মৌলভীবাজারে ৭ ফুট লম্বা কাঁদিতে ধরেছে হাজারের বেশি কলা

মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮: ৩৯
Thumbnail image

একটি কাঁদিতে কতটি কলা থাকতে পারে? ভাবছেন কত আর, ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০। কিন্তু কখনো কি শুনেছেন কলার কাঁদি সাত ফুট লম্বা আর তাতে হাজারের বেশি কলা ধরেছে? এমনই অবাক করা দুটি কলাগাছের দেখা মিলেছে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের মুনিম সিদ্দীকির বাড়িতে। আশ্চর্য এই কলার কাঁদি দেখতে আসছেন আশপাশের এলাকার কৌতূহলী মানুষ।

কৃষিবিদেরা বলছেন, বাংলাদেশে এটি হাজারি কলা নামে পরিচিত হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর নাম থাউজেন্ডস ফিঙ্গার ব্যানানা। থাউজেন্ডস ফিঙ্গার ব্যানানা বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কাঁদির কলা হিসেবে পরিচিত। মানুষ শখের বসে চাষ করেন এটি। এই প্রজাতির কলার আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায়। এ ধরনের কলাগাছে একেকটি কাঁদি ৬ ফুট থেকে ১০ ফুট লম্বা হয়। কাঁদির ওপরের অংশের কলা বড় হলেও নিচের অংশের কলা ছোট থেকে যায়। এ ধরনের কাঁদি গাছের সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়ে দেয়।

কমলগঞ্জ উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের যোগীবিল গ্রামের বাসিন্দা এবং ‘এসো বাগান করি’ নামর একটি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডমিন মুনিম সিদ্দিকি। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ফিলিপাইন থেকে এই কলাগাছ সংগ্রহ করেছি। আমার বাড়িতে দুইটা কলাগাছে ফল ধরেছে। ৬ থেকে ৭ ফুট লম্বা কাঁদি হয়েছে। এগুলো আরও লম্বা হবে। একেকটি কাঁদিতে হাজারের ওপরে কলা ধরেছে। আমি শখের বসে রোপণ করেছি। এটির প্রকৃত নাম থাউজেন্ডস ফিঙ্গার ব্যানানা আর বাংলাদেশে হাজারি কলা বলে ডাকা হয়। আমার কাছে এই কলাগাছের কিছু চারা ছিল। যাঁরা দেখতে আসেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই আমার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করেছেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বৃক্ষপ্রেমী মানুষ। আমার বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি ফলদ ও বনজ গাছ রয়েছে। অনেকেই আসেন কলা গাছসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখতে। আমরা এই কলাকে দুভাবে ব্যবহার করতে পারি। একটি হচ্ছে খাওয়ার জন্য, অপরটি হচ্ছে অর্নামেন্টাল প্ল্যান্ট হিসেবে। আমি মূলত বাড়িতে সাজ-সজ্জা বৃদ্ধির জন্য লাগিয়েছি। এই ছড়ির ওপরের অংশের কলা পোক্ত হলে খাওয়া যায়।’ 

বাংলাদেশে এটি হাজারি কলা নামে পরিচিত হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এর নাম থাউজেন্ডস ফিঙ্গার ব্যানানাথাউজেন্ডস ফিঙ্গার ব্যানানা দেখে প্রকৌশলী রাকিব আহমেদ বলেন, ‘আমরা মুনিম সিদ্দিকির বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এখানে বিভিন্ন ধরনের গাছগাছালি আছে। তবে থাউজেন্ডস ফিঙ্গার ব্যানানা দেখে অবাক হয়েছি। একটি কলাগাছে ৭ থেকে ৮ ফুট লম্বা কলার ছড়ি ধরেছে। ছড়ির ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কয়েক হাজার কলা ধরেছে। দেখতে অনেক সুন্দর লেগেছে। 

কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, ‘এই প্রজাতির কলাকে বিদেশে থাউজেন্ডস ফিঙ্গার ব্যানানা বলে। আমাদের দেশে খুবই বিরল এই কলা। এই কলা আকারে অনেক ছোট হলেও কাঁদিতে কয়েক হাজার হয়।’ 

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ হাজারি কলা হিসেবে এটি পরিচিত। কেউ চাইলে এই কলা খেতে পারবেন। আবার কেউ বাড়ির সাজসজ্জার জন্য লাগিয়ে থাকেন। সঠিক পদ্ধতিতে এই কলা পরিচর্যা করলে ছড়ির আকার বড় হতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত