জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
নীলফামারীর তহশিলদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাজি এমদাদুল হক। তাঁর বাড়ির উঠানে শিকলে বাঁধা রয়েছে মস্ত বড় লোহার একটি কড়াই। তাঁর পূর্বপুরুষেরা হাতিকে পানি খাওয়ানোর জন্য এটি ব্যবহার করত বলে জানান তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, কড়াইটি পূর্বপুরুষদের ২০০ বছরের ঐতিহ্য। হাতিকে পানি খাওয়ানোর জন্য এ কড়াইটি ভারত থেকে আনা হয়েছিল। সম্প্রতি কড়াইটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নিদর্শনের স্বীকৃতিও পেয়েছে।
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের তহশিলদারপাড়ার হাজি এমদাদুল হকের বাড়িতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই কড়াইটি দেখার জন্য আসছেন। শত বছরের স্মৃতিজড়িত লোহার কড়াইটি সংরক্ষণে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জেলা প্রশাসনকে অবগত করেছে। কিন্তু এতে আপত্তি তুলেছেন কড়াইটির হাজি এমদাদুল হকের পরিবার। বরং নিজেদের কাছে রেখে এটিকে উন্মুক্ত করে দিতে চান তাঁরা। স্থানীয়রাও কড়াইটি হাতছাড়া করতে চাইছেন না। কড়াই রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধনও করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, লোহার এ কড়াইটি ৭ ফুট ব্যাসের। ওজন প্রায় এক টন। উচ্চতা প্রায় ৭ ফুট। জনশ্রুতি রয়েছে, এটি প্রায় পৌনে ২০০ বছর আগের। সে সময়কার জমিদারবাড়িতে হাতির পানির পাত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
হাজি এমদাদুল হক পূর্বপুরুষদের স্মৃতিচারণা করে আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রায় ১৭৫ বছর আগে তাঁর বাবার বড় ভাই মরহুম ভুল্ল্যা মামুদ সরকার এটি ভারত থেকে কিনে এনেছিলেন। ভুল্ল্যা মামুদ সরকার তহশিলদার ছিলেন। হাতিকে পানি খাওয়ানোর জন্য তিনি লোহার তৈরি কড়াইটি কেনেন। তাঁদের হাতি না থাকলেও এখনো সেই কড়াইটি ঐতিহ্য বহন করে আসছে।
এমদাদুল হক আরও বলেন, কড়াইটি সরকারি কিংবা কোনো রাজা-বাদশার কীর্তি নয়, এটা তাঁদের বংশের ঐতিহ্য। এই কড়াইটির নামে এখানে মসজিদ ও মাদ্রাসা রয়েছে। এই এলাকা ‘হাতির কড়াই’ নামে পরিচিত। পুরোনো ঐতিহ্যের হাতির কড়াইটি এখন জাদুঘরে নেওয়ার জন্য এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
ভুল্ল্যা মামুদ সরকারের নাতি ইকবাল বিন ইমদাদ আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘বাবার মুখে শুনেছি, এটি হাতির কড়াই। আমার দাদার বাবার দুইটা হাতি ছিল। বাড়ির পাশের দেওনাই নদীতে হাতি দুটোকে পানি খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হতো। কিন্তু পানি খাওয়ার পর নাকি হাতি আর বাড়ি ফিরতে চাইত না। এ কারণে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে কড়াইটি কিনে নিয়ে আসেন। পরে ওই কড়াইতে হাতিকে পানি খাওয়ানো হতো। এখন হাতি নেই কিন্তু কড়াইটি আছে।’
ইমদাদ আরও বলেন, ‘কড়াইটি ভালোভাবে সংরক্ষণে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। ঝড়বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাতে এটি নষ্ট বা ধ্বংস না হয়, সেটাও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাদের বংশের কারণে এলাকার নাম তহশিলদারপাড়া। এই নাম ও কড়াইয়ের সঙ্গে আমাদের এবং এলাকার একটা ঐতিহ্য ও স্মৃতি জড়িয়ে আছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর জাদুঘরে রাখার জন্য কড়াইটি চেয়েছিল, কিন্তু এটা তো আমাদের ব্যক্তিগত সম্পদ।’
তহশিলদারপাড়ার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম জানান, ‘এখন হাতি নাই তো কি হইছে? আমাদের এলাকায় হাতির পানি খাওয়ানোর জন্য বড় লোহার কড়াইটা আছে। এই কড়াইটি এখন আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য বহন করছে। এখানকার মানুষ যে একসময় হাতি পালন করত, তার প্রমাণ এটি। কড়াইয়ের কারণে এলাকার নামটাও হাতির কড়াই নামে পরিচিতি পেয়েছে। বিভিন্ন লোকজন বিভিন্ন জায়গা থেকে এই হাতির কড়াই দেখার জন্য আসে। এটা এলাকাতেই সংরক্ষণ করলে ভালো হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হাতির কড়াই সম্পর্কে জানতেও পারবে।’
কড়াইটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইব্রাহীম খলিল জানান, ‘কড়াইটা সব সময় আমি দেখাশোনা করি। ময়লা-আবর্জনা, বৃষ্টির পানি, গাছের পাতা পড়লে তা পরিষ্কার করি। বিভিন্ন জায়গা থেকে এই কড়াইটা দেখার জন্য মানুষ আসছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে গেলে ধর্মপাল হাতির কড়াই জলঢাকা থানা ঠিকানা বলে থাকি।’
রংপুর জাদুঘরের কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কড়াইটি জাদুঘরে সংরক্ষণের বিষয়ে আমাদের প্রধান কার্যালয় থেকে একটা চিঠি এসেছিল। সেই চিঠি নীলফামারী জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পরবর্তী পদক্ষেপ বা করণীয় সম্পর্কে তারা আমাদের কিছু জানায়নি।’
কড়াইটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংরক্ষণে কোনো বাধা আছে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘লোহার কড়াইটি ১০০ বছরেরও বেশি পুরোনো। আর ১০০ বছর হলে সেটিকে আমরা প্রত্নতত্ত্ব বস্তু বা সম্পদ বলে থাকি। তখন এসব আর কারও ব্যক্তিগত সম্পদে থাকে না। এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ হয়ে যায়। এখন ওই কড়াইটিও ব্যক্তিগতভাবে সংরক্ষণের কোনো সুযোগ নেই।’
নীলফামারীর তহশিলদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাজি এমদাদুল হক। তাঁর বাড়ির উঠানে শিকলে বাঁধা রয়েছে মস্ত বড় লোহার একটি কড়াই। তাঁর পূর্বপুরুষেরা হাতিকে পানি খাওয়ানোর জন্য এটি ব্যবহার করত বলে জানান তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, কড়াইটি পূর্বপুরুষদের ২০০ বছরের ঐতিহ্য। হাতিকে পানি খাওয়ানোর জন্য এ কড়াইটি ভারত থেকে আনা হয়েছিল। সম্প্রতি কড়াইটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নিদর্শনের স্বীকৃতিও পেয়েছে।
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের তহশিলদারপাড়ার হাজি এমদাদুল হকের বাড়িতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই কড়াইটি দেখার জন্য আসছেন। শত বছরের স্মৃতিজড়িত লোহার কড়াইটি সংরক্ষণে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জেলা প্রশাসনকে অবগত করেছে। কিন্তু এতে আপত্তি তুলেছেন কড়াইটির হাজি এমদাদুল হকের পরিবার। বরং নিজেদের কাছে রেখে এটিকে উন্মুক্ত করে দিতে চান তাঁরা। স্থানীয়রাও কড়াইটি হাতছাড়া করতে চাইছেন না। কড়াই রক্ষার দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধনও করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, লোহার এ কড়াইটি ৭ ফুট ব্যাসের। ওজন প্রায় এক টন। উচ্চতা প্রায় ৭ ফুট। জনশ্রুতি রয়েছে, এটি প্রায় পৌনে ২০০ বছর আগের। সে সময়কার জমিদারবাড়িতে হাতির পানির পাত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো।
হাজি এমদাদুল হক পূর্বপুরুষদের স্মৃতিচারণা করে আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রায় ১৭৫ বছর আগে তাঁর বাবার বড় ভাই মরহুম ভুল্ল্যা মামুদ সরকার এটি ভারত থেকে কিনে এনেছিলেন। ভুল্ল্যা মামুদ সরকার তহশিলদার ছিলেন। হাতিকে পানি খাওয়ানোর জন্য তিনি লোহার তৈরি কড়াইটি কেনেন। তাঁদের হাতি না থাকলেও এখনো সেই কড়াইটি ঐতিহ্য বহন করে আসছে।
এমদাদুল হক আরও বলেন, কড়াইটি সরকারি কিংবা কোনো রাজা-বাদশার কীর্তি নয়, এটা তাঁদের বংশের ঐতিহ্য। এই কড়াইটির নামে এখানে মসজিদ ও মাদ্রাসা রয়েছে। এই এলাকা ‘হাতির কড়াই’ নামে পরিচিত। পুরোনো ঐতিহ্যের হাতির কড়াইটি এখন জাদুঘরে নেওয়ার জন্য এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
ভুল্ল্যা মামুদ সরকারের নাতি ইকবাল বিন ইমদাদ আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘বাবার মুখে শুনেছি, এটি হাতির কড়াই। আমার দাদার বাবার দুইটা হাতি ছিল। বাড়ির পাশের দেওনাই নদীতে হাতি দুটোকে পানি খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হতো। কিন্তু পানি খাওয়ার পর নাকি হাতি আর বাড়ি ফিরতে চাইত না। এ কারণে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে কড়াইটি কিনে নিয়ে আসেন। পরে ওই কড়াইতে হাতিকে পানি খাওয়ানো হতো। এখন হাতি নেই কিন্তু কড়াইটি আছে।’
ইমদাদ আরও বলেন, ‘কড়াইটি ভালোভাবে সংরক্ষণে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। ঝড়বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাতে এটি নষ্ট বা ধ্বংস না হয়, সেটাও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাদের বংশের কারণে এলাকার নাম তহশিলদারপাড়া। এই নাম ও কড়াইয়ের সঙ্গে আমাদের এবং এলাকার একটা ঐতিহ্য ও স্মৃতি জড়িয়ে আছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর জাদুঘরে রাখার জন্য কড়াইটি চেয়েছিল, কিন্তু এটা তো আমাদের ব্যক্তিগত সম্পদ।’
তহশিলদারপাড়ার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম জানান, ‘এখন হাতি নাই তো কি হইছে? আমাদের এলাকায় হাতির পানি খাওয়ানোর জন্য বড় লোহার কড়াইটা আছে। এই কড়াইটি এখন আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য বহন করছে। এখানকার মানুষ যে একসময় হাতি পালন করত, তার প্রমাণ এটি। কড়াইয়ের কারণে এলাকার নামটাও হাতির কড়াই নামে পরিচিতি পেয়েছে। বিভিন্ন লোকজন বিভিন্ন জায়গা থেকে এই হাতির কড়াই দেখার জন্য আসে। এটা এলাকাতেই সংরক্ষণ করলে ভালো হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হাতির কড়াই সম্পর্কে জানতেও পারবে।’
কড়াইটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইব্রাহীম খলিল জানান, ‘কড়াইটা সব সময় আমি দেখাশোনা করি। ময়লা-আবর্জনা, বৃষ্টির পানি, গাছের পাতা পড়লে তা পরিষ্কার করি। বিভিন্ন জায়গা থেকে এই কড়াইটা দেখার জন্য মানুষ আসছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে গেলে ধর্মপাল হাতির কড়াই জলঢাকা থানা ঠিকানা বলে থাকি।’
রংপুর জাদুঘরের কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কড়াইটি জাদুঘরে সংরক্ষণের বিষয়ে আমাদের প্রধান কার্যালয় থেকে একটা চিঠি এসেছিল। সেই চিঠি নীলফামারী জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পরবর্তী পদক্ষেপ বা করণীয় সম্পর্কে তারা আমাদের কিছু জানায়নি।’
কড়াইটি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংরক্ষণে কোনো বাধা আছে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘লোহার কড়াইটি ১০০ বছরেরও বেশি পুরোনো। আর ১০০ বছর হলে সেটিকে আমরা প্রত্নতত্ত্ব বস্তু বা সম্পদ বলে থাকি। তখন এসব আর কারও ব্যক্তিগত সম্পদে থাকে না। এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ হয়ে যায়। এখন ওই কড়াইটিও ব্যক্তিগতভাবে সংরক্ষণের কোনো সুযোগ নেই।’
ঝিনাইদহ সদরের নতুন বাড়ি এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষে আল আমিন (২৫) নামের এক ট্রাকচালকের নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও ৩ জন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
১ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
১ ঘণ্টা আগে