হাতীবান্ধায় মামলার ভয় দেখিয়ে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২: ৩২
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২: ৪২

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মামলার ভয় দেখিয়ে ঘুষ চাওয়ার প্রতিবাদে এসআই বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ট্রাক্টরের মালিকেরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ধুবনী হাজীর মোড়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

এর আগে গতকাল বুধবার লালমনিরহাট পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তাঁরা। এ ছাড়া সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) হাতীবান্ধা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবরও অনুলিপি দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত এসআই হাতীবান্ধা থানার উপপরিদর্শক বাবুল হোসেন। আর ভুক্তভোগীরা হলেন উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ধুবনী ২ নম্বর ওয়ার্ডের আমিনুর রহমান, আতোয়ার, ইয়াকুব ও মোশারফ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আমিনুর রহমান বলেন, উপজেলার তিস্তা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিল কতিপয় বালু ব্যবসায়ী। সেই ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারি সিংগীমারী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সুলতান আলী একটি মামলা করেন। সেই মামলার চার্জশিটে আমিনুর রহমান, আতোয়ার, ইয়াকুব, মোশারফসহ কয়েকজন ভুক্তভোগীর নাম অন্তর্ভুক্ত করার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। তবে তাঁরা টাকা দিতে রাজি না হলে ওই মামলাসহ অন্য মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন ওই এসআই।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আমিনুর রহমান বলেন, ‘বালু উত্তোলনের ঘটনায় যে মামলাটি হয়েছে, তা সিংগীমারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। ওই এলাকার বালু ব্যবসায়ীদের নামে মামলা হয়েছে। আমরা তো বালু উত্তোলন করিনি। তাহলে ওই এসআই কেন আমাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চান। টাকা না দিলে মামলায় নাম জড়ানোর ভয় দেখান। আমি জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি। এর প্রতিকার চাই।’

এ বিষয়ে আরেক ভুক্তভোগী আতোয়ার রহমান বলেন, ‘আমি গাড়ি চালাই গাইবান্ধার ভাটায়। তারপরও এসআই বাবুল আমাকে এই মামলায় জড়িয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেন বলেন, ‘যাদের নামে মামলা হয়েছে, আমি তাদের খোঁজখবর নিয়েছি মাত্র। আমি এর বাইরে কারও কাছে টাকাও চাইনি, মামলার ভয়ও দেখাইনি।’

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাদের নামে মামলা হয়েছে, তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন ওই এসআই। এর বাইরে কারও কাছে কোনো প্রকার ঘুষ চাননি। আর অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই।’

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি ভুক্তভোগীরা আমাকে অবগত করেছেন। আমি এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বলেছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে। সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত