সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট
একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ছাপা, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর, বিভিন্ন কার্যাদেশ বা সরবরাহ আদেশে স্বাক্ষর, পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অগ্রিম টাকা উত্তোলন—এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ একজন ভুয়া ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ করবেন, তা ভাবা যায় না। কিন্তু অভাবনীয় এসব ঘটনা ঘটছে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (এসএমইউ)। এই কথিত সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (এইসি) হলেন বিলাল আহমদ চৌধুরী।
আজকের পত্রিকা'র অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। এ-সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী, অস্থায়ী চাকরির বৈধতা শেষ অনেক আগেই। সরকারি বেতনও বন্ধ হয়েছে প্রায় ২ বছর আগে। তবু তিনি ২ বছর ধরে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাজ করেছেন। সদ্য সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রার তাঁকে এসব কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু বেতন দেননি।
অভিযোগ রয়েছে, বেতন না দিলেও কাগজ কেনার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে এই ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’কে। বৈধ নয়, এমন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেটগুলোর বৈধতার প্রশ্নে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এসএমইউসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি ভিসি হিসেবে যোগ দেন ডা. এনায়েত হোসেন। শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগের মেয়াদ বৃদ্ধি না করে সব নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেন। ওই বছরের ১৪ জুন উপাচার্য ২৩৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বন্ধ করে তাঁদের মধ্য থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিজের পছন্দমতো রেজিস্ট্রার, সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষক ও ক্যাশিয়ার এবং ২৬ আগস্ট আরও ২৭ জনকে কর্মকর্তা-কর্মচারী অস্থায়ী ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ দেন। যদিও এর আগে চিঠি দিয়ে অ্যাডহক (অস্থায়ী) নিয়োগ বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছিল ইউজিসি। সদ্য সাবেক ভিসি এ এইচ এম এনায়েত হোসেন যে দুই দফা নিয়োগ দিয়েছিলেন, তার কোথাও সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে বিলাল হোসেন চৌধুরীর নাম নেই। অথচ দুই বছর ধরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাসংক্রান্ত সব কাজ করে যাচ্ছেন।
নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে প্রথম ভিসি ড. মোরশেদ আহমেদ চৌধুরীসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের যে মামলা চলছে, সেটির ৭ নম্বর আসামি এই বিলাল।
নথিপত্র বলছে, এসএমইউর ২০২০-২১ সেশনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট। বিলাল চৌধুরীর স্বাক্ষরে ওই মাসের ২৮ তারিখে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়।
টেন্ডার অর্ডারে স্বাক্ষর
বিলাল আহমদ চৌধুরী ২০২৪ সালের ৭ জুলাই ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ হিসেবে বিভিন্ন পরীক্ষার ১৯ হাজার কপি মূল উত্তরপত্রের ওয়ার্ক অর্ডার (সরবরাহ আদেশ) দেন নগরের লামাবাজারের উদয়ন অফসেট প্রেসকে। ২ লাখ ৯৯ হাজার ২৫০ টাকার এই টেন্ডারের দরপত্র মূল্যায়নে ৭ সদস্যের কমিটির মধ্যে শুধু ভিসি আর রেজিস্ট্রার স্বাক্ষর করেছেন। একইভাবে দরপত্র উন্মুক্তকরণে তিন সদস্যের কমিটির মধ্যে রেজিস্ট্রার ও সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই এই টাকাও পরিশোধ করেন। অভিযোগ উঠেছে, কাগজ কেনার টাকায় বিলালকে তাঁর বেতন উশুল করার সুযোগ দেন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার।
অগ্রিম টাকা উত্তোলন
বিলাল চৌধুরী ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ হিসেবে পরীক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের জন্য ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর ৩ লাখ, ৩০ ডিসেম্বর ২ লাখ ও ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ৩ লাখ টাকা অগ্রিম উত্তোলন করেন।
পরিদর্শনের নামে অর্থ আত্মসাৎ
২০২৪ সালের ৮ মে এসএমইউর ৪৩৬ নম্বর ভাউচারে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন সম্মানী নিয়েছেন বিলাল। বিএসসি ইন মেডিকেল টেকনোলজি (ল্যাবরেটরি) প্রথম বর্ষ জানুয়ারি ২০২৪ পরীক্ষার একটি কেন্দ্র তিনি ৭ দিন পরিদর্শন করেছেন। নগরের শাহি ঈদগাহের আরটিএমআই মেডিকেল টেকনোলজি ইনস্টিটিউট পরিদর্শনে দৈনিক ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ২৪ হাজার ৫০০ টাকা নেন। তবে বিলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাগজপত্রে নিজের পদবি ব্যবহার করলেও এই ভাউচারে শুধু নাম ব্যবহার করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে সাবেক ভিসি এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান ও নিয়োগহীন ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ বিলাল আহমদ চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকার কল করলেও তাঁরা রিসিভ করেননি। এই প্রতিবেদক খুদে বার্তা পাঠালেও তাঁরা সাড়া দেননি। পরে এনায়েত হোসেন ও বিলাল চৌধুরীর পক্ষে দুজন লোক এই প্রতিবেদককে ফোন করে সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন।
এসএমইউর নবনিযুক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ডা. মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন ভিসি নিয়োগ হয়েছেন। এটা উনাকে জিজ্ঞেস করেন। এ বিষয়ে আমার জানা নাই কিছু।’
এসএমইউর অন্যতম ডিন অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী আছেন। তাঁদের পরীক্ষা তো চালিয়ে যেতে হবে। এ কারণে আমরা যাঁদের পাইছি, তাঁদের দিয়ে কাজ করিয়েছি।’
এসএমইউর নবনিযুক্ত ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল পাটোয়ারি বলেন, ‘এটা তো আগে থেকেই চলে আসতেছে। পরীক্ষা কনটিনিউ (অব্যাহত) করার জন্য ডেইলি বেসিসে কয়েকজনকে রাখা হয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষার দায়িত্ব ওসমানীর প্রিন্সিপালকে দিয়েছে এবং উনারা কনটিনিউ করতেছেন আরকি। রেগুলার (স্থায়ী) নিয়োগ কারও হয়নি। আমাদের সংবিধিটা পাস হলে আমরা রেগুলারে যাব আরকি। যাঁরা এখানে ক্রাইটেরিয়া ফুল (যোগ্যতাসম্পন্ন) করবেন, তাঁরা আসবেন। আর যাঁরা ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করবেন না, তাঁরা আসবেন না। আমাদের আজকে (রোববার) মিটিং ছিল, সেখানেও এ বিষয়ে আলাপ হয়েছে।’
এসএমইউর অধীন ৩টি কলেজের ২০১৯-২০ সেশনের তিনজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের। চাকরি-উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়ব। বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিগগিরই আমরা কথা বলব।’
আরও খবর পড়ুন:
একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ছাপা, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর, বিভিন্ন কার্যাদেশ বা সরবরাহ আদেশে স্বাক্ষর, পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অগ্রিম টাকা উত্তোলন—এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ একজন ভুয়া ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ করবেন, তা ভাবা যায় না। কিন্তু অভাবনীয় এসব ঘটনা ঘটছে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (এসএমইউ)। এই কথিত সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (এইসি) হলেন বিলাল আহমদ চৌধুরী।
আজকের পত্রিকা'র অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। এ-সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী, অস্থায়ী চাকরির বৈধতা শেষ অনেক আগেই। সরকারি বেতনও বন্ধ হয়েছে প্রায় ২ বছর আগে। তবু তিনি ২ বছর ধরে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাজ করেছেন। সদ্য সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রার তাঁকে এসব কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু বেতন দেননি।
অভিযোগ রয়েছে, বেতন না দিলেও কাগজ কেনার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে এই ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’কে। বৈধ নয়, এমন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত সার্টিফিকেটগুলোর বৈধতার প্রশ্নে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এসএমইউসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি ভিসি হিসেবে যোগ দেন ডা. এনায়েত হোসেন। শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগের মেয়াদ বৃদ্ধি না করে সব নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেন। ওই বছরের ১৪ জুন উপাচার্য ২৩৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন বন্ধ করে তাঁদের মধ্য থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিজের পছন্দমতো রেজিস্ট্রার, সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষক ও ক্যাশিয়ার এবং ২৬ আগস্ট আরও ২৭ জনকে কর্মকর্তা-কর্মচারী অস্থায়ী ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগ দেন। যদিও এর আগে চিঠি দিয়ে অ্যাডহক (অস্থায়ী) নিয়োগ বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছিল ইউজিসি। সদ্য সাবেক ভিসি এ এইচ এম এনায়েত হোসেন যে দুই দফা নিয়োগ দিয়েছিলেন, তার কোথাও সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে বিলাল হোসেন চৌধুরীর নাম নেই। অথচ দুই বছর ধরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাসংক্রান্ত সব কাজ করে যাচ্ছেন।
নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে প্রথম ভিসি ড. মোরশেদ আহমেদ চৌধুরীসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের যে মামলা চলছে, সেটির ৭ নম্বর আসামি এই বিলাল।
নথিপত্র বলছে, এসএমইউর ২০২০-২১ সেশনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট। বিলাল চৌধুরীর স্বাক্ষরে ওই মাসের ২৮ তারিখে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়।
টেন্ডার অর্ডারে স্বাক্ষর
বিলাল আহমদ চৌধুরী ২০২৪ সালের ৭ জুলাই ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ হিসেবে বিভিন্ন পরীক্ষার ১৯ হাজার কপি মূল উত্তরপত্রের ওয়ার্ক অর্ডার (সরবরাহ আদেশ) দেন নগরের লামাবাজারের উদয়ন অফসেট প্রেসকে। ২ লাখ ৯৯ হাজার ২৫০ টাকার এই টেন্ডারের দরপত্র মূল্যায়নে ৭ সদস্যের কমিটির মধ্যে শুধু ভিসি আর রেজিস্ট্রার স্বাক্ষর করেছেন। একইভাবে দরপত্র উন্মুক্তকরণে তিন সদস্যের কমিটির মধ্যে রেজিস্ট্রার ও সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই এই টাকাও পরিশোধ করেন। অভিযোগ উঠেছে, কাগজ কেনার টাকায় বিলালকে তাঁর বেতন উশুল করার সুযোগ দেন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার।
অগ্রিম টাকা উত্তোলন
বিলাল চৌধুরী ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ হিসেবে পরীক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের জন্য ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর ৩ লাখ, ৩০ ডিসেম্বর ২ লাখ ও ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ৩ লাখ টাকা অগ্রিম উত্তোলন করেন।
পরিদর্শনের নামে অর্থ আত্মসাৎ
২০২৪ সালের ৮ মে এসএমইউর ৪৩৬ নম্বর ভাউচারে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন সম্মানী নিয়েছেন বিলাল। বিএসসি ইন মেডিকেল টেকনোলজি (ল্যাবরেটরি) প্রথম বর্ষ জানুয়ারি ২০২৪ পরীক্ষার একটি কেন্দ্র তিনি ৭ দিন পরিদর্শন করেছেন। নগরের শাহি ঈদগাহের আরটিএমআই মেডিকেল টেকনোলজি ইনস্টিটিউট পরিদর্শনে দৈনিক ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ২৪ হাজার ৫০০ টাকা নেন। তবে বিলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাগজপত্রে নিজের পদবি ব্যবহার করলেও এই ভাউচারে শুধু নাম ব্যবহার করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে সাবেক ভিসি এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মো. ফজলুর রহমান ও নিয়োগহীন ‘সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ বিলাল আহমদ চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকার কল করলেও তাঁরা রিসিভ করেননি। এই প্রতিবেদক খুদে বার্তা পাঠালেও তাঁরা সাড়া দেননি। পরে এনায়েত হোসেন ও বিলাল চৌধুরীর পক্ষে দুজন লোক এই প্রতিবেদককে ফোন করে সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন।
এসএমইউর নবনিযুক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ডা. মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন ভিসি নিয়োগ হয়েছেন। এটা উনাকে জিজ্ঞেস করেন। এ বিষয়ে আমার জানা নাই কিছু।’
এসএমইউর অন্যতম ডিন অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী আছেন। তাঁদের পরীক্ষা তো চালিয়ে যেতে হবে। এ কারণে আমরা যাঁদের পাইছি, তাঁদের দিয়ে কাজ করিয়েছি।’
এসএমইউর নবনিযুক্ত ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল পাটোয়ারি বলেন, ‘এটা তো আগে থেকেই চলে আসতেছে। পরীক্ষা কনটিনিউ (অব্যাহত) করার জন্য ডেইলি বেসিসে কয়েকজনকে রাখা হয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষার দায়িত্ব ওসমানীর প্রিন্সিপালকে দিয়েছে এবং উনারা কনটিনিউ করতেছেন আরকি। রেগুলার (স্থায়ী) নিয়োগ কারও হয়নি। আমাদের সংবিধিটা পাস হলে আমরা রেগুলারে যাব আরকি। যাঁরা এখানে ক্রাইটেরিয়া ফুল (যোগ্যতাসম্পন্ন) করবেন, তাঁরা আসবেন। আর যাঁরা ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করবেন না, তাঁরা আসবেন না। আমাদের আজকে (রোববার) মিটিং ছিল, সেখানেও এ বিষয়ে আলাপ হয়েছে।’
এসএমইউর অধীন ৩টি কলেজের ২০১৯-২০ সেশনের তিনজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের। চাকরি-উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়ব। বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিগগিরই আমরা কথা বলব।’
আরও খবর পড়ুন:
পাহাড়ে নানা জাতের আমের ফলন হয়। কিন্তু এবার দৃশ্য ভিন্ন। বৃষ্টির দেখা নেই এখনো। খরায় ঝরে যাচ্ছে মুকুল। এ নিয়ে আমচাষিরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। তাঁরা বলছেন, মুকুল আসার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে এবার আমের ফলনে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে‘বাসায় মানুষ আমরা মাত্র তিনজন। কিন্তু ঈদ মানে তো শুধু নিজেদের খাবার নয়, গেস্টদের জন্যও আয়োজন করতে হবে। তাই সবকিছু একটু বেশি করে নিতে হচ্ছে,’ বলছিলেন গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আসা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মচারী আহসান হাবীব।
২ ঘণ্টা আগেমো. বনী আমিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ইস্যু ক্লার্ক। অফিসে আসেন নিজের ইচ্ছেমতো। হাজিরা খাতায় একবারেই করেন মাসের সব স্বাক্ষর। গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
২ ঘণ্টা আগেঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য ট্রেনে টিকিট হাতে নিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের প্রবেশমুখে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন সৈয়দপুরের যাত্রী সোহেল রানা। স্টেশনের টিকিট চেকার পরীক্ষা করে দেখেন তাঁর সঙ্গে থাকা টিকিট জাল।
২ ঘণ্টা আগে