নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
চিনি ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অপরাধের সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর শাখা কমিটি বিলুপ্ত করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ। আজ শুক্রবার এই দুই ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখা এবং বিয়ানীবাজার পৌর শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অপরাধ করলে বিচার হবেই, কথা হচ্ছে দু-একজনের দায়ভার সবাইকে নিতে হলো। দীর্ঘ ২০-৩০ বছর পর কমিটি হয়েছিল বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌরসভার, সেই কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তদের উচিত ছিল এই দায়িত্ব আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে পালন করার। আমি আশা করব, ভবিষ্যতে সবাই নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন এবং সকল ধরনের অপকর্ম থেকে নিজে এবং নিজেদের কর্মীদের বিরত রাখতে সক্ষম হবেন, এটি কিন্তু সকলের জন্যই সতর্কবার্তা। সময়োপযোগী ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জানাই।’
এর আগে গত ৮ জুন বিয়ানীবাজারে সরকারি নিলামে কেনা ‘২৪ লাখ টাকার চিনি’ চিনি গোদামে নিয়ে আসার পথে লুট করে নিয়ে যায় একদল ছিনতাইকারী। এই ঘটনাতেও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নাম উঠে আসে। এরই মধ্যে এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ১১ জনের নামে মামলা হয়েছে। ৮০ বস্তা চিনি উদ্ধারের পাশাপাশি পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক-সহসভাপতির ৬ মিনিট ২ সেকেন্ডের ফোনালাপ ভাইরালও হয়েছে।
সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার এই ফোনালাপে চিনিকে তারা ‘মাল’ হিসেবে অভিহিত করছেন। কথোপকথনে জড়িত হিসেবে নাম এসেছে উপজেলা, পৌর ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাদের। ছিনতাই পরবর্তী কে কত বস্তা চিনি নিয়েছেন, তাও অডিও রেকর্ডে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনা থেকে রেহাই পেতে একজন অপরজনের সহায়তা চেয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করছেন। কীভাবে মামলা থেকে বাঁচা যায়, তাও তাদের আলোচনায় স্থান পেয়েছে। ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের নিজেদের কথোপকথনে ওঠে এসেছে সংশ্লিষ্ট অনেকের নাম। চিনি ছিনতাই এবং ফোনালাপ ভাইরাল হওয়ার ঘটনার আলোচনা এখন সিলেটবাসীর মুখে মুখে।
শুধু এখানেই শেষ নয়, চিনি ছিনতাই পরবর্তী এর মালিক বদরুল ইসলামকে মামলা না দিতে কারা ভয়ভীতি দেখিয়েছেন, কারা বিষয়টি প্রভাবিত করতে চেয়েছেন কিংবা সমঝোতার নামে নাটক করেছেন কারা-তাও ভয়েস রেকর্ডে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। নিজেদের মধ্যে আলোচনায় সাগর, তাহমিদ, মুন্না, জুনেদ, সাব্বির, রুবেল, সালা উদ্দিন, সাকেল, নাবিলসহ চিনি ভাগাভাগিতে কারা ছিলেন তাদের নাম প্রকাশ পেয়েছে।
কথোপকথনের একপর্যায়ে একজন অন্যজনকে বলছেন, ‘ছোট গাড়ি অইলে খাইলিলে অসুবিধা আছিলনা। বড় গাড়ি হওয়ায় সমস্যা অই গেছে। তা ছাড়া সিএনজি ফোরষ্ট্রোকে বোঝাই করে চিনি নিয়ে যায় ছাত্রলীগ কর্মীরা।’ তাঁরা এও বলছেন, ‘৪০০ বস্তা চিনি থেকে যদি ২০০-২৫০ বস্তা ফিরিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে আপাতত বাঁচা যাবে।’
মামলায় কোন আসামির নাম থাকবে আর কার নাম বাদ যাবে তাও বিয়ানীবাজার থানার ওসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে রেকর্ডে ফাঁস হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সুমন নামের একজনের নামও মধ্যস্থতায় এসেছে। সিলেট শহরে ৮০-১০০ বস্তা চিনি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই চিনি কার কাছে গেছে তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
চিনির মালিক বদরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, ভিডিও ফুটেজ এবং কথোপকথনের এমন রেকর্ড থাকার পরও পুলিশ প্রকৃত আসামিদের মামলা থেকে বাদ দিয়েছেন। বর্তমান মামলায় ভয়েস রেকর্ডে যাদের নাম এসেছে, তাদের সবাইকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তিনি অবিলম্বে আত্মস্বীকৃত ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
বদরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় চারখাই বাজারে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত কয়েক দিনে তিনি সরকারের বিধি অনুযায়ী, বিভিন্ন স্থান থেকে ১ হাজার ৪৭৭ বস্তা চিনি নিলামের মাধ্যমে ক্রয় করেন। ওই চিনি থেকে ৪০০ বস্তা চিনি তিনি জনৈক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন। শনিবার দুপুরে একটি ট্রাক বোঝাই করে বিক্রীত চিনি অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। তিনি অভিযোগ করেন, ১৫-১৬ জনের ছিনতাইকারী চক্র একটি প্রাইভেটকার, ৪টি মোটরসাইকেল এবং একটি পিকআপ নিয়ে চিনি বোঝাই ট্রাকের গতিরোধ করে। ছিনতাই হওয়া চিনির বাজার মূল্য প্রায় ২৪ লাখ টাকা। ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ জানায়, ছিনতাই ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ৮০ বস্তা চিনি, একটি পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-ঠ ১১০৭০৯) উদ্ধার ও এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানার হোসাইনপুর গ্রামের (বর্তমানে পৌরশহরের দাসগ্রাম লিচুটিলা ছাত্তার মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া) মো. খলিল মিয়ার ছেলে মো. লিটন মিয়া (২৬) ও মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা শাহবাজপুর এলাকার বোবারতল গ্রামের (বর্তমানে সুপাতলা) মোস্তফা উদ্দিনের ছেলে হাসান (২১)। এর মধ্যে লিটন পেশাদার অপরাধী। তাঁর বিরুদ্ধে বিয়ানীবাজার থানায় ডাকাতির আরও মামলা আছে।
ফোনালাপে ‘মামলায় কোন আসামির নাম থাকবে, আর কে বাদ যাবে তাও থানার ওসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’ এমন কথার বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাদী এজাহার অনুযায়ী মামলা হয়েছে। এসব মিথ্যা কথা। ফোনালাপসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে যাদের নাম আসছে, সব কটি নাম আমরা নোট করছি। সবাইকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি আওতায় আসবে।’
চিনি ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অপরাধের সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর শাখা কমিটি বিলুপ্ত করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ। আজ শুক্রবার এই দুই ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখা এবং বিয়ানীবাজার পৌর শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘অপরাধ করলে বিচার হবেই, কথা হচ্ছে দু-একজনের দায়ভার সবাইকে নিতে হলো। দীর্ঘ ২০-৩০ বছর পর কমিটি হয়েছিল বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌরসভার, সেই কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তদের উচিত ছিল এই দায়িত্ব আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে পালন করার। আমি আশা করব, ভবিষ্যতে সবাই নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন এবং সকল ধরনের অপকর্ম থেকে নিজে এবং নিজেদের কর্মীদের বিরত রাখতে সক্ষম হবেন, এটি কিন্তু সকলের জন্যই সতর্কবার্তা। সময়োপযোগী ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জানাই।’
এর আগে গত ৮ জুন বিয়ানীবাজারে সরকারি নিলামে কেনা ‘২৪ লাখ টাকার চিনি’ চিনি গোদামে নিয়ে আসার পথে লুট করে নিয়ে যায় একদল ছিনতাইকারী। এই ঘটনাতেও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নাম উঠে আসে। এরই মধ্যে এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ১১ জনের নামে মামলা হয়েছে। ৮০ বস্তা চিনি উদ্ধারের পাশাপাশি পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক-সহসভাপতির ৬ মিনিট ২ সেকেন্ডের ফোনালাপ ভাইরালও হয়েছে।
সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার এই ফোনালাপে চিনিকে তারা ‘মাল’ হিসেবে অভিহিত করছেন। কথোপকথনে জড়িত হিসেবে নাম এসেছে উপজেলা, পৌর ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাদের। ছিনতাই পরবর্তী কে কত বস্তা চিনি নিয়েছেন, তাও অডিও রেকর্ডে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনা থেকে রেহাই পেতে একজন অপরজনের সহায়তা চেয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করছেন। কীভাবে মামলা থেকে বাঁচা যায়, তাও তাদের আলোচনায় স্থান পেয়েছে। ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের নিজেদের কথোপকথনে ওঠে এসেছে সংশ্লিষ্ট অনেকের নাম। চিনি ছিনতাই এবং ফোনালাপ ভাইরাল হওয়ার ঘটনার আলোচনা এখন সিলেটবাসীর মুখে মুখে।
শুধু এখানেই শেষ নয়, চিনি ছিনতাই পরবর্তী এর মালিক বদরুল ইসলামকে মামলা না দিতে কারা ভয়ভীতি দেখিয়েছেন, কারা বিষয়টি প্রভাবিত করতে চেয়েছেন কিংবা সমঝোতার নামে নাটক করেছেন কারা-তাও ভয়েস রেকর্ডে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। নিজেদের মধ্যে আলোচনায় সাগর, তাহমিদ, মুন্না, জুনেদ, সাব্বির, রুবেল, সালা উদ্দিন, সাকেল, নাবিলসহ চিনি ভাগাভাগিতে কারা ছিলেন তাদের নাম প্রকাশ পেয়েছে।
কথোপকথনের একপর্যায়ে একজন অন্যজনকে বলছেন, ‘ছোট গাড়ি অইলে খাইলিলে অসুবিধা আছিলনা। বড় গাড়ি হওয়ায় সমস্যা অই গেছে। তা ছাড়া সিএনজি ফোরষ্ট্রোকে বোঝাই করে চিনি নিয়ে যায় ছাত্রলীগ কর্মীরা।’ তাঁরা এও বলছেন, ‘৪০০ বস্তা চিনি থেকে যদি ২০০-২৫০ বস্তা ফিরিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে আপাতত বাঁচা যাবে।’
মামলায় কোন আসামির নাম থাকবে আর কার নাম বাদ যাবে তাও বিয়ানীবাজার থানার ওসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে রেকর্ডে ফাঁস হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সুমন নামের একজনের নামও মধ্যস্থতায় এসেছে। সিলেট শহরে ৮০-১০০ বস্তা চিনি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই চিনি কার কাছে গেছে তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
চিনির মালিক বদরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, ভিডিও ফুটেজ এবং কথোপকথনের এমন রেকর্ড থাকার পরও পুলিশ প্রকৃত আসামিদের মামলা থেকে বাদ দিয়েছেন। বর্তমান মামলায় ভয়েস রেকর্ডে যাদের নাম এসেছে, তাদের সবাইকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তিনি অবিলম্বে আত্মস্বীকৃত ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
বদরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় চারখাই বাজারে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত কয়েক দিনে তিনি সরকারের বিধি অনুযায়ী, বিভিন্ন স্থান থেকে ১ হাজার ৪৭৭ বস্তা চিনি নিলামের মাধ্যমে ক্রয় করেন। ওই চিনি থেকে ৪০০ বস্তা চিনি তিনি জনৈক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন। শনিবার দুপুরে একটি ট্রাক বোঝাই করে বিক্রীত চিনি অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। তিনি অভিযোগ করেন, ১৫-১৬ জনের ছিনতাইকারী চক্র একটি প্রাইভেটকার, ৪টি মোটরসাইকেল এবং একটি পিকআপ নিয়ে চিনি বোঝাই ট্রাকের গতিরোধ করে। ছিনতাই হওয়া চিনির বাজার মূল্য প্রায় ২৪ লাখ টাকা। ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ জানায়, ছিনতাই ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ৮০ বস্তা চিনি, একটি পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-ঠ ১১০৭০৯) উদ্ধার ও এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানার হোসাইনপুর গ্রামের (বর্তমানে পৌরশহরের দাসগ্রাম লিচুটিলা ছাত্তার মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া) মো. খলিল মিয়ার ছেলে মো. লিটন মিয়া (২৬) ও মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা শাহবাজপুর এলাকার বোবারতল গ্রামের (বর্তমানে সুপাতলা) মোস্তফা উদ্দিনের ছেলে হাসান (২১)। এর মধ্যে লিটন পেশাদার অপরাধী। তাঁর বিরুদ্ধে বিয়ানীবাজার থানায় ডাকাতির আরও মামলা আছে।
ফোনালাপে ‘মামলায় কোন আসামির নাম থাকবে, আর কে বাদ যাবে তাও থানার ওসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’ এমন কথার বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাদী এজাহার অনুযায়ী মামলা হয়েছে। এসব মিথ্যা কথা। ফোনালাপসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে যাদের নাম আসছে, সব কটি নাম আমরা নোট করছি। সবাইকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি আওতায় আসবে।’
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫ আগস্টের চার দিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চার দিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর আত্মীয়স্বজন। তাঁর বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কি না, সেটি জনগণের ওপর নির্ভর করবে...
১৪ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভাড়াটিয়া মাবিয়া চার লাখ টাকার চুক্তিতে গৃহবধূ সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে মাবিয়া চুক্তি করা অটোভ্যানচালক সুমন রবিদাসকে টাকা দেননি।
৩১ মিনিট আগেপাঁচটি গ্রাম ঘেঁষে সরকারি জলাশয় ডাহার বিল। যুগ যুগ ধরে এ বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন জেলেরা। এ ছাড়া দেশীয় মাছ ধরে আমিষের চাহিদা মেটাত এসব গ্রামের মানুষ। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার পৌর এলাকার শালঘরিয়াসহ পাঁচ গ্রামের ৬২ বিঘা খাস জলাশয় ডাহার...
৩৬ মিনিট আগেবিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটা জোরের জায়গা। আমরা আগামী সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০টি প্রকল্পের জন্য টেন্ডার আহ্বান করবো। আমাদের বিদ্যুতের যে সমস্যা এটি বিদ্যুতের সমস্যা না...
১ ঘণ্টা আগে