কুলাউড়ায় গণপিটুনিতে আহত যুবক মারা গেলেন হাসপাতালে

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯: ০৫
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯: ৩১

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় গণপিটুনিতে আহত অজ্ঞাত যুবক (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

গত শনিবার কুলাউড়ার ভাটেরা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে গণপিটুনির এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুলাউড়া থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে আজ সোমবার দুপুরে তাঁদের মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন ভাটেরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আবদুল কাইয়ুম এবং স্থানীয় আনসার মিয়া, আসুক মিয়া ও সুজন মিয়া।

এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল ইসলাম। তিনি জানান, নিহত ব্যক্তির পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তাঁর লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শনিবার রাতে ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল কাইয়ুমের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ঢুকে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা চুরির চেষ্টা চালায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন চুরির চেষ্টায় জড়িত সন্দেহে অজ্ঞাত এক যুবককে আটক করে মারধর করেন।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ভাটেরা অস্থায়ী ক্যাম্পের পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে আহত যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ওই যুবককে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশের ভাটেরা অস্থায়ী ক্যাম্পের এসআই মো. আলমগীর মিয়া বাদী হয়ে আবদুল কাইয়ুমসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে আজ দুপুরে মৌলভীবাজারের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত