বাড়ছে ভিক্ষুকের সংখ্যা

তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২১, ১৫: ০৭
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, ১৫: ৩৬

পীরগাছায় দিন দিন বেড়েই চলছে ভিক্ষুকের সংখ্যা। সপ্তাহের অন্য দিনের তুলনায় শুক্রবার উপজেলা শহরে কয়েক শ মানুষ সাহায্যের আশায় ভিড় করছেন।

সরকারিভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রম থাকলেও পীরগাছায় এ কর্মসূচি চোখে পড়েনি। ভিক্ষুকেরা প্রতিদিনই হাটবাজারগুলোতে জড়ো হচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও বাজারে প্রতিদিন ভিক্ষা করতে আসেন নানা বয়সী নারী-পুরুষ। তাঁরা অন্যান্য দিনের চেয়ে শুক্রবার পীরগাছা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশাপাশি পারুল ইউনিয়নের দেউতি, কৈকুড়ী ইউনিয়নের চৌধুরাণী বাজার, তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ভোলানাথ ও নেকমামুদ বাজার, ছাওলা ইউনিয়নের পাওটানাহাট এবং অন্নদানগর ইউনিয়নের বাজার জামে মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদের সামনে ভিড় করছেন।

কোনো মুসল্লি নামাজ শেষে বের হলেই তাঁর দিকে ছুটে যান সাহায্যপ্রার্থীরা। গুটিকয়েক মুসল্লি ভিক্ষা দিলেও বিড়ম্বনায় পড়ছেন অন্য মুসল্লিরা।

কথা হয় মর্জিনা বেগম নামে এক ভিক্ষুকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘স্বামী নেই। সন্তানেরা খাবার দেয় না। তাই বাধ্য হয়ে ভিক্ষা করি। সরকার বয়স্ক এবং বিধবা ভাতা দিলেও ৩ থেকে ৬ মাস অন্তর দেওয়ায় আমাদের ভিক্ষা করতে হচ্ছে।’

আরেক ভিক্ষুক জরিনা বেগম জানান, সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষা করে দুপুরে মসজিদের সামনে আসেন। সব মিলিয়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা সংগ্রহ হলেই চলে যান।

পাওটানা হাটের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ও মাসুদ রানা বলেন, আশপাশের উপজেলা থেকেও ভিক্ষুকেরা পীরগাছায় আসছেন। আগে যেখানে সারা দিনে দোকানে ১০ জনের মতো সাহায্য নিতে আসতেন, এখন তা ৩০ জনে পৌঁছেছে। তাঁরা এমন অনুনয়-বিনয় করছেন যে ভিক্ষা না দিয়ে পারছেন না। আবার লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ থাকায় অনেকেই ভিক্ষা দিচ্ছেন না। ফলে তাঁরা অসহায় হয়ে পড়েছেন।

ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামসুল আরেফীন বলেন, ‘এ রকম কোনো প্রকল্প চালু আছে কি না, জানি না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। ভিক্ষুক পুনর্বাসনে সরকারি নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত