আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বেশ কিছু এলাকা। এত পানি এই অঞ্চলের মানুষ আগে কখনো দেখেনি। বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। মানুষ আশ্রয় নেয় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে। বন্যার পানি কমতে শুরু করায় বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে। নেমেছেন নতুন করে সংসার গোছানোর যুদ্ধে। এরই মধ্যে এসে গেছে ঈদুল আজহা। কিন্তু এই অঞ্চলের মানুষের মনে নেই ঈদের আনন্দ। বানের জলে ভেসে গেছে সব খুশি। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
শাল্লা (সুনামগঞ্জ) : পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র একদিন। ঈদের আনন্দ থাকার কথা সবার মনে। কিন্তু সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলাবাসী মনে ঈদের আনন্দ নেই। সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। বানভাসিরা এখন ঘরে ফেরার যুদ্ধে নেমেছেন।
এবারের বন্যায় শাল্লা উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী ছিল। হাওরে পানি কমতে থাকলেও বেশির ভাগ বাড়ি এখনো পানির নিচে। তাই দুর্ভোগে দিন কাটছে হাওরবাসী। এই অবস্থায় ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। কথা হয় তাজপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পোলাপাইনরে কেমনে ভাত খাওয়াইমু ওই চিন্তাত আছি। আর ঈদের কাপড় তো ওখন আমার লাগি দুঃস্বপ্ন।’ আনন্দপুর গ্রামের হাসেম মিয়ার পরিবারের সদস্যসংখ্যা আটজন। তিন ছেলে আর তিন মেয়েকে নিয়ে তাঁর পরিবার। পরিবারের আয়ের উৎস হাওরের একমাত্র ফসল বোরো ধান। এই ধান চাষ করেই সারা বছর চলে তাঁদের। বিকল্প কোনো আয় নেই, নেই কোনো সহায়সম্পদ। প্রথম বন্যায় ফসল তলিয়ে যায়। আর এখনের বন্যায় ঘরের ধান ভেসে যায়। তাই অভাব অনটন থাকায় ঈদের কেনাকাটা নেই তাদের সংসারে।
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) : ‘রাত অইলে (হলে) ঘুম লাগে না সাপ ও আফালের ডরে (ঢেউয়ের ভয়ে)। পানি এইবার খুব আস্তে কমের (ধীর গতিতে কমছে)। আকাশ মেঘলা অইলে (হলে) আরও ডর (ভয়) করে, বৃষ্টিতে যদি আবারও পানি বাড়ে (বৃদ্ধি পায়)।’ কথাগুলো বলছিলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাকালুকি তীরবর্তী লামা মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা আছিবুন বেগম (৬২)। তিনি আরও বলেন, এবারের বন্যায় ঘরের ভেতর হাঁটুপানি প্রবেশ করায় ১২ দিন আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনি নিয়ে। ঘর থেকে পানি নেমে যাওয়ায় দুদিন ধরে বাড়িতে ফিরে এসেছেন। ঘরের সব পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। ঘরের মাটির মেঝে এবং বেড়াও নষ্ট। আয়-রোজগার বন্ধ। এখনো বাড়ির উঠোনে পানি। পানিতে জোঁক ও সাপ রয়েছে। রাত হলে পাহারা দিতে হয়।
জকিগঞ্জ (সিলেট) : ‘ঈদর চিন্তা বাদ দেউকা। বাছিয়া তাকলে আরও ঈদ পাইমু। ঈদর চিন্তা করিয়ার না। হুরুতা লইয়া এবলা খানো যাইমু কিতা খাইমু ইতার চিন্তা দায় রাইত গোম (ঘুম) অর না।’ কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার কোদালি গ্রামের গৃহবধূ মাজেদা খাতুন। শুধু মাজেদা নন, উপজেলা জুড়ে মানুষকে এ বছর এই রকম চিন্তায় ফেলেছে দ্বিতীয় দফা বন্যা। পানি নামায় কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও দুর্ভোগ কমেনি। নিজের ঘর-বাড়ির ধ্বংস চিত্র চিত্র দেখে মানুষের মাঝে চলছে বোবাকান্না। বন্যায় ভেসে গেছে জিনিসপত্র, ভেঙেছে অনেক স্বপ্ন।
ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার বেশ কিছু এলাকা। এত পানি এই অঞ্চলের মানুষ আগে কখনো দেখেনি। বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। মানুষ আশ্রয় নেয় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে। বন্যার পানি কমতে শুরু করায় বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে। নেমেছেন নতুন করে সংসার গোছানোর যুদ্ধে। এরই মধ্যে এসে গেছে ঈদুল আজহা। কিন্তু এই অঞ্চলের মানুষের মনে নেই ঈদের আনন্দ। বানের জলে ভেসে গেছে সব খুশি। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
শাল্লা (সুনামগঞ্জ) : পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র একদিন। ঈদের আনন্দ থাকার কথা সবার মনে। কিন্তু সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলাবাসী মনে ঈদের আনন্দ নেই। সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। বানভাসিরা এখন ঘরে ফেরার যুদ্ধে নেমেছেন।
এবারের বন্যায় শাল্লা উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী ছিল। হাওরে পানি কমতে থাকলেও বেশির ভাগ বাড়ি এখনো পানির নিচে। তাই দুর্ভোগে দিন কাটছে হাওরবাসী। এই অবস্থায় ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। কথা হয় তাজপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পোলাপাইনরে কেমনে ভাত খাওয়াইমু ওই চিন্তাত আছি। আর ঈদের কাপড় তো ওখন আমার লাগি দুঃস্বপ্ন।’ আনন্দপুর গ্রামের হাসেম মিয়ার পরিবারের সদস্যসংখ্যা আটজন। তিন ছেলে আর তিন মেয়েকে নিয়ে তাঁর পরিবার। পরিবারের আয়ের উৎস হাওরের একমাত্র ফসল বোরো ধান। এই ধান চাষ করেই সারা বছর চলে তাঁদের। বিকল্প কোনো আয় নেই, নেই কোনো সহায়সম্পদ। প্রথম বন্যায় ফসল তলিয়ে যায়। আর এখনের বন্যায় ঘরের ধান ভেসে যায়। তাই অভাব অনটন থাকায় ঈদের কেনাকাটা নেই তাদের সংসারে।
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) : ‘রাত অইলে (হলে) ঘুম লাগে না সাপ ও আফালের ডরে (ঢেউয়ের ভয়ে)। পানি এইবার খুব আস্তে কমের (ধীর গতিতে কমছে)। আকাশ মেঘলা অইলে (হলে) আরও ডর (ভয়) করে, বৃষ্টিতে যদি আবারও পানি বাড়ে (বৃদ্ধি পায়)।’ কথাগুলো বলছিলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাকালুকি তীরবর্তী লামা মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা আছিবুন বেগম (৬২)। তিনি আরও বলেন, এবারের বন্যায় ঘরের ভেতর হাঁটুপানি প্রবেশ করায় ১২ দিন আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনি নিয়ে। ঘর থেকে পানি নেমে যাওয়ায় দুদিন ধরে বাড়িতে ফিরে এসেছেন। ঘরের সব পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। ঘরের মাটির মেঝে এবং বেড়াও নষ্ট। আয়-রোজগার বন্ধ। এখনো বাড়ির উঠোনে পানি। পানিতে জোঁক ও সাপ রয়েছে। রাত হলে পাহারা দিতে হয়।
জকিগঞ্জ (সিলেট) : ‘ঈদর চিন্তা বাদ দেউকা। বাছিয়া তাকলে আরও ঈদ পাইমু। ঈদর চিন্তা করিয়ার না। হুরুতা লইয়া এবলা খানো যাইমু কিতা খাইমু ইতার চিন্তা দায় রাইত গোম (ঘুম) অর না।’ কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার কোদালি গ্রামের গৃহবধূ মাজেদা খাতুন। শুধু মাজেদা নন, উপজেলা জুড়ে মানুষকে এ বছর এই রকম চিন্তায় ফেলেছে দ্বিতীয় দফা বন্যা। পানি নামায় কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও দুর্ভোগ কমেনি। নিজের ঘর-বাড়ির ধ্বংস চিত্র চিত্র দেখে মানুষের মাঝে চলছে বোবাকান্না। বন্যায় ভেসে গেছে জিনিসপত্র, ভেঙেছে অনেক স্বপ্ন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৬ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেবগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
২ ঘণ্টা আগে