প্রতিনিধি
সিলেট: সিলেটে পাঁচ দফা ভূমিকম্পের পর সম্ভাব্য বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস ও ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে সিটি করপোরেশনকে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ঘনঘন ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত সম্পর্কিত ভার্চুয়াল সভায় বিশেষজ্ঞরা এসব পরামর্শ দেন।
পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণ ও ঝুঁকিমুক্ত করার উদ্যোগে নেওয়া, উদ্ধারকর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভূমিকম্প হলে করণীয় বিষয়ে নিয়মিত মহড়া আয়োজন, ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে প্রচারণা অব্যাহত রাখা, ইমারত নির্মাণ আইন অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হচ্ছে কি না তা তদারকি করা ও সিলেটে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়ানো।
ভূমিকম্পের আশঙ্কায় সিলেট সিটি করপোরেশন দুর্যোগ মোকাবিলা এবং ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় বিশেষজ্ঞ বক্তা হয়েছে বক্তব্য উপস্থাপন করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও-ভিসি ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, চুয়েটের সাবেক ভিসি ও ইউএসটিসির উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, জিওটেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমদ আনসারি এবং শাহজাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম।
সিলেট সিটি করপোরেশনের আয়োজনে বিশেষজ্ঞদের মতামত সম্পর্কিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
সভায় প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি বলেন, সবার আগে নাগরিকদের সচেতন করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে হবে। নাগরিকরা যাতে আতঙ্কিত না হয় সে জন্য প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।
ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার তালিকায় সিলেট আছে উল্লেখ্য করে মন্ত্রী বলেন, সিলেট এ জন্য আগে টিনের এক তলা বাড়ি বেশি ছিল। এখন প্রয়োজনে বহুতল ভবন হচ্ছে, ঝুঁকিও বাড়ছে। তবে, এবারের ভূমিকম্প পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের দ্রুত উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি। প্রাকৃতিক এই অনিশ্চিত ঝুঁকি মোকাবিলা ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সরকার সোচ্চার রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সিলেট ভূমিকম্পের রেড জোনে রয়েছে। তাই এখানকার প্রস্তুতিটাও নিতে হবে সেদিক বিবেচনায় রেখে। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী এই অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে। এ জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় এ অঞ্চলে উদ্ধারকর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুত করতে হবে। সিলেটে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। যেখানে উদ্ধার কাজের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি–সরঞ্জাম মজুত থাকবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভূমিকম্প হলে করণীয় বিষয়ে নিয়মিত মহড়া আয়োজন, ইমারত নির্মাণ আইন অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হচ্ছে কে না তা তদারকি বাড়ানোর জন্য সিসিকের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
চুয়েটের সাবেক ভিসি ও ইউএসটিসির উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ধারণা করা হয় ডাউকি চ্যুতিতে কম্পন হলে সেটি ৮ মাত্রার হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে এখনই উদ্যোগ নিলে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য সিলেট সিটি করপোরেশনসহ সকল দপ্তর ও শাখাকে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রণীত গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নগরের সকল ভবন অ্যাসেসমেন্ট করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে হবে। সে অনুযায়ী ভবনগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে।
বুয়েটের অধ্যাপক ড. মেহেদি আহমদ আনসারি বলেন, এখনো সময় আছে। চাইলে ছয় মাসের মধ্যেই সিলেট নগরের সকল ভবন অ্যাসেসমেন্ট করে ফেলা সম্ভব। ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে হলে নগরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন কমাতে হবে-এর কোন বিকল্প নেই।
সিলেট: সিলেটে পাঁচ দফা ভূমিকম্পের পর সম্ভাব্য বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস ও ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে সিটি করপোরেশনকে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ঘনঘন ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত সম্পর্কিত ভার্চুয়াল সভায় বিশেষজ্ঞরা এসব পরামর্শ দেন।
পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণ ও ঝুঁকিমুক্ত করার উদ্যোগে নেওয়া, উদ্ধারকর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভূমিকম্প হলে করণীয় বিষয়ে নিয়মিত মহড়া আয়োজন, ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে প্রচারণা অব্যাহত রাখা, ইমারত নির্মাণ আইন অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হচ্ছে কি না তা তদারকি করা ও সিলেটে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়ানো।
ভূমিকম্পের আশঙ্কায় সিলেট সিটি করপোরেশন দুর্যোগ মোকাবিলা এবং ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় বিশেষজ্ঞ বক্তা হয়েছে বক্তব্য উপস্থাপন করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও-ভিসি ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, চুয়েটের সাবেক ভিসি ও ইউএসটিসির উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, জিওটেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমদ আনসারি এবং শাহজাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম।
সিলেট সিটি করপোরেশনের আয়োজনে বিশেষজ্ঞদের মতামত সম্পর্কিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
সভায় প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি বলেন, সবার আগে নাগরিকদের সচেতন করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে হবে। নাগরিকরা যাতে আতঙ্কিত না হয় সে জন্য প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।
ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার তালিকায় সিলেট আছে উল্লেখ্য করে মন্ত্রী বলেন, সিলেট এ জন্য আগে টিনের এক তলা বাড়ি বেশি ছিল। এখন প্রয়োজনে বহুতল ভবন হচ্ছে, ঝুঁকিও বাড়ছে। তবে, এবারের ভূমিকম্প পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের দ্রুত উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি। প্রাকৃতিক এই অনিশ্চিত ঝুঁকি মোকাবিলা ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সরকার সোচ্চার রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সিলেট ভূমিকম্পের রেড জোনে রয়েছে। তাই এখানকার প্রস্তুতিটাও নিতে হবে সেদিক বিবেচনায় রেখে। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী এই অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে। এ জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় এ অঞ্চলে উদ্ধারকর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুত করতে হবে। সিলেটে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। যেখানে উদ্ধার কাজের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি–সরঞ্জাম মজুত থাকবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভূমিকম্প হলে করণীয় বিষয়ে নিয়মিত মহড়া আয়োজন, ইমারত নির্মাণ আইন অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হচ্ছে কে না তা তদারকি বাড়ানোর জন্য সিসিকের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
চুয়েটের সাবেক ভিসি ও ইউএসটিসির উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ধারণা করা হয় ডাউকি চ্যুতিতে কম্পন হলে সেটি ৮ মাত্রার হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে এখনই উদ্যোগ নিলে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য সিলেট সিটি করপোরেশনসহ সকল দপ্তর ও শাখাকে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রণীত গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নগরের সকল ভবন অ্যাসেসমেন্ট করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে হবে। সে অনুযায়ী ভবনগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে।
বুয়েটের অধ্যাপক ড. মেহেদি আহমদ আনসারি বলেন, এখনো সময় আছে। চাইলে ছয় মাসের মধ্যেই সিলেট নগরের সকল ভবন অ্যাসেসমেন্ট করে ফেলা সম্ভব। ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে হলে নগরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন কমাতে হবে-এর কোন বিকল্প নেই।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) দুজন প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) দুটি দরপত্র প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দুই শতাধিক ঠিকাদার। জানা গেছে, দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে তাঁরা কয়েক হাজার শিডিউল কিনেছিলেন। প্রতিটি শিডিউলের মূল্য ছিল এক হাজার টাকা। এই টাকা আ
২ ঘণ্টা আগেপাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা পশ্চিম জামুয়া গুচ্ছগ্রামে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬০টি ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি চক্রের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপি-সমর্থিত কিছু লোক ঘর স্থাপন করা ওই জমি নিজেদের দাবি করে পরিবারগুলোকে জোর করে তুলে দিয়েছে। একই সঙ্গে ঘর ভেঙে সবকি
২ ঘণ্টা আগেবাবা আনারুল ইসলাম খেতে দিনমজুরের কাজ করেন। শারীরিকভাবেও অসুস্থ। মা শিল্পী খাতুন বাড়িতে হাঁস-মুরগি ও ছাগল পালন করেন। এভাবেই চলছে সংসার। এই পরিবারের সন্তান মো. মেহেদী হাসান অভাব-অনটন জয় করে খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর সাফল্যে পরিবারে খুশির বন্যা বয়ে গেলেও পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নে
২ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সরকারি প্রকল্পে ব্যবহারের অজুহাতে কুশিয়ারা নদীতে খননযন্ত্র (ড্রেজার) বসিয়ে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন; যা অন্য জায়গায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত বালু তোলার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ, ফসলি জমি, ঘরবাড়িসহ ১৫০ কোটি টাকার রানীগঞ্জ সেতু।
২ ঘণ্টা আগে