কমলগঞ্জে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায় 

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬: ১২
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬: ২৫

মৌলভীবাজার কমলগঞ্জে শুষ্ক মৌসুম এলেই কৃষিজমির টপ সয়েল বা ওপরের অংশের উর্বর মাটি কেটে নেওয়া হয় ইটভাটায়। এক্সকাভেটরের মাধ্যমে এসব টপ সয়েল কেটে ইটভাটায় নেওয়া হয়। ফলে ফসলি জমির উর্বরতা হারাচ্ছে। এতে একদিকে যেমন ফসল উৎপাদন কম হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। 

উপজেলার শমশেরনগর, রহিমপুর, মুন্সীবাজার ও পতনঊষার ইউনিয়নে দেখা যায়, এক্সকাভেটরের মাধ্যমে ট্রাক ও ট্রাক্টরে ফসলি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন ভাটায় নেওয়া হচ্ছে। এসব মাটি দিয়ে বানানো হচ্ছে ইট। 

স্থানীয়রা জানান, ভাটার মালিকেরা স্বল্প টাকার বিনিময়ে প্রতিবছর বিভিন্ন জমির মালিকদের থেকে জমির উপরিভাগের মাটি কেনেন। আর জমির মালিকেরা টাকার লোভে পড়ে মাটি বিক্রি করেন। যে জমি থেকে মাটি কাটা হয়, সে জমিতে আগের মতো আর ফসল উৎপাদন হয় না। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফসলি জমির মালিক বলেন, ‘ইটভাটায় মাটি বিক্রি করেছি। মাটি বিক্রির কারণে জমির ফসল কিছুটা কম উৎপাদন হয়।’ 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, জমির টপ সয়েল যদি কেটে ফেলা হয়, তাহলে জমির উর্বরশক্তি অনেকটা কমে আসে। ফসল উৎপাদনে মাটির যে প্রধান উপাদান প্রয়োজন, এগুলো জমির উপরিভাগের মধ্যে রয়েছে। ইটভাটায় জমির যে অংশ নেওয়া হয় এগুলো ফসল উৎপাদনের জন্য ক্ষতিকর। 

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রইছ আল রিজওয়ান বলেন, যারা ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ভাটায় নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মৌলভীবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, মাটি ও বালি আইনে টপ সয়েল কাটার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন বা জেলা প্রশাসক দেখেন। ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। ইটভাটার বিভিন্ন বিষয় আমরা দেখলেও এ বিষয়টি মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইনের সংশ্লিষ্টরা দেখেন। আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত