দখলমুক্ত হচ্ছে সিলেটের জল্লা জলাশয়, হবে বিনোদন কেন্দ্র

প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২১, ১৬: ২৮
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২১, ০৭: ৪৭

সিলেট: প্রায় দুই যুগ পর সিলেট নগরীর জল্লারপাড় এলাকার জল্লা জলাশয় উদ্ধারের পর সংস্কার কাজ শুরু করেছে সিটি করপোরেশন। জায়গাটি সংস্কার করে বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জল্লা জলাশয় দখলমুক্ত করার কাজের সূচনা করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

মেয়র বলেন, প্রায় পাঁচ একর জায়গায় জল্লা জলাশয় থাকলেও ক্রমান্বয়ে দখল, দূষণ এবং সংস্কারের অভাবে এটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছিল। জলাশয়টির আগের রূপ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি নগরীর মানুষদের জন্য বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে এটিকে ব্যবহার করতে চাই। স্থানীয়রা জলাশয়টির কোথাও মাটি ফেলে, কোথাও কলাগাছ লাগিয়ে এবং আবর্জনা ফেলে দখল করার প্রক্রিয়ায় ছিলেন।

মেয়র আরও বলেন, জলাশয় আইন না মেনে পরিবেশ ধ্বংস করা হচ্ছে। যার জন্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পরিবেশ। সে জন্য নগরীতে বসবাসকারীদের মধ্যে ঝুঁকিও বেড়েছে। অথচ জলাশয় নিয়ে আইন রয়েছে। সেই আইনে কোনো তোয়াক্কা না করেই জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। এবার আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। জলাশয়ের ক্ষতি করলেই সিসিক আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিব। একই সঙ্গে জল্লা জলাশয়ে অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ সরকারের জায়গা রয়েছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পর জল্লার জায়গা পুনরায় মাপ যোগ করার পর যথাযথ কাগজপত্র দেখে জায়গা আলাদা করার কাজ শুরু করবে সিসিক। সরকারের জায়গা হলে সরকার পাবে। আর ব্যক্তি কিংবা কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের জায়গা থাকলে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

জল্লা জলাশয় পরিষ্কার করার পর সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, জায়গাটি নগরবাসীর বিনোদনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে জল্লার কাজ শেষ হওয়ার পরপরই পাশে নির্মিত ওয়াকওয়ে উন্মুক্ত করা হবে। এখানে নিরাপত্তা জন্য সিসিকের সিসিটিভি ক্যামেরা, নিরাপত্তা দল ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে একটি ক্যাম্প বসানোর চিন্তা করা হচ্ছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান জানান, আপাতত জলজ উদ্ভিদগুলো অপসারণ করে খনন কাজ শুরু করা হয়েছে। জায়গা পরিমাপ করে দখলমুক্ত করার পাশাপাশি দখলদার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জলাশয়ের আগের রূপ ফিরিয়ে এনে এখানে নগরীর অন্যতম একটি বিনোদনকেন্দ্র করা হবে। পুরো কাজ শেষ করতে অন্তত দুই বছর সময় লাগবে।

পরিবেশবাদী সামাজিক সংগঠন ‘ভূমি সন্তান বাংলাদেশ’–এর সভাপতি আশরাফুল কবির জানান, স্থানীয়দের দখল ও দূষণে জল্লাপাড়ের এই জলাশয়টি দিন দিন সংকুচিত হয়ে আসছিল। নগর কর্তৃপক্ষ দখলমুক্ত করে এখানে মানুষের বিনোদনের ব্যবস্থা করছে। নগরীর অন্যান্য দিঘি ও জলাশয়গুলোকে পুনরুদ্ধার করতে সিটি করপোরেশনকে উদ্যোগ নেওয়া দাবি জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত