তিস্তায় নৌকাডুবি: নিখোঁজদের সন্ধানে চলছে ৩য় দিনের অভিযান

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ জুন ২০২৪, ১২: ৩৩
Thumbnail image

কুড়িগ্রামের উলিপুরের বজরা ইউনিয়নে তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। আজ শুক্রবার সকালে তিস্তায় এই অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। সকাল পর্যন্ত নিখোঁজ ছয় যাত্রীর সন্ধান মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগে আছেন স্বজন ও উদ্ধারকর্মীরা।

উলিপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের সাব অফিসার মো. আব্বাস আলী জানান, আজ শুক্রবার তৃতীয় ও শেষ দিনের উদ্ধার অভিযানে তাঁরা অংশ নিয়েছেন। দুজন ডুবুরি ও তাঁদের এক সহযোগী এবং ফায়ার সার্ভিসের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন। তবে নদীর পানি উত্তাল থাকায় উদ্ধারকাজে প্রতিকূলতা সৃষ্টি হচ্ছে।

আব্বাস আলী বলেন, ‘ঘটনার তিন দিনেও নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ডুবুরিরা ঠিকভাবে কাজ করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।’ আজ শুক্রবার অভিযানের সমাপ্তি করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, নৌকাডুবির ঘটনায় এক দম্পতি ও তাঁদের এক সন্তানসহ ছয় যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে। তীব্র স্রোতে অশান্ত তিস্তায় গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ যাত্রীদের কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত করে আজ সকালে আবারও শুরু হয়েছে।

নিখোঁজ যাত্রী আনিছুর রহমানের বাবার বরাতে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘আনিছুরের বাবা তাঁর ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতনির নৌকায় থাকা ও নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিখোঁজ অপর তিন যাত্রীও শিশু বলে স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে।’

ইউএনও বলেন, ‘নদী অশান্ত। প্রতিকূলতার মধ্যে ডুবুরি দল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনাস্থলের ভাটিতে চিলমারী ও সুন্দরগঞ্জ এলাকায় নিখোঁজদের সন্ধানে আমরা নজরদারি রেখেছি। এ ছাড়া হরিপুর সেতুর কাছেও টিম রাখা হয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আজ শুক্রবারও উদ্ধার অভিযান চলবে।’

এর আগে বুধবার সন্ধ্যার দিকে উলিপুরের বজরা ইউনিয়নের খামারদামার হাট এলাকার মাঝের চরের কাছে তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকায় নারী ও শিশুসহ ২৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে উদ্ধার যাত্রীদের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে। উলিপুরের বজরা পুরান বাজার এলাকা থেকে তাঁরা তিস্তা নৌপথে রংপুরের পীরগাছা এলাকার পাওটানা গাবুরারচর গ্রামে ফিরছিলেন। এ সময় বজরা ইউনিয়নের খামারদামার হাট মাঝের চরের কাছে নৌকা ডুবে যায়। গত বুধবার রাতেই ১৮ জনকে জীবিত এবং আয়শা নামের দেড় বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ছয়জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত