বাইরে থেকে দোকান বন্ধ থাকলেও ভেতরে ক্রেতা সমাগম। শাটার অর্ধেক খোলা রেখে দোকান চলে; পুলিশ, প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেলেই টপাটপ শাটার বন্ধ করে দেয়। লকডাউনের চতুর্থ দিনে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ীদের এমনই নানা কৌশলে দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে। 

আজ রোববার সকাল থেকে উপজেলা সদর, বাদশাগঞ্জ, গাছতলা, মধ্যনগর বাজারের অধিকাংশ দোকানে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এতে করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন। 

সাংস্কৃতিক কর্মী চয়ন কান্তি দাস বলেন, ধর্মাপাশায় প্রতিদিন যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে এখনই সচেতন না হলে, ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। সামাজিক সংগঠন অভিযাত্রীর সদস্য শরীফুল আলম লিমন বলেন, মধ্যনগর বাজারে এমনিতেই জ্বর, সর্দিকাশি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সবাইকে এখনই সচেতন হতে হবে। 

মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার বলেন, চলমান লকডাউন সফল করতে আমরা কাজ করছি। করোনা সংক্রমণ রোধ করতে সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীদের সরকারি বিধিনিষেধ মেনে সর্বোচ্চ সচেতন থাকার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ও মধ্যনগর থানা যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছি। 

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির হাসান বলেন, আমরা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছি। করোনা বেড়ে যাচ্ছে, আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। কারও ঘরে যদি খাবার না থাকে ৩৩৩ নম্বরে কল করে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে খাবার পৌঁছে দেব।