Ajker Patrika

নির্দোষ নারীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো সেই এসআই প্রত্যাহার

শিপুল ইসলাম, রংপুর
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯: ৪২
নির্দোষ নারীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো সেই এসআই প্রত্যাহার

রংপুরে কাউনিয়া থানায় নামের মিল থাকায় নির্দোষ নারীকে রাতভর থানায় শিশুসন্তানসহ আটকে রেখে পরদিন আদালতে পাঠানোর ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই রবিউল ইসলামকে রংপুর পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সোমাবর (১ জুলাই) রাতে এই প্রত্যাহার আদেশ দেওয়া হয়। 

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোছা. সুলতানা রাজিয়াকে ঘটনা অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

গত ২৯ জুন আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় ও অনলাইনে ‘নামের মিলে গ্রেপ্তার অন্য নারী, পুলিশের ভুলে ভাঙছে সংসার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। 

শিশুসন্তানসহ নির্দোষ ওই নারীকে আটকে রেখে আদালতে পাঠানোর খবর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এলে স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ (সুয়োমোটো) গ্রহণ করে তারা। ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের কাছে ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আজ সোমবার চিঠি দিয়েছে। জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান স্বাক্ষরিত এসংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি রয়েছে। 

ঘটনা অনুসন্ধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোছা. সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘আজ দুপুরে সরেজমিনে ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগী নারীর মা ও ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। এ সময় ভুক্তভোগী নারীকে বাড়িতে পাইনি। পরে তাঁর সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তথ্য সংগ্রহ করেছি।’ 

রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, ঘটনায় অভিযুক্ত কাউনিয়া থানার এসআই রবিউল ইসলামকে প্রশাসনিক কারণে থানা থেকে আজ রাতে রংপুর পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের বড়ুয়াহাট গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মমতাজ বেগমের নামে প্রতারণার অভিযোগে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। কিন্তু তাঁর বদলে একই ইউনিয়নের চান্দঘাট গ্রামের সেকেন্দার আলীর নির্দোষ স্ত্রী শারমিন আক্তার ওরফে মমতাজকে গত ২২ জুন বিকেল ৪টার দিকে কাউনিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম গ্রেপ্তার করেন। এরপর কোলের শিশুসন্তানসহ শারমিন আক্তারকে থানা হাজতে ২৩ এপ্রিল বেলা ২টা পর্যন্ত প্রায় ২২ ঘণ্টা আটকে রেখে তিনি আদালতে পাঠান। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় কাউনিয়া থানা সদর কোর্ট থেকে শারমিন জামিনে মুক্তি পেয়ে অভিযুক্ত এসআই রবিউলের শাস্তির দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত