আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ আগস্ট ২০২৪, ১২: ৪৪
Thumbnail image

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদ রংপুরের আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টারে করে পীরগঞ্জে অবস্থিত রংপুর মেরিন একাডেমিতে পৌঁছান। সেখান থেকে তিন কিলোমিটার সড়কপথ পাড়ি দিয়ে বেলা ১১টায় তিনি আবু সাঈদের বাড়ি বাবনপুর জাফরপাড়া গ্রামে আসেন। সেখানে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন। এরপর আবু সাঈদের পরিবারে সঙ্গে কথা বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পীরগঞ্জে আগমন উপলক্ষে পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে। সড়কে, মোড়ে, মাঠে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা কঠোর পাহারায় রয়েছেন। পুরো এলাকায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করা হয়। তিনি ৮ আগস্ট শপথগ্রহণের পর আজ শনিবার কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের বাড়িতে আসেন। 

এর আগে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে বিমানবন্দরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবু সাঈদের কথা স্মরণ করে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। তখন তিনি বলেন, ‘আজকে আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে আমাদের। যে আবু সাঈদের ছবি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। এটা কেউ ভুলতে পারবে না! কী অবিশ্বাস্য একটা সাহসী যুবক! বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে! তারপর থেকে কোনো যুবক আর হার মানে নাই, গুলির সামনে এগিয়ে গেছে। বলেছে—যত গুলি মারতে পারো মারো, আমরা আছি। যার কারণে সারা বাংলাদেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে গেছে এবং বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করল।’ 

আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। গত ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন পার্ক মোড়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে প্রকাশ্যে পুলিশ গুলি করে আবু সাঈদকে হত্যা করা হয়। ১৭ জুলাই বাবনপুরে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয় তাঁকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত