মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডির ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়নি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে করা ছয় দফা চুক্তি। এখনো বুকে চাপা তীব্র কষ্ট নিয়ে দিন যাপন করছে নিহতদের পরিবার। সরেজমিনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের বর্তমান পরিস্থিতি জানা গেছে।
২০০৬ সালের আজকের দিনে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ফুলবাড়ী কয়লা উত্তোলন না করার দাবিতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকে বহুজাতিক কোম্পানি এশিয়া এনার্জির ফুলবাড়ী অফিস ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিল। সেদিন কর্মসূচির ওপর পুলিশ ও তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) নির্যাতন চালিয়েছিল।
সেই আন্দোলনে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) ও পুলিশের গুলিতে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিল বিশ্ববিদ্যায়ে পড়ুয়া তরিকুল (২০), স্কুলছাত্র আমিন (১৫) ও সালেকিনের (১৭) মরদেহ। সেই সঙ্গে আহত হন দুই শতাধিক নারী-পুরুষ। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ সুজাপুরের বাবলু রায়ের মতো অনেকেই এখনো পঙ্গুত্বের অসহনীয় যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন। ইতিমধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত সাহাবাজপুরের প্রদীপ সরকার দীর্ঘদিন যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকার পর মারাও গেছেন।
ফুলবাড়ী পৌর শহরের বারকোনা গ্রামে নিহত আমিনের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবেদকের কথা হয় তার বাবা আ. হামিদ ও মা রেহেনা বেগমের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, সে সময় তাঁদের ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। বেলা ৩টার দিকে ফুলবাড়ী শহরে যায় তাদের ছেলে, এরপর ফেরে লাশ হয়ে।
মা রেহেনা বেগম অশ্রুসজল হয়ে বলেন, ‘এভাবে যেন আর কোনো বাবা-মায়ের কোল খালি না হয়। বাপ-দাদার ভিটেমাটিসহ ফুলবাড়ী রক্ষায় এলাকাবাসীর সুখের জন্য আমার ছেলের প্রাণ গেছে। এমন কয়লাখনি আর চাই না। তবে দুঃখ একটাই, এখন আর কেউ তেমন খবর নেয় না। আমার দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যেই আমিন ছিল বড়। বর্তমানে এক ছেলে বিএ পরীক্ষা দিয়েছে, তারা একটা কর্মসংস্থানের জন্য কেউ আর পাশে এসে দাঁড়ায় না।’
আমিনের বাবা বলেন, ‘আবার কয়লাখনি করার ষড়যন্ত্র হলে আন্দোলন করব।’
এদিকে পৌর শহরের চাঁদাপাড়া গ্রামে গিয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নিহত তরিকুলের বাবা সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো. মোকলেছুর রহমানের সঙ্গে। ছেলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্ত্রীর সামনে কোনো কথা বলতে অসম্মতি জানান। পরে এককভাবে দূরে এসে কথা বলেন প্রতিবেদকের সঙ্গে। তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল আবু সালেহ মো. তরিকুল ইসলাম।
ক্ষোভের স্বরে তরিকুলের বাবা বলেন, ‘যাদের জন্য আমার ছেলের মৃত্যু, তারা কোথায় ছিল সেই দিন? সেই দিন এলাকাবাসী, আত্মীয়স্বজন আমার ছেলের খবর দিয়েছিল এবং তার লাশ এনেছিল। তারা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিল।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘আমার সন্তান মারা গেছে, আমি বুঝি কী কষ্ট আমাদের। সেদিন আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য কাউকেই আমি দায়ী করব না। হয়তো আল্লাহ তায়ালা তাঁর এইভাবেই মৃত্যু রেখেছিল। তবে কষ্ট একটাই, আন্দোলনকারীরা কোনো দিন একটা খোঁজও নেয়নি।’
অন্যদিকে আরেক নিহত ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার উত্তর সাহাবাজপুরের ঝোড়ারপাড় গ্রামের সালেকিন। কথা হয় তার বাবা হাসান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সালেকিন সেই সময় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। আমি ইটভাটায় কাজ করতাম। সেদিন আমার ভাই জোবেদ আলীর সঙ্গে সে ফুলবাড়ীতে যায় আন্দোলন দেখতে। সন্ধ্যার দিকে লোক মারফত খবর পাই আমার ছেলে আর নেই।’
নিহত সালেকিনের চাচা জোবেদ আলী বলেন, ‘সালেকিনের জেদে সেদিন বেলা ৩টায় তাকে নিয়ে ফুলবাড়ী যাই। এ সময় ফুলবাড়ী রেলগেট এলাকায় দলে দলে লোক মিছিলে অংশ নিচ্ছিল। এরই একপর্যায়ে আমাদের এক ভাতিজি জামাইয়ের সাথে সালেকিন চলে যায় মিছিলে। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আমার কাছ থেকে। এরপর সন্ধ্যায় খবর পাই, সেই আন্দোলনে তিনজন মারা গেছে। এর বেশ কিছুক্ষণ পর খবর পাই মৃত তিনজনের মধ্যে আমাদের সালেকিনও রয়েছে।’
সালেকিনের বাবা হাসান আলী বলেন, ‘প্রথম প্রথম খুব মনে পড়ত ছেলেকে। এখনো যখনই মনে পড়ে, তখনই মনে হয় অভিশপ্ত ফুলবাড়ী কয়লাখনির জন্যই আমরা হারিয়েছি আমাদের বুকের মানিককে। এই কয়লাখনি আমরা চাই না।’
১৬ বছর আগের সেই সময়ের বিষয়ে জানতে কথা হয় তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ফুলবাড়ী কয়লাখনি বাস্তবায়নে এশিয়া এনার্জি নামক একটি বহুজাতিক কোম্পানির ফুলবাড়ীর অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে যায় এই এলাকার আপামর জনগণ। ওই দিন তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) ও পুলিশ আন্দোলনকারীদের মিছিলে অতর্কিত গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় সুজাপুর চাঁদপাড়া গ্রামের মকলেছুর রহমানের ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র তরিকুল ইসলাম (২০), বারকোনা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আমিন (১৫) ও উত্তর সাহাবাজপুর গ্রামের সালেকিন (১৭)। একই ঘটনায় দক্ষিণ সাহাবাজপুর গ্রামের প্রদীপ চন্দ্র, রতনপুর গ্রামের শ্রীমান বাস্কে, সুজাপুর গ্রামের বাবলু রায় চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান। সেই সঙ্গে আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ।
ওই সময় ২৬ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত জনতার আন্দোলন-সংগ্রামে উত্তাল ছিল ফুলবাড়ী খনি এলাকা। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ফুলবাড়ীর ওপর দিয়ে বাস, ট্রেনসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ২৮ আগস্ট এশিয়া এনার্জির সুবিধাভোগী (দালাল) হিসেবে চিহ্নিত কয়েক ব্যক্তির বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
গণ-আন্দোলনের মুখে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াতসহ চারদলীয় জোট সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারের ছয় দফা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মিজানুর রহমান মিনু এবং আন্দোলনকারীদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহম্মদ।
বাস্তবিক অর্থে গণ-আন্দোলনের ১৬ বছর পেরিয়ে ১৭ বছরে পদার্পণ করলেও আংশিক বাস্তবায়নের পর থেমে গেছে ছয় দফা চুক্তি। এই ছয় দফা চুক্তির মধ্যে রয়েছে—এশিয়া এনার্জিকে ফুলবাড়ী ও দেশ থেকে বহিষ্কার, ফুলবাড়ীসহ দেশের কোথাও উন্মুক্ত পদ্ধতির কয়লাখনি না করা, পুলিশ-বিডিআরের গুলিতে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা, গুলিবর্ষণসহ হতাহতের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন, শহীদের স্মৃতিসৌধ নির্মাণসহ এশিয়া এনার্জির দালালদের গ্রেপ্তারসহ শাস্তি প্রদান, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার এবং নতুন করে মামলা না করা। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ছয় দফা চুক্তির আংশিক বাস্তবায়ন করেছে মাত্র।
সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল আরও বলেন, ছয় দফা চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে এখনো ফুলবাড়ী খনি অঞ্চলের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। ২৬ আগস্ট দিনটিকে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ‘ফুলবাড়ী দিবস’ এবং স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠন ‘ফুলবাড়ী শোক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে পৃথক পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ফুলবাড়ী শাখার উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, গণজমায়েত, আমিন-সালেকিন-তরিকুলের জন্য নির্মিত ‘আসাত’ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্ক পরে প্রতিবাদ সভা এবং সুবিধাজনক সময়ে মসজিদ, মন্দিরে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডির ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়নি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে করা ছয় দফা চুক্তি। এখনো বুকে চাপা তীব্র কষ্ট নিয়ে দিন যাপন করছে নিহতদের পরিবার। সরেজমিনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের বর্তমান পরিস্থিতি জানা গেছে।
২০০৬ সালের আজকের দিনে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ফুলবাড়ী কয়লা উত্তোলন না করার দাবিতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকে বহুজাতিক কোম্পানি এশিয়া এনার্জির ফুলবাড়ী অফিস ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিল। সেদিন কর্মসূচির ওপর পুলিশ ও তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) নির্যাতন চালিয়েছিল।
সেই আন্দোলনে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) ও পুলিশের গুলিতে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিল বিশ্ববিদ্যায়ে পড়ুয়া তরিকুল (২০), স্কুলছাত্র আমিন (১৫) ও সালেকিনের (১৭) মরদেহ। সেই সঙ্গে আহত হন দুই শতাধিক নারী-পুরুষ। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ সুজাপুরের বাবলু রায়ের মতো অনেকেই এখনো পঙ্গুত্বের অসহনীয় যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন। ইতিমধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত সাহাবাজপুরের প্রদীপ সরকার দীর্ঘদিন যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকার পর মারাও গেছেন।
ফুলবাড়ী পৌর শহরের বারকোনা গ্রামে নিহত আমিনের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবেদকের কথা হয় তার বাবা আ. হামিদ ও মা রেহেনা বেগমের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, সে সময় তাঁদের ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। বেলা ৩টার দিকে ফুলবাড়ী শহরে যায় তাদের ছেলে, এরপর ফেরে লাশ হয়ে।
মা রেহেনা বেগম অশ্রুসজল হয়ে বলেন, ‘এভাবে যেন আর কোনো বাবা-মায়ের কোল খালি না হয়। বাপ-দাদার ভিটেমাটিসহ ফুলবাড়ী রক্ষায় এলাকাবাসীর সুখের জন্য আমার ছেলের প্রাণ গেছে। এমন কয়লাখনি আর চাই না। তবে দুঃখ একটাই, এখন আর কেউ তেমন খবর নেয় না। আমার দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যেই আমিন ছিল বড়। বর্তমানে এক ছেলে বিএ পরীক্ষা দিয়েছে, তারা একটা কর্মসংস্থানের জন্য কেউ আর পাশে এসে দাঁড়ায় না।’
আমিনের বাবা বলেন, ‘আবার কয়লাখনি করার ষড়যন্ত্র হলে আন্দোলন করব।’
এদিকে পৌর শহরের চাঁদাপাড়া গ্রামে গিয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নিহত তরিকুলের বাবা সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো. মোকলেছুর রহমানের সঙ্গে। ছেলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্ত্রীর সামনে কোনো কথা বলতে অসম্মতি জানান। পরে এককভাবে দূরে এসে কথা বলেন প্রতিবেদকের সঙ্গে। তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল আবু সালেহ মো. তরিকুল ইসলাম।
ক্ষোভের স্বরে তরিকুলের বাবা বলেন, ‘যাদের জন্য আমার ছেলের মৃত্যু, তারা কোথায় ছিল সেই দিন? সেই দিন এলাকাবাসী, আত্মীয়স্বজন আমার ছেলের খবর দিয়েছিল এবং তার লাশ এনেছিল। তারা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিল।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘আমার সন্তান মারা গেছে, আমি বুঝি কী কষ্ট আমাদের। সেদিন আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য কাউকেই আমি দায়ী করব না। হয়তো আল্লাহ তায়ালা তাঁর এইভাবেই মৃত্যু রেখেছিল। তবে কষ্ট একটাই, আন্দোলনকারীরা কোনো দিন একটা খোঁজও নেয়নি।’
অন্যদিকে আরেক নিহত ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার উত্তর সাহাবাজপুরের ঝোড়ারপাড় গ্রামের সালেকিন। কথা হয় তার বাবা হাসান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সালেকিন সেই সময় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। আমি ইটভাটায় কাজ করতাম। সেদিন আমার ভাই জোবেদ আলীর সঙ্গে সে ফুলবাড়ীতে যায় আন্দোলন দেখতে। সন্ধ্যার দিকে লোক মারফত খবর পাই আমার ছেলে আর নেই।’
নিহত সালেকিনের চাচা জোবেদ আলী বলেন, ‘সালেকিনের জেদে সেদিন বেলা ৩টায় তাকে নিয়ে ফুলবাড়ী যাই। এ সময় ফুলবাড়ী রেলগেট এলাকায় দলে দলে লোক মিছিলে অংশ নিচ্ছিল। এরই একপর্যায়ে আমাদের এক ভাতিজি জামাইয়ের সাথে সালেকিন চলে যায় মিছিলে। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আমার কাছ থেকে। এরপর সন্ধ্যায় খবর পাই, সেই আন্দোলনে তিনজন মারা গেছে। এর বেশ কিছুক্ষণ পর খবর পাই মৃত তিনজনের মধ্যে আমাদের সালেকিনও রয়েছে।’
সালেকিনের বাবা হাসান আলী বলেন, ‘প্রথম প্রথম খুব মনে পড়ত ছেলেকে। এখনো যখনই মনে পড়ে, তখনই মনে হয় অভিশপ্ত ফুলবাড়ী কয়লাখনির জন্যই আমরা হারিয়েছি আমাদের বুকের মানিককে। এই কয়লাখনি আমরা চাই না।’
১৬ বছর আগের সেই সময়ের বিষয়ে জানতে কথা হয় তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ফুলবাড়ী কয়লাখনি বাস্তবায়নে এশিয়া এনার্জি নামক একটি বহুজাতিক কোম্পানির ফুলবাড়ীর অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে যায় এই এলাকার আপামর জনগণ। ওই দিন তৎকালীন বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) ও পুলিশ আন্দোলনকারীদের মিছিলে অতর্কিত গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় সুজাপুর চাঁদপাড়া গ্রামের মকলেছুর রহমানের ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র তরিকুল ইসলাম (২০), বারকোনা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আমিন (১৫) ও উত্তর সাহাবাজপুর গ্রামের সালেকিন (১৭)। একই ঘটনায় দক্ষিণ সাহাবাজপুর গ্রামের প্রদীপ চন্দ্র, রতনপুর গ্রামের শ্রীমান বাস্কে, সুজাপুর গ্রামের বাবলু রায় চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান। সেই সঙ্গে আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ।
ওই সময় ২৬ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত জনতার আন্দোলন-সংগ্রামে উত্তাল ছিল ফুলবাড়ী খনি এলাকা। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ফুলবাড়ীর ওপর দিয়ে বাস, ট্রেনসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ২৮ আগস্ট এশিয়া এনার্জির সুবিধাভোগী (দালাল) হিসেবে চিহ্নিত কয়েক ব্যক্তির বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
গণ-আন্দোলনের মুখে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াতসহ চারদলীয় জোট সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারের ছয় দফা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মিজানুর রহমান মিনু এবং আন্দোলনকারীদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহম্মদ।
বাস্তবিক অর্থে গণ-আন্দোলনের ১৬ বছর পেরিয়ে ১৭ বছরে পদার্পণ করলেও আংশিক বাস্তবায়নের পর থেমে গেছে ছয় দফা চুক্তি। এই ছয় দফা চুক্তির মধ্যে রয়েছে—এশিয়া এনার্জিকে ফুলবাড়ী ও দেশ থেকে বহিষ্কার, ফুলবাড়ীসহ দেশের কোথাও উন্মুক্ত পদ্ধতির কয়লাখনি না করা, পুলিশ-বিডিআরের গুলিতে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা, গুলিবর্ষণসহ হতাহতের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন, শহীদের স্মৃতিসৌধ নির্মাণসহ এশিয়া এনার্জির দালালদের গ্রেপ্তারসহ শাস্তি প্রদান, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহার এবং নতুন করে মামলা না করা। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ছয় দফা চুক্তির আংশিক বাস্তবায়ন করেছে মাত্র।
সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল আরও বলেন, ছয় দফা চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে এখনো ফুলবাড়ী খনি অঞ্চলের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। ২৬ আগস্ট দিনটিকে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ‘ফুলবাড়ী দিবস’ এবং স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠন ‘ফুলবাড়ী শোক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে পৃথক পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ফুলবাড়ী শাখার উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ, গণজমায়েত, আমিন-সালেকিন-তরিকুলের জন্য নির্মিত ‘আসাত’ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্ক পরে প্রতিবাদ সভা এবং সুবিধাজনক সময়ে মসজিদ, মন্দিরে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১১ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৪৩ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমি উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কামরুল হাসান বাবু (২৬), ইমরান উদ্দিন খোকা ওরফে আরিয়ান খোকা (২৫), আব্দুল কাইয়ুম (৩৩), মো. সাকিব (২০) এবং আরেকজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
ওসি ছমি উদ্দিন বলেন, ৯ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কে বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফারুক নামের দুই যুবদল কর্মী। এই ঘটনার পর থেকে পাঁচ আসামি পর্যটকের ছদ্মবেশে বান্দরবানের লামায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদ পেয়ে লামায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বাইপাস সড়কের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন দুই যুবদল কর্মী সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও মোহাম্মদ ফারুক (৩৪)। তাঁরা শহরের বাইপাস সড়কের চারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাঁরা।

কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমি উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কামরুল হাসান বাবু (২৬), ইমরান উদ্দিন খোকা ওরফে আরিয়ান খোকা (২৫), আব্দুল কাইয়ুম (৩৩), মো. সাকিব (২০) এবং আরেকজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
ওসি ছমি উদ্দিন বলেন, ৯ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কে বাস টার্মিনাল-সংলগ্ন উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ফারুক নামের দুই যুবদল কর্মী। এই ঘটনার পর থেকে পাঁচ আসামি পর্যটকের ছদ্মবেশে বান্দরবানের লামায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদ পেয়ে লামায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বাইপাস সড়কের উত্তরণ আবাসিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন দুই যুবদল কর্মী সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও মোহাম্মদ ফারুক (৩৪)। তাঁরা শহরের বাইপাস সড়কের চারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাঁরা।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন আবু সালেহ মো. তরিকুল ইসলাম। ক্ষোভের স্বরে তরিকুলের বাবা বলেন, ‘যাদের জন্য আমার ছেলের মৃত্যু, তারা কোথায় ছিল সেই দিন। সেই দিন এলাকাবাসী, আত্মীয়স্বজন আমার ছেলের খবর দিয়েছিল এবং তার লাশ এনেছিল। তারা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিল...
২৬ আগস্ট ২০২২
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৪৩ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি মৎস্যজীবী লীগের টাস্কফোর্স প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় ভোলার কোস্ট গার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে।
কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি মৎস্যজীবী লীগের টাস্কফোর্স প্রতিনিধি বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১টায় ভোলার কোস্ট গার্ড বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেনকে আটক করে।
কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন আবু সালেহ মো. তরিকুল ইসলাম। ক্ষোভের স্বরে তরিকুলের বাবা বলেন, ‘যাদের জন্য আমার ছেলের মৃত্যু, তারা কোথায় ছিল সেই দিন। সেই দিন এলাকাবাসী, আত্মীয়স্বজন আমার ছেলের খবর দিয়েছিল এবং তার লাশ এনেছিল। তারা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিল...
২৬ আগস্ট ২০২২
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১১ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগেসাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও

আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই, তবে জেলার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সকাল ৭টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির মতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাট তখন বন্ধ। পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হলেও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া দরিদ্র লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকেরই গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে রাত ও সকাল পার করছে তারা।
সকালে সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হাসান রাব্বির সঙ্গে। সড়কের পাশে কাগজ ও পলিথিন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে পোহাতে তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতাম। কিন্তু এখন ঠান্ডা এত বেড়েছে যে আজ ১০টার আগে বের হতে পারিনি। কুয়াশা একটু কমার অপেক্ষা করছি।’ শীতের কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শহরের কালীবাড়ি এলাকার কলা বিক্রেতা ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও শরীর বাঁচে না। শীত কিছুতেই মানছে না।’
এদিকে শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৫০০ কম্বল কেনা হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, এ বছর ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কম্বল কেনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ৭ হাজার কম্বল এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দেড় হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। যদিও ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস নেই, তবে জেলার ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্রের তথ্যমতে, সকাল ৭টার দিকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে বাতাসের কারণে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল প্রায় ১০ ডিগ্রির মতো।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানপাট তখন বন্ধ। পশ্চিম দিক থেকে আসা হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হলেও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া দরিদ্র লোকজন আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকেরই গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে রাত ও সকাল পার করছে তারা।
সকালে সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক হাসান রাব্বির সঙ্গে। সড়কের পাশে কাগজ ও পলিথিন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে পোহাতে তিনি বলেন, ‘আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতাম। কিন্তু এখন ঠান্ডা এত বেড়েছে যে আজ ১০টার আগে বের হতে পারিনি। কুয়াশা একটু কমার অপেক্ষা করছি।’ শীতের কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শহরের কালীবাড়ি এলাকার কলা বিক্রেতা ভূষণ রায়। তিনি বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও শরীর বাঁচে না। শীত কিছুতেই মানছে না।’
এদিকে শীত মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকায় ৮ হাজার ৫০০ কম্বল কেনা হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, এ বছর ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে কম্বল কেনা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সাড়ে ৭ হাজার কম্বল এবং বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আরও দেড় হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন আবু সালেহ মো. তরিকুল ইসলাম। ক্ষোভের স্বরে তরিকুলের বাবা বলেন, ‘যাদের জন্য আমার ছেলের মৃত্যু, তারা কোথায় ছিল সেই দিন। সেই দিন এলাকাবাসী, আত্মীয়স্বজন আমার ছেলের খবর দিয়েছিল এবং তার লাশ এনেছিল। তারা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিল...
