবেন বলে হুমকি দেন শহিদুল ইসলাম।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে গতকাল অভিযুক্ত এএসআই শহিদুল ইসলাম জানান, পূর্বপরিচিত এক কলেজশিক্ষককে বাড়তি চেয়ারে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ওই ছবি ফেসবুকে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ক্ষোভ প্রকাশ করে। পরে পোস্টদাতা করিম বাদশার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি খেপে যান। পরে তিনিও রাগের মাথায় দু-একটি চড়থাপ্পড় মেরেছেন। অন্য সব অভিযোগ মিথ্যা বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ওসি এটিএম নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শহিদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ট্রেনের ভেতরে এক যাত্রীকে রাতভর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠা দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শহিদুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে প্রত্যাহার করে সৈয়দপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
আজ সোমবার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম নুরুল ইসলাম।
এর আগে রোববার ই-মেইলের মাধ্যমে রেলওয়ে পুলিশের প্রধান বরাবর লিখিত অভিযোগ পাঠান ভুক্তভোগী যাত্রী করিম বাদশা।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেসে করে নিজ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। কিছুক্ষণ পর তাঁর আসনের সামনে একটি বাড়তি চেয়ার বসান পুলিশের এক সদস্য। সেখানে এক যাত্রীকে বসতে দেওয়া হয়। সেই দৃশ্যের ছবি তুলে তিনি ফেসবুকে রেলওয়ের একটি ফ্যান পেজে পোস্ট করেন। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল তাঁর কাছে এসে নাম-ঠিকানা জানতে চান। জোর করে রেলওয়ে ক্যানটিনে নিয়ে দরজা লাগিয়ে ফোন কেড়ে নেন। ছবি ও ফেসবুক পোস্ট ডিলিট করে মারধর শুরু করেন।
করিম বাদশা জানান, রেলে এভাবে অতিরিক্ত চেয়ার বসানোর নিয়ম নেই। অথচ এটি নিয়ে পোস্ট দেওয়ার কারণে তিনজন পুলিশ সদস্য বেধড়ক মেরেছেন তাঁকে। তাঁরা ফোনটিও আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলেছেন। আসনে ফেরার পর চলে মানসিক নির্যাতন। মারধরের ঘটনার কথা কাউকে জানালে মাদক মামলায় ফাঁসানোসহ ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন এএসআই শহিদুল। কিছুক্ষণ পরপরই তিনি আসনের কাছে এসে এমন হুমকি দিতে থাকেন। যাত্রাপথের পুরোটা সময় পুলিশের অন্য সদস্যরা তাঁকে নজরবন্দী করে রাখেন। পরে শুক্রবার ভোরে তাঁরা দিনাজপুরের পার্বতীপুর স্টেশনে নামেন। এ সময় নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর রাখেন। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করবেন বলে হুমকি দেন শহিদুল ইসলাম।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে গতকাল অভিযুক্ত এএসআই শহিদুল ইসলাম জানান, পূর্বপরিচিত এক কলেজশিক্ষককে বাড়তি চেয়ারে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ওই ছবি ফেসবুকে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ক্ষোভ প্রকাশ করে। পরে পোস্টদাতা করিম বাদশার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি খেপে যান। পরে তিনিও রাগের মাথায় দু-একটি চড়থাপ্পড় মেরেছেন। অন্য সব অভিযোগ মিথ্যা বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ওসি এটিএম নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শহিদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
১ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
১০ মিনিট আগেনুর নবী সরকার কালাইয়ের কিডনি বেচাকেনার দালাল চক্রের সদস্য। এ অপরাধে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কিডনি, অস্ত্র ও মানবপাচারসহ একাধিক মামলা চলমান।
৩৫ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক...
২ ঘণ্টা আগে