জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে জামালগঞ্জ উপজেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলন কমিটি। আজ রোববার বেলা ১১টায় জামালগঞ্জের খেয়াঘাট এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা প্রাঙ্গণে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন উপজেলার কৃষক, জনতাসহ সংগঠনের নেতারা। পরে ঘণ্টাখানেক পর তাঁরা কর্মসূচি শেষ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নীতিমালা উপেক্ষা করে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ, অক্ষত-অল্প ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পে বিপুল টাকা বরাদ্দ দিয়ে সরকারের অর্থ নষ্ট এবং নির্ধারিত সময়েও ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করতে না পারার কারণেই ইউএনও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে জেলার ১২টি উপজেলার প্রতিটি ইউএনও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, বর্ধিত সময়ে বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনাই দায়ী। পাহাড়ি ঢল ও অকাল বন্যার আগে বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় জেলার কৃষকের বোরো ফসল ঝুঁকিতে রয়েছে। দুর্বল বাঁধের কারণে ২০২২ সালের মতো ফের ফসল ডুবির ঘটনা ঘটলে কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
কেন্দ্রীয় হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, ‘যদি দ্রুত এই ফসল রক্ষা বাঁধের নিরাপত্তায় কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে সামনে আরও বড় ধরনের পদক্ষেপসহ ডিসি অফিস ঘেরাও করা হবে।’
বক্তব্য শেষে আন্দোলনের নেতারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেবের অফিসে দেখা করতে গেলে ইউএনও জেলা মিটিংয়ে থাকায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি বিক্ষোভকারীরা। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদের কার্যালয়ে দেখা করে নির্ধারিত সময়ে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ ফসল রক্ষা বাঁধ প্রকল্প (পিআইসি) মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামালগঞ্জের হাওরের ছোট–বড় মোট ৬১টি প্রকল্পের প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া হাওরের বিপজ্জনক সব জায়গায় ভালো কাজ হয়েছে। হাওরের সব ফসল ঘরে না ওঠা পর্যন্ত পিআইসি সদস্যদের বাঁধে অবস্থান করে নতুন মাটিতে ঘাস লাগানো ও সবুজ করার জন্য পানি দেওয়া এবং বৃষ্টি হলে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় মেরামতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে প্রতিটি বাঁধ সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যদি কোনো প্রকল্পে কাজের কোনো গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিক্ষোভ সমাবেশ অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন হাওর বাঁচাও কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, সাবেক সদস্যসচিব রাজু আহমেদ, জামালগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি শাহানা আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন পুরকায়স্থ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, হাওর বাঁচাও আন্দোলন নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে জামালগঞ্জ উপজেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলন কমিটি। আজ রোববার বেলা ১১টায় জামালগঞ্জের খেয়াঘাট এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা প্রাঙ্গণে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন উপজেলার কৃষক, জনতাসহ সংগঠনের নেতারা। পরে ঘণ্টাখানেক পর তাঁরা কর্মসূচি শেষ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নীতিমালা উপেক্ষা করে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ, অক্ষত-অল্প ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পে বিপুল টাকা বরাদ্দ দিয়ে সরকারের অর্থ নষ্ট এবং নির্ধারিত সময়েও ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করতে না পারার কারণেই ইউএনও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে জেলার ১২টি উপজেলার প্রতিটি ইউএনও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, বর্ধিত সময়ে বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনাই দায়ী। পাহাড়ি ঢল ও অকাল বন্যার আগে বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় জেলার কৃষকের বোরো ফসল ঝুঁকিতে রয়েছে। দুর্বল বাঁধের কারণে ২০২২ সালের মতো ফের ফসল ডুবির ঘটনা ঘটলে কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
কেন্দ্রীয় হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, ‘যদি দ্রুত এই ফসল রক্ষা বাঁধের নিরাপত্তায় কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে সামনে আরও বড় ধরনের পদক্ষেপসহ ডিসি অফিস ঘেরাও করা হবে।’
বক্তব্য শেষে আন্দোলনের নেতারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেবের অফিসে দেখা করতে গেলে ইউএনও জেলা মিটিংয়ে থাকায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি বিক্ষোভকারীরা। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদের কার্যালয়ে দেখা করে নির্ধারিত সময়ে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ ফসল রক্ষা বাঁধ প্রকল্প (পিআইসি) মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামালগঞ্জের হাওরের ছোট–বড় মোট ৬১টি প্রকল্পের প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া হাওরের বিপজ্জনক সব জায়গায় ভালো কাজ হয়েছে। হাওরের সব ফসল ঘরে না ওঠা পর্যন্ত পিআইসি সদস্যদের বাঁধে অবস্থান করে নতুন মাটিতে ঘাস লাগানো ও সবুজ করার জন্য পানি দেওয়া এবং বৃষ্টি হলে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় মেরামতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
ইউএনও আরও বলেন, ‘এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথভাবে প্রতিটি বাঁধ সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যদি কোনো প্রকল্পে কাজের কোনো গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিক্ষোভ সমাবেশ অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন হাওর বাঁচাও কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, জেলা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, সাবেক সদস্যসচিব রাজু আহমেদ, জামালগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি শাহানা আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন পুরকায়স্থ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, হাওর বাঁচাও আন্দোলন নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
১০ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
২০ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
৩৯ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১ ঘণ্টা আগে