২৬ আগস্ট ২০২২
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১১ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৪৩ মিনিট আগে
‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
২ ঘণ্টা আগেজাবি প্রতিনিধি

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টীকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

‘আগামীকাল বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক ও প্রতিবাদ মিছিল করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকসু, শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রশক্তি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে ‘আগামীকালকে (শুক্রবার) বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই করে বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের লড়াই শুরু হবে শহীদ ওসমান হাদির ইনকিলাব মঞ্চের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আগামীকালকে বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এই খুনি হাসিনার দল হাজার হাজার নিষ্পাপ বাংলাদেশের দামাল ছেলেদেরকে হত্যা করেও ওর রক্ত পিপাসা মেটেনি। বিদেশে বসে এখনো বিপ্লবীদের হত্যা করার ছক করছে। আমরা আজ এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই শহীদ ওসমান হাদির রক্তের ওপর দিয়ে, শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। যে সমস্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশে বৈধভাবে অবৈধভাবে বাংলাদেশে চাকরি করছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ওরা ওসমান হাদির খুনিকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
মোস্তাফিজুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা।
এরপর আজ শুক্রবার দুপুরেও মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে একই ধরনের বক্তব্য লিখে পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, শুধু রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হয় না। শহীদ ওসমান হাদি ভাই ইনকিলাব মঞ্চের মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী প্রক্সি উদীচী, ছায়ানটের কালচারাল হেজেমনির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিল, সেই লড়াই জারি রাখতে হবে। তাদের সকল আধিপত্যবাদী বয়ানকে তছনছ করে দিতে হবে। ইট, পাথরের দেয়াল ভেঙে আধিপত্যবাদকে মোকাবিলা করা যায় না, সেটা হাদি আমাদের শিখিয়েছে।’
অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গতকাল শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের মৃত্যু-পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্যের কিছু শব্দ নিয়ে এই স্পষ্টীকরণ প্রদান করছি। বক্তব্যে ব্যবহৃত “তছনছ” শব্দটির মাধ্যমে ভাঙচুরকে বোঝানো হয়নি। বরং এর অর্থ ছিল শহীদ হাদির যে স্বপ্ন নিয়মতান্ত্রিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে বিকল্প কাঠামো গড়ে তুলে, সর্বদা সচেতন থেকে ফ্যাসিবাদী বয়ানকে মোকাবিলা করা।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এ প্রসঙ্গে আরও যুক্ত করা প্রয়োজন যে, উদীচীসহ উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের তল্পিবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকা রেখে আসছে। তারা বাংলাদেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তবে ফ্যাসিবাদের আদর্শিক ভিত্তিকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন আবু সালেহ মো. তরিকুল ইসলাম। ক্ষোভের স্বরে তরিকুলের বাবা বলেন, ‘যাদের জন্য আমার ছেলের মৃত্যু, তারা কোথায় ছিল সেই দিন। সেই দিন এলাকাবাসী, আত্মীয়স্বজন আমার ছেলের খবর দিয়েছিল এবং তার লাশ এনেছিল। তারা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিল...
২৬ আগস্ট ২০২২
কক্সবাজার শহরে স্থানীয় দুই যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে বান্দরবানের লামা উপজেলার মিরজিরি এলাকায় মাতামুহুরী রিভার ভিউ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১১ মিনিট আগে
ভোলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ মৎস্যজীবী লীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে ভোলার কোস্ট গার্ডের সদস্যরা সদর উপজেলার ব্যাংকের হাট-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেন।
৪৩ মিনিট আগে
আকাশে সূর্যের কোনো দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় মোড়া ঠাকুরগাঁও শহর। সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে। কনকনে ঠান্ডা থেকে রেহাই পেতে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছে শীতার্ত লোকজন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড চৌরাস্তা ঘুরে এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে