সৈয়দপুরে ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশা, বিপাকে মানুষ

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১২: ৪০
Thumbnail image

নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসে চরম বিপাকে মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস, যা এই মৌসুমে নীলফামারী জেলায় সর্বনিম্ন।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিনে সকাল ৯টায় তা কমে গিয়ে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। তাপমাত্রা নেমে গিয়ে আজ সকাল ৬টা ও ৯টায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এ ছাড়া সৈয়দপুরসহ এই অঞ্চলে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার বেগে ঠান্ডা বাতাস বইছে। ঘন কুয়াশায় সকাল ১০টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ৪০০ মিটার।

এদিকে শৈত্যপ্রবাহে দুর্ভোগ বেড়েছে এই অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের। শীতের তীব্রতার হাত থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছেন তাঁরা। গবাদিপশু শীত থেকে বাঁচাতে চট বা বস্তা দিয়ে শরীর ঢেকে রাখছেন মালিকেরা।

আজ সকাল ১০টায় সৈয়দপুর শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে কথা হয় রিকশাচালক মন্টু আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রী রিকশায় ওঠেনি। শহরে লোকজনের চলাফেরা অনেক কম। অধিকাংশ দোকানপাট এখনো বন্ধ রয়েছে। ঠান্ডায় রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয়। পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে বের হতে হলো।’

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘন কুয়াশায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে সকাল ১০টায় দৃষ্টিসীমা ছিল ৪০০ মিটার, যা ফ্লাইট ওঠানামার উপযোগী নয়। অবশ্যই রানওয়ে এলাকায় সর্বনিম্ন দৃষ্টিসীমা থাকতে হবে ২ হাজার মিটার। দুপুরের মধ্যে ঘন কুয়াশা কেটে যাবে বলে জানান তিনি।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে প্রায়ই সৈয়দপুর বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। তবে দুপুরের মধ্যে কুয়াশা কেটে গিয়ে তা স্বাভাবিক হওয়ায় কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত