নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
মৌলভীবাজারের জুড়ী লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের আট কিলোমিটার ভেতরে বিশাল আকৃতির অজগর সাপকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে গত রোববার ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের সদস্যরা। ততক্ষণে অজগর সাপের দেহের ৭৫ ভাগ পচে যায়।
এর আগে ৫ অক্টোবর অজগর সাপটিকে মৃত পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। গবাদিপশু (গরু) খেয়ে ফেলবে বা বড় কোনো ক্ষতি করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে সাপটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বন বিভাগ জুড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেই দায় শেষ করেছে। এমন কী অজগরের দেহটি মাটিচাপা দেওয়া বা কীভাবে মারা গেল তা জানার জন্য ময়নাতদন্তের প্রয়োজনও মনে করেনি তারা।
অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের উদাসীনতা এবং পরিচর্যার অভাবে সংরক্ষিত এই অঞ্চলের বন্য প্রাণীগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
জানা গেছে, লাঠিটিলা সংরক্ষিত এই বনের আয়তন পাঁচ হাজার ৬৩১ দশমিক ৩০ হেক্টর। নিবিড় পর্যবেক্ষণে এই বনে সম্প্রতি নতুন কয়েক ধরনের বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। এটি সিলেট বিভাগের অন্যতম চির হরিৎ বন। সংরক্ষিত এই বনে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ থাকলেও মানছেন না কেউই। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নজরদারিও কম। হয়রানির ভয়েও মুখ খোলেন না স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা অনেক সময় বন বিভাগের জন্য কথা বলতে পারি না। যদি বলি, পরে বন বিভাগ আমাদের ওপর বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করে। মিথ্যা মামলায় জেল খাটায়। তবে এই সাপটি মরে নি। সাপটিকে বনে ভেতরে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এখানে বনের ভেতরে অনেকেই গরু চরায় ও বাগান পরিচর্যা করে। তারা বলাবলি করেছে, এই সাপটি যখন এত বড় প্রাণী গিলে ফেলছে নিশ্চয়ই গরুও খেতে পারবে। এই চিন্তায় যারা গরু রাখে ও বাগান পরিচর্যা করে তারাই মেরেছে।’
পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের দুই সদস্য আবিদ হোসাইন ও জেবলু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লোকালয় থেকে ৭/৮ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। সেখানে প্রায় ৮ থেকে ৯ ফুট লম্বা মৃত একটি অজগর সাপ পড়ে থাকতে দেখি। আমরা রাস্তায় মানুষ চলাচলের বেশ কিছু আলামত পেয়েছি। সঙ্গে বনের বড় একটি অংশ পরিষ্কার করে রাখা। অজগরটি দেখা বোঝা যাচ্ছে বড় কোনো প্রাণী খেয়ে পড়ে আছে। সঙ্গে অজগরের গায়ে আঘাতের চিহ্নও দেখতে পাই। যে কেউ দেখলেই বুঝবে সাপটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে অজগরটি বন্য শূকর খেয়ে পড়ে থাকে। অজগরের পেট খাবারে ভর্তি থাকায় তাৎক্ষণিক নড়াচড়া করতে পারেনি। এই সুযোগে সাপটিকে পিটিয়ে মারা হতে পারে। ওই দিনের দুইটি ভিডিও সন্ধান পাওয়া যায়, একটি ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের ও অপরটি এক মিনিটের।
এতে দেখা যায়, ‘স্থানীয় কিছু মানুষ সাপটিকে বনের ঝোপঝাড় থেকে লেজ ধরে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করার চেষ্টা করছে। আবার, সাপটি মানুষের হাত থেকে বাঁচার জন্য বনের দিকে জোর করে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তারা সাপটির গায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। ভিডিওতে শোনা যায় কেউ বলছেন, মারো বাড়ি (আঘাত করো)।’
পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের আরেক সদস্য খোর্শেদ আলম বলেন, ‘গিয়ে দেখি মৃত সাপটি প্রায় ৭৫ শতাংশ পচে গেছে। শেষ বারের মতো খাওয়া বুনো শূকরের হাড় দেখা যাচ্ছে। এখানে এসে যা দেখলাম তাতে মনে হচ্ছে না সাপটি এমনি মারা যায়নি। এখানকার পরিবেশ বলছে, এটা পরিকল্পিতভাবে মারা হয়েছে।’
সাপ গবেষক বোরহান বিশ্বাস রুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের এই অঞ্চলে যে অজগরগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো হলো বর্মিজ পাইথন। এরা কোনোভাবে মানুষ কিংবা গরুর মতো প্রাণী খাওয়া সম্ভব না। সাপ যখন খাবার খায় তখন হজম করার জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় নিবে। খাবার যদি একটু বড় সাইজের হয়, তখন অজগরের জন্য কোনো কোনো সময় ৫ থেকে ৬ দিনও সময় লাগতে পারে হজম করার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘বন্য শূকরের স্বাভাবিক খাবারের চেয়ে সাইজে একটু বড় হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মানুষ যদি তাকে বিরক্ত করে তাহলে সাপ বমি করার চেষ্টা করে এবং মারা যেতে পারে। এই সাপটাকে আঘাত করা হয়েছে এটা স্পষ্ট। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সাপের পেটে খাবার থাকায় সে পালাতে পারেনি। এটা সাপের জন্য খুব নাজুক অবস্থা।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণভাবে যে কোনো প্রাণী মারা গেলে মাটি ছাপা দেওয়া পরিবেশ-প্রকৃতি এবং ওই এলাকায় বসবাসরত মানুষের জন্য ভালো।’
জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাপটি মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ডিএফও স্যারকে জানানো হয়। উনি যেভাবে বলেছেন, সেভাবে কাজ করেছি। তবে সাপটি কীভাবে মারা গেছে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রটোকল ডিউটিতে সিলেটে ছিলাম। বিট অফিসার গিয়েছিলেন। সাপটিকে মারা হয়েছে এমন কোন তথ্য পাইনি। বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডি হয়েছে, তদন্ত চলছে।’
লাঠিটিলা বনের বিট কর্মকর্তা রুমিজ্জামান হোসেন বলেন, ‘৫ তারিখ গিয়েছিলাম। সাপটির শরীরের কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখিনি। মাটিচাপা ওয়ার্ল্ড লাইফের কাজ, আমাদের নয়।’
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় বিট অফিসার আমাদের জানিয়েছে প্রাকৃতিক কারণে বা ওভার হিটিংয়ের কারণে সাপটি মারা গেছে। আমার কাছে যে ছবি পাঠানো হয়েছে, তা দেখে মনে হয়েছে ওভার হিটিং এর কারণে সাপটি মারা যেতে পারে। সাধারণত সাপকে মারা হলে থেঁতলে যায়। ছবিতে এ রকম কিছু চোখে পড়েনি। তবে বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডি হয়েছে। সাপটিকে যদি পিটিয়ে মারা হয়, তাহলে থানায় নিয়মিত মামলা হবে। মাটিচাপা দেওয়ার কথা। এটাতো সিলেট বন বিভাগের অধীনে, আমাদের না।’
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. তৌফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অধীনে তো সবই কিন্তু বন্যপ্রাণীর বিষয়গুলো তো ওয়ার্ল্ড লাইফের। অসুবিধা নাই আমি বিট অফিসারকে বলে দিচ্ছি।’
মৌলভীবাজারের জুড়ী লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের আট কিলোমিটার ভেতরে বিশাল আকৃতির অজগর সাপকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে গত রোববার ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের সদস্যরা। ততক্ষণে অজগর সাপের দেহের ৭৫ ভাগ পচে যায়।
এর আগে ৫ অক্টোবর অজগর সাপটিকে মৃত পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। গবাদিপশু (গরু) খেয়ে ফেলবে বা বড় কোনো ক্ষতি করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে সাপটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বন বিভাগ জুড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেই দায় শেষ করেছে। এমন কী অজগরের দেহটি মাটিচাপা দেওয়া বা কীভাবে মারা গেল তা জানার জন্য ময়নাতদন্তের প্রয়োজনও মনে করেনি তারা।
অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের উদাসীনতা এবং পরিচর্যার অভাবে সংরক্ষিত এই অঞ্চলের বন্য প্রাণীগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
জানা গেছে, লাঠিটিলা সংরক্ষিত এই বনের আয়তন পাঁচ হাজার ৬৩১ দশমিক ৩০ হেক্টর। নিবিড় পর্যবেক্ষণে এই বনে সম্প্রতি নতুন কয়েক ধরনের বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। এটি সিলেট বিভাগের অন্যতম চির হরিৎ বন। সংরক্ষিত এই বনে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ থাকলেও মানছেন না কেউই। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নজরদারিও কম। হয়রানির ভয়েও মুখ খোলেন না স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা অনেক সময় বন বিভাগের জন্য কথা বলতে পারি না। যদি বলি, পরে বন বিভাগ আমাদের ওপর বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করে। মিথ্যা মামলায় জেল খাটায়। তবে এই সাপটি মরে নি। সাপটিকে বনে ভেতরে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এখানে বনের ভেতরে অনেকেই গরু চরায় ও বাগান পরিচর্যা করে। তারা বলাবলি করেছে, এই সাপটি যখন এত বড় প্রাণী গিলে ফেলছে নিশ্চয়ই গরুও খেতে পারবে। এই চিন্তায় যারা গরু রাখে ও বাগান পরিচর্যা করে তারাই মেরেছে।’
পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের দুই সদস্য আবিদ হোসাইন ও জেবলু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লোকালয় থেকে ৭/৮ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। সেখানে প্রায় ৮ থেকে ৯ ফুট লম্বা মৃত একটি অজগর সাপ পড়ে থাকতে দেখি। আমরা রাস্তায় মানুষ চলাচলের বেশ কিছু আলামত পেয়েছি। সঙ্গে বনের বড় একটি অংশ পরিষ্কার করে রাখা। অজগরটি দেখা বোঝা যাচ্ছে বড় কোনো প্রাণী খেয়ে পড়ে আছে। সঙ্গে অজগরের গায়ে আঘাতের চিহ্নও দেখতে পাই। যে কেউ দেখলেই বুঝবে সাপটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে অজগরটি বন্য শূকর খেয়ে পড়ে থাকে। অজগরের পেট খাবারে ভর্তি থাকায় তাৎক্ষণিক নড়াচড়া করতে পারেনি। এই সুযোগে সাপটিকে পিটিয়ে মারা হতে পারে। ওই দিনের দুইটি ভিডিও সন্ধান পাওয়া যায়, একটি ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের ও অপরটি এক মিনিটের।
এতে দেখা যায়, ‘স্থানীয় কিছু মানুষ সাপটিকে বনের ঝোপঝাড় থেকে লেজ ধরে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করার চেষ্টা করছে। আবার, সাপটি মানুষের হাত থেকে বাঁচার জন্য বনের দিকে জোর করে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তারা সাপটির গায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। ভিডিওতে শোনা যায় কেউ বলছেন, মারো বাড়ি (আঘাত করো)।’
পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের আরেক সদস্য খোর্শেদ আলম বলেন, ‘গিয়ে দেখি মৃত সাপটি প্রায় ৭৫ শতাংশ পচে গেছে। শেষ বারের মতো খাওয়া বুনো শূকরের হাড় দেখা যাচ্ছে। এখানে এসে যা দেখলাম তাতে মনে হচ্ছে না সাপটি এমনি মারা যায়নি। এখানকার পরিবেশ বলছে, এটা পরিকল্পিতভাবে মারা হয়েছে।’
সাপ গবেষক বোরহান বিশ্বাস রুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের এই অঞ্চলে যে অজগরগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো হলো বর্মিজ পাইথন। এরা কোনোভাবে মানুষ কিংবা গরুর মতো প্রাণী খাওয়া সম্ভব না। সাপ যখন খাবার খায় তখন হজম করার জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় নিবে। খাবার যদি একটু বড় সাইজের হয়, তখন অজগরের জন্য কোনো কোনো সময় ৫ থেকে ৬ দিনও সময় লাগতে পারে হজম করার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘বন্য শূকরের স্বাভাবিক খাবারের চেয়ে সাইজে একটু বড় হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মানুষ যদি তাকে বিরক্ত করে তাহলে সাপ বমি করার চেষ্টা করে এবং মারা যেতে পারে। এই সাপটাকে আঘাত করা হয়েছে এটা স্পষ্ট। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সাপের পেটে খাবার থাকায় সে পালাতে পারেনি। এটা সাপের জন্য খুব নাজুক অবস্থা।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণভাবে যে কোনো প্রাণী মারা গেলে মাটি ছাপা দেওয়া পরিবেশ-প্রকৃতি এবং ওই এলাকায় বসবাসরত মানুষের জন্য ভালো।’
জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাপটি মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ডিএফও স্যারকে জানানো হয়। উনি যেভাবে বলেছেন, সেভাবে কাজ করেছি। তবে সাপটি কীভাবে মারা গেছে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রটোকল ডিউটিতে সিলেটে ছিলাম। বিট অফিসার গিয়েছিলেন। সাপটিকে মারা হয়েছে এমন কোন তথ্য পাইনি। বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডি হয়েছে, তদন্ত চলছে।’
লাঠিটিলা বনের বিট কর্মকর্তা রুমিজ্জামান হোসেন বলেন, ‘৫ তারিখ গিয়েছিলাম। সাপটির শরীরের কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখিনি। মাটিচাপা ওয়ার্ল্ড লাইফের কাজ, আমাদের নয়।’
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় বিট অফিসার আমাদের জানিয়েছে প্রাকৃতিক কারণে বা ওভার হিটিংয়ের কারণে সাপটি মারা গেছে। আমার কাছে যে ছবি পাঠানো হয়েছে, তা দেখে মনে হয়েছে ওভার হিটিং এর কারণে সাপটি মারা যেতে পারে। সাধারণত সাপকে মারা হলে থেঁতলে যায়। ছবিতে এ রকম কিছু চোখে পড়েনি। তবে বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডি হয়েছে। সাপটিকে যদি পিটিয়ে মারা হয়, তাহলে থানায় নিয়মিত মামলা হবে। মাটিচাপা দেওয়ার কথা। এটাতো সিলেট বন বিভাগের অধীনে, আমাদের না।’
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. তৌফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অধীনে তো সবই কিন্তু বন্যপ্রাণীর বিষয়গুলো তো ওয়ার্ল্ড লাইফের। অসুবিধা নাই আমি বিট অফিসারকে বলে দিচ্ছি।’
রাজধানী ঢাকার যানজট কমাতে নেওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) এই প্রকল্পের ঠিকাদারদের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা অবসানের পর শুরু হচ্ছে নতুন ধাপ, এতে গুরুত্ব দেওয়া হবে পান্থকুঞ্জ থেকে বুয়েট পর্যন্ত অংশ।
১ মিনিট আগেথানা হলো জনসাধারণকে সেবা প্রদানের মূল কেন্দ্রস্থল। পুলিশের কাজ হচ্ছে জনগণকে সেবা দেওয়া। আমরা সম্মানিত নগরবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। থানায় আসা একজন ব্যক্তিও যেন সেবা বঞ্চিত না হন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে...
৬ মিনিট আগেঢাকার ধামরাইয়ে তিন দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুর এলাকার গ্রাফিক্স টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় অবরোধস্থলের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
৯ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে খালের পানিতে ডুবে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১০ ঘণ্টা আগে