লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে একটি কলেজের অধ্যক্ষের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই কলেজের ইংরেজি বিভাগের নারী প্রভাষককে সাময়িক বরখাস্তের অভিযোগ উঠেছে। সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক এস তাবাস্সুম রায়হান মুসতাযীর তামান্না।
আজ বুধবার দুপুরে লালমনিরহাটের মুন স্টার চায়নিজ রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন করেন উত্তর বাংলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের ওই প্রভাষক।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রভাষক এস তাবাস্সুম রায়হান মুসতাযীর তামান্না অভিযোগ করে বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে রংপুর বিভাগের সরকারি-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে চতুর্থ এবং বেসরকারি পর্যায়ে রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ সম্মানপ্রাপ্ত উত্তর বাংলা কলেজে অনার্স বিভাগে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি যোগদান করি। কলেজটির অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ সরকার ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কলেজটিতে যোগদান করেন। এর কিছুদিন পরে অধ্যক্ষ আমাকে বলেন, আপনার সংসার কী করে চলে? পরিবারে কে কে আছে? আমার (অধ্যক্ষের) গাড়ি আছে, আপনি আমার সাথে গাড়িতে লংড্রাইভে যেতে পারেন। আপনার যেকোনো সমস্যা আমাকে বলতে পারেন। আমি আপনাকে কোথায় নিয়ে যাই দেখতে পাবেন। এসবের কোনোটিই আমার কাছে সঠিক মনে না হওয়ায় কলেজের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ই-মেইলে এবং মোবাইল ফোনে অবগত করি। এ ঘটনার পর গত বছর অধ্যক্ষ ৭ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত কলেজে অনুপস্থিত থাকা এবং ক্লাস না নেওয়ার ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে একটি কারণ দর্শানোর চিঠি দেন।’
ওই প্রভাষক আরও বলেন, ‘গত ৭-৮ মে এবং ১৮-১৯ মে ২০২২ আমি ছুটি নিয়েছিলাম। আবেদনে অধ্যক্ষ গ্রান্ট লিখে স্বাক্ষর দিয়েছিলেন। এ ছাড়া এক দিন ছিল সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার। আরেক দিন ছিল বুদ্ধপূর্ণিমার ছুটি। আর বাকি দিনগুলোতে কলেজে উপস্থিত ছিলাম। যার প্রমাণ হিসেবে হাজিরা খাতা ও ছাত্র হাজিরা খাতায় আমার স্বাক্ষর রয়েছে।’
এরপর চলতি বছর ১৮ জানুয়ারি একটি সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয় এস তাবাস্সুম রায়হান মুসতাযীর তামান্নাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে চাকরিচ্যুতির হুমকিও দেওয়া হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রভাষক এস তাবাস্সুম রায়হান মুসতাযীর তামান্না বলেন, ‘এসবের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১ মার্চ লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার তদন্তও করেন। সেই তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা দেননি জেলা শিক্ষা অফিসার। এরই মধ্যে অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ সরকার ১৫ মার্চ ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। কোনো অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই তিনি এমনটি করেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করে বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও বিব্রত।’ এ সময় তাঁর মা আমেনা শিরীন মুসতাযীর উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কলেজের গভর্নিং বডি।
তাঁর সঙ্গে লংড্রাইভে যাওয়ার আমন্ত্রণের অভিযোগ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, এ অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মানহানিকর।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে পেলে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে।’
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে একটি কলেজের অধ্যক্ষের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই কলেজের ইংরেজি বিভাগের নারী প্রভাষককে সাময়িক বরখাস্তের অভিযোগ উঠেছে। সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক এস তাবাস্সুম রায়হান মুসতাযীর তামান্না।
আজ বুধবার দুপুরে লালমনিরহাটের মুন স্টার চায়নিজ রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন করেন উত্তর বাংলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের ওই প্রভাষক।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রভাষক এস তাবাস্সুম রায়হান মুসতাযীর তামান্না অভিযোগ করে বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে রংপুর বিভাগের সরকারি-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে চতুর্থ এবং বেসরকারি পর্যায়ে রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ সম্মানপ্রাপ্ত উত্তর বাংলা কলেজে অনার্স বিভাগে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি যোগদান করি। কলেজটির অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ সরকার ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কলেজটিতে যোগদান করেন। এর কিছুদিন পরে অধ্যক্ষ আমাকে বলেন, আপনার সংসার কী করে চলে? পরিবারে কে কে আছে? আমার (অধ্যক্ষের) গাড়ি আছে, আপনি আমার সাথে গাড়িতে লংড্রাইভে যেতে পারেন। আপনার যেকোনো সমস্যা আমাকে বলতে পারেন। আমি আপনাকে কোথায় নিয়ে যাই দেখতে পাবেন। এসবের কোনোটিই আমার কাছে সঠিক মনে না হওয়ায় কলেজের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ই-মেইলে এবং মোবাইল ফোনে অবগত করি। এ ঘটনার পর গত বছর অধ্যক্ষ ৭ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত কলেজে অনুপস্থিত থাকা এবং ক্লাস না নেওয়ার ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে একটি কারণ দর্শানোর চিঠি দেন।’
ওই প্রভাষক আরও বলেন, ‘গত ৭-৮ মে এবং ১৮-১৯ মে ২০২২ আমি ছুটি নিয়েছিলাম। আবেদনে অধ্যক্ষ গ্রান্ট লিখে স্বাক্ষর দিয়েছিলেন। এ ছাড়া এক দিন ছিল সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার। আরেক দিন ছিল বুদ্ধপূর্ণিমার ছুটি। আর বাকি দিনগুলোতে কলেজে উপস্থিত ছিলাম। যার প্রমাণ হিসেবে হাজিরা খাতা ও ছাত্র হাজিরা খাতায় আমার স্বাক্ষর রয়েছে।’
এরপর চলতি বছর ১৮ জানুয়ারি একটি সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয় এস তাবাস্সুম রায়হান মুসতাযীর তামান্নাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে চাকরিচ্যুতির হুমকিও দেওয়া হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রভাষক এস তাবাস্সুম রায়হান মুসতাযীর তামান্না বলেন, ‘এসবের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১ মার্চ লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার তদন্তও করেন। সেই তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা দেননি জেলা শিক্ষা অফিসার। এরই মধ্যে অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ সরকার ১৫ মার্চ ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। কোনো অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই তিনি এমনটি করেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করে বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও বিব্রত।’ এ সময় তাঁর মা আমেনা শিরীন মুসতাযীর উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কলেজের গভর্নিং বডি।
তাঁর সঙ্গে লংড্রাইভে যাওয়ার আমন্ত্রণের অভিযোগ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, এ অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মানহানিকর।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে পেলে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে।’
ডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৩ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৩ ঘণ্টা আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
৪ ঘণ্টা আগে