অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় বিদ্যুৎকর্মীদের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
Thumbnail image

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় বিদ্যুৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এতে বিদুৎকর্মীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। 

আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার মহিষখোচা বাজারে হামলার এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা জিন্নাত আলী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া গ্রামের নুরল হকের ছেলে। তিনি মহিষখোচা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা জিন্নাত আলী দীর্ঘদিন ধরে মহিষখোচা বাজারে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ওয়ার্কশপ ও বাজারের ১৫–২০টি দোকানে ব্যবসা করে আসছেন। বিগত সময় এ অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রস্তুতি নিলে দলীয় প্রভাবে তা করতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আদিতমারী জোনাল অফিস। 

আজ সোমবার দুপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আদিতমারী জোনাল অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ জালালের নেতৃত্বে ৯ জনের একটি দল যুবলীগ নেতার অবৈধ সংযোগের বিষয়টি তদন্তে যান। এ সময় অবৈধ সংযোগের বিষয়টি বুঝতে পেয়ে বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের ওপর রড লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালায় যুবলীগ নেতা জিন্নাত আলী ও তাঁর লোকজন। 

একপর্যায়ে পাশের দোকানে আত্মরক্ষা করলে সেখানে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এতে বিদ্যুৎ অফিসের ৯ জন এবং যুবলীগ নেতার ভাই এরশাদ আলী বিবাদ মিটাতে গিয়ে আহত হন। খবর পেয়ে আদিতমারী থানা-পুলিশ ও সেনা সদস্যরা গিয়ে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্ধার করে আদিতমারী হাসপাতালে পাঠান। 

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা জিন্নাত আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আহতদের মধ্যে সহকারী জুনিয়র প্রকৌশলী অন্নদা প্রসাদ রায় (৩১) ও সেলিম রেজা (৪৫) হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিলেও বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। 

এ ঘটনায় আদিতমারী জোনাল অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ জালাল বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা জিন্নাত আলী ও তাঁর ছেলে রুবেল মিয়ার (১৯) নামে মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাঁধাসহ কয়েকটি ধারায় আদিতমারী থানায় একটি মামলা করেন। 

হামলায় আহত ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসা আদিতমারী জোনাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার আইয়ুব আলী বলেন, ‘অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে যুবলীগ নেতার হামলায় ৯ জনের দলের সবাই আহত হয়েছেন। আমরা মামলা করেছি। আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিপূর্বেও যুবলীগ নেতা সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী কর্মকর্তার (এপিএস) মিজানুর রহমান মিজানের প্রভাব দেখিয়েছিল।’ 

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মূল হোতা জিন্নাত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত