মিঠাপুকুরে জ্বর ও সর্দি-কাশির প্রকোপ

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি 
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৪: ২৮
আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৪: ২৯
মিঠাপুকুরে হাসপাতালে রোগীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের মিঠাপুকুরে দিনে কড়া রোদ থাকলেও রাতে কুয়াশা পড়ছে। প্রকৃতির দ্বৈত আচরণের এই সময়ে জ্বর ও সর্দি-কাশির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এসব উপসর্গ দেখা দিচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকেরা।

শীত আসি আসি করা এই সময়ে প্রায় পরিবারেই কেউ না কেউ জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। একাধিক নারী-পুরুষের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই প্রতীয়মান হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকিট ক্লার্ক মহসিন আলী বলেন, ১৫ দিন ধরে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তাঁর দেওয়া তথ্য মতে, বর্তমান সময়ে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৮০ থেকে ১২০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল আবেদীন বলেন, তিনি ও তাঁর দুই শিশুসন্তান জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

বন্দনা রানী নামের একজন গৃহিণী বলেন, তাঁর স্বামীর জ্বর, সর্দি ও শরীর ব্যথা ছিল। ওই সব উপসর্গ ভালো হওয়ার পর ১৫ দিন ধরে কাশিতে ভুগছেন।

নিজাম মিয়া নামের একজন বৃদ্ধ বলেন, কাশিসহ গায়ে ব্যথায় ভুগছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী বলেন, তাঁর শিশু সন্তানের সর্দি ও মুখে ঘা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে শুধু সর্দির ওষুধ দেওয়া হয়েছে। মুখের ঘায়ের জন্য ওষুধ কিনতে বলা হয়েছে।

মিঠাপুকুরে হাসপাতালে রোগীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিঠাপুকুরে হাসপাতালে রোগীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক এম এ ওয়াহেদ বলেন, দিনে বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহার করতে হচ্ছে। কিন্তু রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে।

অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, বর্তমানে মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ চলছে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময়ে ভাইরাসজনিত জ্বর ও সর্দি-কাশি হতে পারে। তিনি জানান জ্বর হলে ৩-৪ দিন স্থায়ী হয়। এরপরও যদি জ্বর ও কাশি ভালো না হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে।

মিঠাপুকুরে হাসপাতালে রোগীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিঠাপুকুরে হাসপাতালে রোগীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) এম এ হালিম বলেন, ‘শীতের শুরুতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভাইরাসজনিত জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রকোপ দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশুরা শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও সর্দিতে আক্রান্ত হয়। বৃদ্ধদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল, টাটকা শাকসবজি, তরল খাবার ও পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।

এম এ হালিম আরও বলেন, বিছানার চাদর, বালিশ ও পোশাক পরিচ্ছদ রোদে দিয়ে ব্যবহার করা ভালো। ভাইরাসজনিত এসব রোগের লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন তিনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত