নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
১৯৭৫ সালে এসএসসি পাস করেছিলেন মো. ইমামুল ইসলাম। সেই থেকে প্রিয় প্রতিষ্ঠান বিনোদনগর উচ্চবিদ্যালয়ে পা রাখা হয়নি তাঁর। এর মধ্যে কেটে গেছে দীর্ঘ সময়। বিদ্যালয়ের ৬০ বছর পূর্তিতে ডাক পান তিনি। এসে দেখা মেলে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘শিকড়ের টানে প্রিয় প্রাঙ্গণে’ স্লোগানে বিদ্যালয়ের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে হীরকজয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়েছে। হীরকজয়ন্তী উৎসবে সকাল থেকে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। পাশাপাশি বর্তমান শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
কথা হয় এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোছা. খোদেজা খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী, এখানে এসে আমার শিশুকালে ফিরে গেছি। চোখের সামনে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার ছবিগুলো জ্বলজ্বল করছে। আমার বাবা আমাকে স্কুলে এগিয়ে দিয়ে যেতেন, সেই স্মৃতি আজ মনে পড়ছে। বিদ্যালয়টি আজ হাঁটি হাঁটি পা পা করে ৬০ বছর পার করছে। এই স্কুলের অনেক শিক্ষক আজ নেই। তাঁদের আদর্শ আজ আমাদের হৃদয়ে।’
অনুষ্ঠানে আগত এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মো. কুতুবুল আলম (১৯৮২-৮৪) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছর জানতে পারি বিনোদনগর উচ্চবিদ্যালয়ের ৬০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান হবে। তখন আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। কিন্তু আজ অনুষ্ঠানে এসে শিক্ষকশিক্ষার্থীদের দেখে সত্যিই কী যে ভালো লাগছে, বলার ভাষা নেই।’
বিদ্যালয়ের আরও দুই প্রাক্তন শিক্ষক (১৯৭৬-৮২) মো. রুহুল আজম ও মো. গোলাম মোস্তফার (১৯৭২-৭৫) সঙ্গে কথা হলে তাঁরা এভাবে অনুভূতি প্রকাশ করেন।
হীরকজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক রওশন ইজদানী জানান, বিদ্যালয়টি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠা পায়। বর্তমানে বিদ্যালয়টির ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে হীরকজয়ন্তী উদ্যাপন করা হচ্ছে। এতে প্রায় ১ হাজার ৬০০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।
হীরকজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সভাপতি মো. আব্দুস সালাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. শিবলী সাদিক।
বক্তব্যে এমপি শিবলী সাদিক বলেন, ‘আমাদের এলাকায় মানুষের প্রধান পেশা কৃষি। এ ছাড়া তেমন কোনো বড় ব্যবসা এই এলাকায় নেই। ফলে আমাদের সন্তানদের ভালো কিছু করতে হলে শিক্ষার বিকল্প নেই।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও সাবেক উপসচিব মো. আফতাব উদ্দিন মণ্ডল, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান মানিক, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনারুল ইসলাম, সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. দবিরুল ইসলাম, ৭৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, প্রাক্তন শিক্ষার্থী জিলফুল মুরাদ শানু প্রমুখ। ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিদ্যালয়ের স্মরণিকা প্রকাশিত হয়। সভায় ভবিষ্যতে বিদ্যালয়ের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্লাটিনাম জুবিলি আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় প্রত্যেক প্রাক্তন শিক্ষার্থীর হাতে আমগাছের চারা তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিনা মূল্য চিকিৎসা ক্যাম্প থেকে পরামর্শসহ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে প্রধান অতিথি ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া বিদ্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাসসহ স্থানীয় শিল্পীরা।
১৯৭৫ সালে এসএসসি পাস করেছিলেন মো. ইমামুল ইসলাম। সেই থেকে প্রিয় প্রতিষ্ঠান বিনোদনগর উচ্চবিদ্যালয়ে পা রাখা হয়নি তাঁর। এর মধ্যে কেটে গেছে দীর্ঘ সময়। বিদ্যালয়ের ৬০ বছর পূর্তিতে ডাক পান তিনি। এসে দেখা মেলে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘শিকড়ের টানে প্রিয় প্রাঙ্গণে’ স্লোগানে বিদ্যালয়ের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে হীরকজয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়েছে। হীরকজয়ন্তী উৎসবে সকাল থেকে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। পাশাপাশি বর্তমান শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
কথা হয় এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোছা. খোদেজা খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী, এখানে এসে আমার শিশুকালে ফিরে গেছি। চোখের সামনে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার ছবিগুলো জ্বলজ্বল করছে। আমার বাবা আমাকে স্কুলে এগিয়ে দিয়ে যেতেন, সেই স্মৃতি আজ মনে পড়ছে। বিদ্যালয়টি আজ হাঁটি হাঁটি পা পা করে ৬০ বছর পার করছে। এই স্কুলের অনেক শিক্ষক আজ নেই। তাঁদের আদর্শ আজ আমাদের হৃদয়ে।’
অনুষ্ঠানে আগত এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মো. কুতুবুল আলম (১৯৮২-৮৪) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছর জানতে পারি বিনোদনগর উচ্চবিদ্যালয়ের ৬০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান হবে। তখন আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। কিন্তু আজ অনুষ্ঠানে এসে শিক্ষকশিক্ষার্থীদের দেখে সত্যিই কী যে ভালো লাগছে, বলার ভাষা নেই।’
বিদ্যালয়ের আরও দুই প্রাক্তন শিক্ষক (১৯৭৬-৮২) মো. রুহুল আজম ও মো. গোলাম মোস্তফার (১৯৭২-৭৫) সঙ্গে কথা হলে তাঁরা এভাবে অনুভূতি প্রকাশ করেন।
হীরকজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক রওশন ইজদানী জানান, বিদ্যালয়টি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠা পায়। বর্তমানে বিদ্যালয়টির ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে হীরকজয়ন্তী উদ্যাপন করা হচ্ছে। এতে প্রায় ১ হাজার ৬০০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।
হীরকজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সভাপতি মো. আব্দুস সালাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. শিবলী সাদিক।
বক্তব্যে এমপি শিবলী সাদিক বলেন, ‘আমাদের এলাকায় মানুষের প্রধান পেশা কৃষি। এ ছাড়া তেমন কোনো বড় ব্যবসা এই এলাকায় নেই। ফলে আমাদের সন্তানদের ভালো কিছু করতে হলে শিক্ষার বিকল্প নেই।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও সাবেক উপসচিব মো. আফতাব উদ্দিন মণ্ডল, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান মানিক, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনারুল ইসলাম, সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. দবিরুল ইসলাম, ৭৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, প্রাক্তন শিক্ষার্থী জিলফুল মুরাদ শানু প্রমুখ। ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিদ্যালয়ের স্মরণিকা প্রকাশিত হয়। সভায় ভবিষ্যতে বিদ্যালয়ের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্লাটিনাম জুবিলি আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় প্রত্যেক প্রাক্তন শিক্ষার্থীর হাতে আমগাছের চারা তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিনা মূল্য চিকিৎসা ক্যাম্প থেকে পরামর্শসহ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে প্রধান অতিথি ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া বিদ্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাসসহ স্থানীয় শিল্পীরা।
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
১ few সেকেন্ড আগেপানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৭ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
১৬ মিনিট আগেনুর নবী সরকার কালাইয়ের কিডনি বেচাকেনার দালাল চক্রের সদস্য। এ অপরাধে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কিডনি, অস্ত্র ও মানবপাচারসহ একাধিক মামলা চলমান।
৪১ মিনিট আগে