লাখাইয়ে আ.লীগ নেতাকে ভোট না দিলে তালাক দিয়ে এলাকাছাড়া করার হুমকি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৪, ২৩: ২৫
আপডেট : ১৯ মে ২০২৪, ২৩: ৪১

আগামী ২৯ তারিখ হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে উপজেলায় কয়েকটি সংঘর্ষ হয়েছে। এ অবস্থায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাহফুজুল আলম মাহফুজকে ভোট না দিলে তালাক দিয়ে এলাকাছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রজন্ম লীগের সাবেক নেতা হারুনুর রশীদ।
 
গত শনিবার (১৮ মে) রাতে উপজেলার বামৈ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী সভায় বক্তব্যে তিনি এই হুমকি দেন। এ সময় তিনি বক্তব্যে কুলাঙ্গার শব্দটিও ব্যবহার করেন। এই বক্তব্যের ভিডিয়ো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। 

ওই সভায় হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আমরা শুধু সতর্ক করে দিতে চাই, নির্বাচন ২৯ তারিখ শেষ হয়ে যাবে। যদি বামৈবাসী (মাহফুজুল আলমের গ্রাম) আপনাদের ভোট ঠিকমতো না পায়, তাহলে আপনাদেরও সঠিক হিসাব বুঝিয়ে দেব। এই নোয়াগাঁওয়ের ভোট যদি অন্য কোনো দিকে যায়, সঠিক হিসাব দেব।’
 
তিনি নোয়াগাঁওবাসীকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘থাকবেন আমাদের সঙ্গে, হাট-বাজার করবেন আমাদের বুকে, আর সংসার করবেন গিয়ে...(প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুশফিউল আলম আজাদের নোয়াগাঁও গ্রাম)...করাব। এটা হতে দেব না। আর যদি করেন, তাহলে একবারে তালাক দিয়ে আপনাদের বিদায় করে দেব। আপনারা মাহফুজ ভাইকে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিবেন।’

এ ব্যাপারে হারুনুর রশীদ চৌধুরীর মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করে নেটওয়ার্কের সমস্যার কথা বলে ফোন কেটে দেন। 

ওই নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ। তাঁর কাছে প্রজন্ম লীগের বক্তব্য সম্পর্কে মতামত জানতে চাইলে তাঁর এখন সময় নেই বলে মোবাইল ফোন রেখে দেন। 

শুধু বক্তব্য নয়, মাহফুজুল আলমের নিজের এলাকা হওয়ায় বামৈ ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের নিয়মিত হুমকি দেওয়া ও নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করছেন বলে অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ। 
 
মুশফিউল আলম বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য আমি নীরবে সহ্য করছি। ভোটার ও আমার সমর্থকদের হুমকি ও আরও কয়েকটি ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করব।’

লাখাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব বলেন, ‘আমি হুমকি দেওয়ার বিষয়টি জেনেছি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যদি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, তাহলে আমি ব্যবস্থা নেব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত