Ajker Patrika

এটিএম বুথের টাকা লুট, ২ দিনেও গ্রেপ্তার হননি কেউ

প্রতিনিধি, ওসমানীনগর (সিলেট)
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১: ৪৩
এটিএম বুথের টাকা লুট, ২ দিনেও গ্রেপ্তার হননি কেউ

সিলেটের ওসমানীনগরে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবিএল) এটিএম বুথে লুটের ঘটনায় দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ডাকাত দল ও টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে ওসমানীনগর থানা–পুলিশ।

গত শনিবার ব্যাংক লুটের এ ঘটনা ঘটা। এরপর রোববার সন্ধ্যায় ওসমানীনগর থানায় ব্যাংকটির শেরপুর নতুন বাজার শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ আশরাফুল আমিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেরপুর শাখার নিচতলায় এই ব্যাংকের একটি এটিএম বুথ রয়েছে। ঘটনার দিন রোববার রাত সোয়া ৩টার দিকে ওই বুথে প্রবেশ করেন মুখোশধারী চারজন। এ সময় বুথের নিরাপত্তাকর্মী জাকারিয়াকে (২৩) মারধর করে দুই হাত ও মুখ স্কচটেপ দিয়ে বাঁধেন এবং গলায় ছুরি ধরে জিম্মি করেন। এরপর তাঁরা এটিএম বুথের মেশিনটি শাবল দিয়ে ভেঙে মোট ২৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা লুট করে নিয়ে যান। পরবর্তীতে এটিএম বুথের দ্বিতীয় তলায় থাকা অপর নিরাপত্তাকর্মী সাহেল মিয়া জাকারিয়াকে উদ্ধার করেন। তারপর জাকারিয়ার মুখ থেকে বিস্তারিত শুনে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, থানা–পুলিশ, সিআইডি, পিআইবি ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ আশরাফুল আমিন জানান, ‘এটিএম বুথের ভেতরে পাঁচটি ও বাইরে (বুথ সংলগ্ন) তিনটি সিসি ক্যামেরা সচল রয়েছে। মুখোশধারী চারজন বুথের ভেতর প্রবেশ করে ভেতরে থাকা একমাত্র নিরাপত্তাকর্মীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সিসি ক্যামেরায় কালি ছিটিয়ে দেন। এতে ফুটেজ ঝাপসা হয়ে গেলে তাঁরা বুথ ভেঙে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। তবে বাইরে থাকা তিনটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ব্যাপারে তাঁর কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক ব্যবসায়ী জানান-শেরপুর বাজার কমিটির এক নৈশপ্রহরী ভোর পৌনে ৪টার দিকে বুথের পার্শ্ববর্তী ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হেলমেট পরিহিত তিন যুবককে মোটরসাইকেলে বসে থাকতে দেখেন। হঠাৎ পেছন থেকে আরও একজন দৌড়ে এসে মোটরসাইকেলটি উঠলে চারজন মৌলভীবাজারের দিকে চলে যান। এ সময় শেরপুর টুল প্লাজার সামনে থানা–পুলিশের একটি ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। 

আবদুল সালাম নামের এক চাকরিজীবী বলেন, প্রায়ই রাত ১০টার পর বুথে গেলে ভেতর থেকে বুথ বন্ধ পাওয়া যায়। বুথের নিরাপত্তাকর্মী ভেতর থেকে গ্লাসের দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়েন। কেউ প্রয়োজনে ‘নক’ করলে তিনি বুথের দরজা খুলে দেন। ঘটনার রাতে নিরাপত্তাকর্মী ভেতর থেকে তাঁদের দেখার কথা। কোনো সন্দেহ হলে তিনি তাঁর সঙ্গে থাকা মোবাইল দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করতে পারতেন। কিন্তু চারজন মুখোশধারীকে দেখার পরেও গভীর রাতে বুথের দরজা খুলে দেওয়ার ব্যাপারটি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় ডাকাতরা ওই নিরাপত্তাকর্মীর মোবাইলটিও ছিনিয়ে নেয়নি বা সিমকার্ডও অকেজো করেনি। বুথের নিরাপত্তাকর্মী স্থানীয় পূর্ব তাজপুরের বাসিন্দা হওয়ায় ডাকাতির ঘটনায় তিনিও সন্দেহের বাইরে নন।

ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক বলেন, ‘ঘটনাটি অবশ্যই রহস্যজনক। পুরো ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করেছি। তবে লুটের পেছনের ঘটনা রহস্য উদ্ঘাটনসহ ডাকাতদের ধরতে ও টাকা উদ্ধার করতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। আমাদের পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে ইতি মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে। আশা করি খুব দ্রুতেই আমরা সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন এম এ জি ওসমানীসহ ৮ জন

কনের বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে হৃদ্‌রোগে বরের মৃত্যু

বগুড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ছাদ থেকে পড়ে নার্সিং শিক্ষার্থীর মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত