চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের চিলমারী চরাঞ্চলে ‘ঘুষ না দেওয়ায়’ দেড় শতাধিক গ্রাহককে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অথচ ২০১৮ সালে ওই এলাকা শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়। গ্রাহকদের অভিযোগ–উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নে ৩৯ কিলোমিটার এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের লাইন নির্মাণ করা হয়। পরে ২৭ কিলোমিটার সংযোগ দেওয়া হলেও পরিদর্শককে টাকা না দেওয়ায় বাকি এলাকায় সংযোগ না দিয়ে চলে যান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পল্লী বিদ্যুতের (ওয়ারিং) পরিদর্শক মো. লুৎফর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি কারও কাছে টাকা-পয়সা চাননি। ওই এলাকায় বাড়ি ওয়ারিংয়ের কথা তাঁর জানা নেই বলে জানান তিনি।
একই কথা জানান তৎকালীন সহকারী জুনিয়র প্রকৌশলী মোক্তারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো টাকা নিইনি। আমি ওই এলাকার গ্রাহকের বিদ্যুৎ প্রদানের জন্য সহযোগিতা করেছি মাত্র।’
জানা গেছে, ২০১৮ সালের জুন মাসে চিলমারীকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন উপজেলা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। পরে উপজেলার চরাঞ্চল চিলমারী ইউনিয়নকে বিদ্যুতের আওতায় আনার জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের নিচ দিয়ে পাঁচ কিলোমিটার সাবমেরিন কেব্ল স্থাপন করা হয়।
কেব্ল স্থাপনের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন দুর্গম চরাঞ্চল চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতী, বৈলমন্দিয়ার খাতা, কড়াই বরিশাল, ঢুষমারা, গাজীরপাড়া, বিশার পাড়া, আমতলা, ছালিপাড়া, যুগ্নিদহ, মানুষমারা ও আঠারো পাখি গ্রামের ৩৯ কিলোমিটার এলাকায় লাইন নির্মাণ করে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। পরে পল্লী বিদ্যুতের চিলমারী জোনাল অফিসের তৎকালীন ডিজিএমের সময়ে ২৭ কিলোমিটার এলাকায় ২ হাজার ২০০ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমতলা এলাকায় ২২টি বাড়ি, মানুষমারারচর এলাকায় ৩৮টি বাড়ি, আঠারো পাখি এলাকায় ৩৫টি বাড়ি ও যুগ্নিদহ এলাকায় ৪৫টি বাড়ি মিলে মোট ১৪০টি বাড়িতে বিদ্যুতের ওয়ারিং করা হয়েছে, কিন্তু মিটারে সংযোগ দেওয়া হয়নি। ওইসব বাড়িতে এক বছর আগে এসটি তার ও সার্ভিস তার প্রদান করা হয়েছে এবং বাড়িগুলো ওয়ারিং করে তাদের জন্য ছয়টি ট্রান্সফরমার বরাদ্দ করা হয়। টাকা-পয়সা খরচ করে এতসব কাজ করেও অজানা কারণে তাদের মিটারে সংযোগ দেওয়া হয়নি।
মানুষমারারচর এলাকায় এহসানুল হক ও মোন্নাফ আলী ব্যাপারী নিজেদের নামে দুটি সেচের লাইসেন্স নিয়েছেন, কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগ না পাওয়ায় তাঁরা কৃষি জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না।
বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় অতিরিক্ত গরমে গরু অসুস্থ হওয়া এবং চুরি-ডাকাতির ভয়ে কম দামে দুটি গরু বিক্রি করেছেন বলেন জানান নওশাদ আলী নামের এক খামারি।
মানুষমারারচর এলাকার কামরুজ্জামান, আব্দুল্লাহ, হাফিজুর রহমান, আবু সায়েদসহ কয়েকজন জানান, ‘বিদ্যুতের লাইন নির্মাণ হওয়ায় আমরা গরু মোটা-তাজাকরণের প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। সে মোতাবেক আমরা গরুও কিনেছি। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় আমরা গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’
একই এলাকার মো. এহসানুল হক, মমিনুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য তাঁরা কয়েক দফায় বর্তমান ডিজিএমের কাছে গেলে তিনি পরিদর্শক লুৎফর রহমানকে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে বলেন।
পরে ওয়ারিং পরিদর্শক লুৎফর রহমান পরিদর্শনে এসে বিভিন্ন ত্রুটি বের করেন এবং তার সহযোগী সাহেব আলীর মাধ্যমে মিটারপ্রতি এক হাজার টাকা উৎকোচের দাবি করেন। টাকা দিলে দুই দিনেই মিটার সংযোগ দেওয়ার কথা বলেন তাঁরা।
আমতলা এলাকার জাহাঙ্গীর আলম, সোহরাব আলী, মহেলা বেগম ও রোকেয়া খাতুন জানান, তাঁদের বাড়ি ওয়ারিংসহ মিটার নেওয়ার জন্য স্থানীয় তাজুল ইসলাম ও হাসানকে তাঁরা এক থেকে দেড় হাজার টাকা দিয়েছেন ছয় মাস আগে। অদ্যাবধি তাঁরা সংযোগ কিংবা টাকা কোনোটিই পাচ্ছেন না।
একই এলাকার তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সহজে বিদ্যুতের সংযোগ পেতে টাকা উত্তোলন করে তৎকালীন সহকারী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মোক্তারুলকে ১৬ হাজার টাকা দিয়েছি। তিনি বদলি হয়ে যাওয়ায় কাজ ও টাকা কোনোটিই পাচ্ছি না।’
কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চিলমারী জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী মো. মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই এলাকায় ওয়ারিং সম্পন্ন না হওয়ায় সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না।’
কুড়িগ্রামের চিলমারী চরাঞ্চলে ‘ঘুষ না দেওয়ায়’ দেড় শতাধিক গ্রাহককে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অথচ ২০১৮ সালে ওই এলাকা শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়। গ্রাহকদের অভিযোগ–উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নে ৩৯ কিলোমিটার এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের লাইন নির্মাণ করা হয়। পরে ২৭ কিলোমিটার সংযোগ দেওয়া হলেও পরিদর্শককে টাকা না দেওয়ায় বাকি এলাকায় সংযোগ না দিয়ে চলে যান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পল্লী বিদ্যুতের (ওয়ারিং) পরিদর্শক মো. লুৎফর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি কারও কাছে টাকা-পয়সা চাননি। ওই এলাকায় বাড়ি ওয়ারিংয়ের কথা তাঁর জানা নেই বলে জানান তিনি।
একই কথা জানান তৎকালীন সহকারী জুনিয়র প্রকৌশলী মোক্তারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো টাকা নিইনি। আমি ওই এলাকার গ্রাহকের বিদ্যুৎ প্রদানের জন্য সহযোগিতা করেছি মাত্র।’
জানা গেছে, ২০১৮ সালের জুন মাসে চিলমারীকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন উপজেলা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। পরে উপজেলার চরাঞ্চল চিলমারী ইউনিয়নকে বিদ্যুতের আওতায় আনার জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের নিচ দিয়ে পাঁচ কিলোমিটার সাবমেরিন কেব্ল স্থাপন করা হয়।
কেব্ল স্থাপনের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন দুর্গম চরাঞ্চল চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতী, বৈলমন্দিয়ার খাতা, কড়াই বরিশাল, ঢুষমারা, গাজীরপাড়া, বিশার পাড়া, আমতলা, ছালিপাড়া, যুগ্নিদহ, মানুষমারা ও আঠারো পাখি গ্রামের ৩৯ কিলোমিটার এলাকায় লাইন নির্মাণ করে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। পরে পল্লী বিদ্যুতের চিলমারী জোনাল অফিসের তৎকালীন ডিজিএমের সময়ে ২৭ কিলোমিটার এলাকায় ২ হাজার ২০০ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমতলা এলাকায় ২২টি বাড়ি, মানুষমারারচর এলাকায় ৩৮টি বাড়ি, আঠারো পাখি এলাকায় ৩৫টি বাড়ি ও যুগ্নিদহ এলাকায় ৪৫টি বাড়ি মিলে মোট ১৪০টি বাড়িতে বিদ্যুতের ওয়ারিং করা হয়েছে, কিন্তু মিটারে সংযোগ দেওয়া হয়নি। ওইসব বাড়িতে এক বছর আগে এসটি তার ও সার্ভিস তার প্রদান করা হয়েছে এবং বাড়িগুলো ওয়ারিং করে তাদের জন্য ছয়টি ট্রান্সফরমার বরাদ্দ করা হয়। টাকা-পয়সা খরচ করে এতসব কাজ করেও অজানা কারণে তাদের মিটারে সংযোগ দেওয়া হয়নি।
মানুষমারারচর এলাকায় এহসানুল হক ও মোন্নাফ আলী ব্যাপারী নিজেদের নামে দুটি সেচের লাইসেন্স নিয়েছেন, কিন্তু বিদ্যুতের সংযোগ না পাওয়ায় তাঁরা কৃষি জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না।
বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় অতিরিক্ত গরমে গরু অসুস্থ হওয়া এবং চুরি-ডাকাতির ভয়ে কম দামে দুটি গরু বিক্রি করেছেন বলেন জানান নওশাদ আলী নামের এক খামারি।
মানুষমারারচর এলাকার কামরুজ্জামান, আব্দুল্লাহ, হাফিজুর রহমান, আবু সায়েদসহ কয়েকজন জানান, ‘বিদ্যুতের লাইন নির্মাণ হওয়ায় আমরা গরু মোটা-তাজাকরণের প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। সে মোতাবেক আমরা গরুও কিনেছি। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় আমরা গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’
একই এলাকার মো. এহসানুল হক, মমিনুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য তাঁরা কয়েক দফায় বর্তমান ডিজিএমের কাছে গেলে তিনি পরিদর্শক লুৎফর রহমানকে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে বলেন।
পরে ওয়ারিং পরিদর্শক লুৎফর রহমান পরিদর্শনে এসে বিভিন্ন ত্রুটি বের করেন এবং তার সহযোগী সাহেব আলীর মাধ্যমে মিটারপ্রতি এক হাজার টাকা উৎকোচের দাবি করেন। টাকা দিলে দুই দিনেই মিটার সংযোগ দেওয়ার কথা বলেন তাঁরা।
আমতলা এলাকার জাহাঙ্গীর আলম, সোহরাব আলী, মহেলা বেগম ও রোকেয়া খাতুন জানান, তাঁদের বাড়ি ওয়ারিংসহ মিটার নেওয়ার জন্য স্থানীয় তাজুল ইসলাম ও হাসানকে তাঁরা এক থেকে দেড় হাজার টাকা দিয়েছেন ছয় মাস আগে। অদ্যাবধি তাঁরা সংযোগ কিংবা টাকা কোনোটিই পাচ্ছেন না।
একই এলাকার তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সহজে বিদ্যুতের সংযোগ পেতে টাকা উত্তোলন করে তৎকালীন সহকারী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মোক্তারুলকে ১৬ হাজার টাকা দিয়েছি। তিনি বদলি হয়ে যাওয়ায় কাজ ও টাকা কোনোটিই পাচ্ছি না।’
কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চিলমারী জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী মো. মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই এলাকায় ওয়ারিং সম্পন্ন না হওয়ায় সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় নীলফামারী-১ আসনের (ডোমার-ডিমলা) সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আফতাব উদ্দিন সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (৫ মার্চ) মধ্যরাতে রংপুর নগরীর সেনপাড়ার গুড় মজিবরের বাড়ি থেকে তাঁকে...
৩৭ মিনিট আগেরাজধানীর গাবতলীতে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সামনে শাহী মসজিদ বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন জানান, আগুনে বস্তির প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগেনেতৃত্বের শূন্যতায় ধুঁকছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি)। তার প্রভাব পড়ছে নগরজীবনে। নগরবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, দূষণ, যানজট, জলজট, খানাখন্দে ভরা রাস্তাঘাট, মশার উপদ্রব, সড়কবাতির অভাবে রাতে ভুতুড়ে পরিবেশ—এসব এখন নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই।
৫ ঘণ্টা আগেদেশীয় পেঁয়াজ, রসুন, আলু ও লবণের ভরা মৌসুম এখন। চলতি মৌসুমে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় এই সময়ে কৃষকের মুখে হাসি ফোটার কথা। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক, পণ্যের উৎপাদন খরচও তুলতে না পেরে হতাশ কৃষকেরা।
৭ ঘণ্টা আগে