আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
কর্মসংস্থানের জন্য গ্রাম ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইট-পাথরে মোড়া শহর ঢাকায়। একপর্যায়ে জিরানী বাজারে শুরু করেন মুদির দোকান। আর্থিক টানাপোড়নে চার বছর আগে বাধ্য হোন দোকানটি ছেড়ে দিতে। গ্রামে ফিরে শুরু করেন নার্সারি। রাত-দিন পরিশ্রম করে দাঁড় করান নার্সারিটিকে। এখন তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত এলাকায়। গল্পটা গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কিশামত দশলিয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের (৩৫)।
রহিম বলেন, ‘তরুণ বয়সে সংসারের অভাব-অনটনের কারণে ঢাকা শহরে পাড়ি দিই। শুরুতে পোশাক কারখানায় চাকরি করি। তারপর সেটা ছেড়ে দিয়ে সাভারের জিরানী বাজারে একটি মুদির দোকান দিই। সেই দোকান অর্থের অভাবে বেশি দিন টেকেনি। বেকার অবস্থায় ফিরে আসি গ্রামের বাড়িতে। জীবনযুদ্ধে হার না মেনে পরিচিত এক কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ২০১৯ সালে বাড়ির পাশের পতিত ১০ শতক জমিতে গাছের চারা রোপণ করি।’
রহিম আরও বলেন, ‘শুরুতে জায়গার সংকটসহ নানান সমস্যায় পড়তে হয়। নার্সারি ব্যবসায় ধীরে ধীরে সফলতা আসতে শুরু করে। একপর্যায়ে পাশে দাঁড়ান বড় ভাই সাইফুল ইসলাম। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে চারা রপ্তানি করছি তুরস্ক, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশে চারা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এখন আকারে অনেক বড় হয়েছে নার্সারিটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কিশামত দশলিয়া গ্রামে রহিমের মায়ের দোয়া নামের ২০ বিঘা জমির ওপর বিশাল এক নার্সারি। বিভিন্ন জাতের গাছ দোল খাচ্ছে বাতাসে। নার্সারিতে শোভা পাচ্ছে বিদেশি জাতের আম, মাল্টা, লেবু, জাম্বুরা, আনারস, ফুলসহ দেশি শতাধিক জাতের চারা। উন্নত জাতের ফল, ফুল ছাড়াও এখানে আছে ঔষধি গাছের চারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রহিম নতুন নতুন জাতের চারা উৎপাদন করে এলাকায় বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। একজন প্রতিষ্ঠিত নার্সারি মালিক হয়েও এখনো তিনি নিজ হাতে চারার পরিচর্যা করেন। কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করেছেন।
রহিমের ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, নার্সারিতে উন্নত জাতের ফল ও ফুলের চারা বিক্রি করে মাসে ৩ লাখ টাকা উপার্জন করছেন তাঁর ছোট ভাই। নার্সারিতে প্রতিদিন ২০-২৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আব্দুর রহিমের নার্সারি এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তাঁর নার্সারিতে যদি কোনো রকম সহযোগিতার দরকার হয়, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে থেকে করা হবে।
সাদুল্যাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিউল আলম দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুরু থেকে সফল ওই নার্সারির মালিককে আমরা পরামর্শ দিয়ে আসছি। সফলতার জন্য আমরা তাঁকে ক্রেস্টও দিয়েছি। এই নার্সারির উন্নত জাতের ফল ও ফুলের চারা বিদেশে রপ্তানি করে যাতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারেন, সে জন্যও নানান ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।’
কর্মসংস্থানের জন্য গ্রাম ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইট-পাথরে মোড়া শহর ঢাকায়। একপর্যায়ে জিরানী বাজারে শুরু করেন মুদির দোকান। আর্থিক টানাপোড়নে চার বছর আগে বাধ্য হোন দোকানটি ছেড়ে দিতে। গ্রামে ফিরে শুরু করেন নার্সারি। রাত-দিন পরিশ্রম করে দাঁড় করান নার্সারিটিকে। এখন তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত এলাকায়। গল্পটা গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কিশামত দশলিয়া গ্রামের আব্দুর রহিমের (৩৫)।
রহিম বলেন, ‘তরুণ বয়সে সংসারের অভাব-অনটনের কারণে ঢাকা শহরে পাড়ি দিই। শুরুতে পোশাক কারখানায় চাকরি করি। তারপর সেটা ছেড়ে দিয়ে সাভারের জিরানী বাজারে একটি মুদির দোকান দিই। সেই দোকান অর্থের অভাবে বেশি দিন টেকেনি। বেকার অবস্থায় ফিরে আসি গ্রামের বাড়িতে। জীবনযুদ্ধে হার না মেনে পরিচিত এক কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ২০১৯ সালে বাড়ির পাশের পতিত ১০ শতক জমিতে গাছের চারা রোপণ করি।’
রহিম আরও বলেন, ‘শুরুতে জায়গার সংকটসহ নানান সমস্যায় পড়তে হয়। নার্সারি ব্যবসায় ধীরে ধীরে সফলতা আসতে শুরু করে। একপর্যায়ে পাশে দাঁড়ান বড় ভাই সাইফুল ইসলাম। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে চারা রপ্তানি করছি তুরস্ক, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশে চারা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এখন আকারে অনেক বড় হয়েছে নার্সারিটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কিশামত দশলিয়া গ্রামে রহিমের মায়ের দোয়া নামের ২০ বিঘা জমির ওপর বিশাল এক নার্সারি। বিভিন্ন জাতের গাছ দোল খাচ্ছে বাতাসে। নার্সারিতে শোভা পাচ্ছে বিদেশি জাতের আম, মাল্টা, লেবু, জাম্বুরা, আনারস, ফুলসহ দেশি শতাধিক জাতের চারা। উন্নত জাতের ফল, ফুল ছাড়াও এখানে আছে ঔষধি গাছের চারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রহিম নতুন নতুন জাতের চারা উৎপাদন করে এলাকায় বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। একজন প্রতিষ্ঠিত নার্সারি মালিক হয়েও এখনো তিনি নিজ হাতে চারার পরিচর্যা করেন। কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করেছেন।
রহিমের ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, নার্সারিতে উন্নত জাতের ফল ও ফুলের চারা বিক্রি করে মাসে ৩ লাখ টাকা উপার্জন করছেন তাঁর ছোট ভাই। নার্সারিতে প্রতিদিন ২০-২৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আব্দুর রহিমের নার্সারি এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তাঁর নার্সারিতে যদি কোনো রকম সহযোগিতার দরকার হয়, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে থেকে করা হবে।
সাদুল্যাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিউল আলম দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুরু থেকে সফল ওই নার্সারির মালিককে আমরা পরামর্শ দিয়ে আসছি। সফলতার জন্য আমরা তাঁকে ক্রেস্টও দিয়েছি। এই নার্সারির উন্নত জাতের ফল ও ফুলের চারা বিদেশে রপ্তানি করে যাতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারেন, সে জন্যও নানান ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।’
রাত ১০টার দিকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে কপালে টিপ পরে, ঘোমটা দিয়ে হলে প্রবেশ করে ওই যুবক। এ সময় পোশাক ও হাঁটা দেখে আশপাশের শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। পরে তাঁরা হল সুপারকে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে বলেন। সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে হল সুপারসহ ওই নারী শিক্ষার্থীর কক্ষে যান...
১১ মিনিট আগেবরগুনার তালতলীর জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে দেদার নিধন করছেন মাছের পোনাসহ ছোট চিংড়ি। এতে ধ্বংস হচ্ছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য। এ ক্ষেত্রে দাদন ব্যবসায়ীরা মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা প্রশাসনকে হাত করতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন। তবে সরকারি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ...
২১ মিনিট আগেডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৮ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৮ ঘণ্টা আগে