Ajker Patrika

সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলা বাদশাকে চাকরির আশ্বাস দিলেন ইউএনও

জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
আপডেট : ৩০ মে ২০২৩, ২১: ৩৪
সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলা বাদশাকে চাকরির আশ্বাস দিলেন ইউএনও

চাকরি না পেয়ে স্নাতকসহ সব একাডেমিক সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলা যুবক বাদশা মিয়া চাইলে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

নীলফামারীর ডিমলার ওই যুবক প্রায় ২০টি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দিয়েও চাকরি পাননি। এরই মধ্যে সরকারি চাকরির বয়সসীমা পেরিয়ে গেছে। হতাশায় ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ফেসবুক লাইভে সব একাডেমিক সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের ধানখেতে দেখা হয় বাদশা মিয়ার সঙ্গে। তীব্র রোদের মধ্যে তিনি নিজের জমির ধান কেটে কাঁধে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বয়োবৃদ্ধ বাবা তাঁকে সহযোগিতা করছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে হাল ধরেছেন বাদশা। সামান্য আবাদি জমির ফসল দিয়ে কোনো রকমে দিনযাপন করছেন।

বাদশা মিয়া দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের মহুবার রহমানের ছেলে। অভাবের সংসারে ছয় ভাইবোনের মধ্যে বাদশাই সবার বড়। ২০১৪ সালে নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তবে অর্থের অভাবে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে পারেননি। বাদশা ২০০৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগে দাখিল, ২০০৯ সালে বিজ্ঞান বিভাগে আলিম সম্পন্ন করেন।

বাদশা মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সনদ ছিঁড়ে ফেলার পর রোজ নামে একটি কুরিয়ার সার্ভিস আমাকে চাকরি দিয়েছিল। কিন্তু সেখানে তিন মাস চাকরি করার পর এক মাসের বেতন দেওয়ায় চাকরি ছেড়ে চলে এসেছি। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঢাকায় কনস্ট্রাকশনের কাজে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে শ্রমিক হিসেবে আমাকে দৈনিক হাজিরায় কাজ দেওয়ায় তা ছেড়ে চলে আসি।’

বাদশার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাকরি ছেড়ে চলে আসার বিষয়টি জানা ছিল না। বাদশা যদি চায় তাহলে তাকে আইসিটি কিংবা অন্য কোনো বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা হবে। পরবর্তীতে সেই দক্ষতাভিত্তিক চাকরির ব্যবস্থা করা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত