শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
চারদিকে অথই পানি। কিছু দূর পরপর একখণ্ড উঁচু ভূমি। ছোট ছোট দ্বীপের মতো একেকটা গ্রাম। যেদিকে চোখ যায় যেন জলরাশি। চোখ মেললে দেখা যায়, সাপের ফণার মতো ঢেউ। আর ঢেউ ভেঙে ছুটে চলেছে ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো। এরই মাঝে উঁচু স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে একতলা ভবন। এ ভবনটিই শাল্লা উপজেলার সুখলাইন কমিউনিটি ক্লিনিক। যার আশপাশে শুধু পানি।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দরিদ্র মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ২০১৪ সালে এ কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়। ক্লিনিকের জন্য স্থানীয় ব্যক্তিরা জমি দান করেন। ভালো জমি না মেলায় তড়িঘড়ি করে পরিত্যক্ত ও অব্যবহৃত জমিতে ক্লিনিক তৈরি করা হয়। ফলে শুরু থেকেই ক্লিনিকে সেবা নিতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সুখলাইন কমিউনিটি ক্লিনিক গ্রাম থেকে আধা কিলোমিটার দূরের মাঠে অবস্থিত। যাতায়াতের জন্য নেই কোনো রাস্তা। ভবনের সিঁড়ি পর্যন্ত পানির নিচে রয়েছে। কক্ষে রয়েছে তালা ঝোলানো। সপ্তাহে ৬ দিন এটি খোলার নির্দেশ থাকলেও যাতায়াতের জন্য তা মানা হচ্ছে না। ছয় মাস খোলা থাকলেও বর্ষা আসলেই ক্লিনিকটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বাহাড়া সদর ইউনিয়নের প্রায় ৫টি গ্রামের মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
সুখলাইন গ্রামের বাসিন্দা সুমন দাস বলেন, শুষ্ক মৌসুমেও ক্লিনিকে যেতে কাদা মাড়াতে হয়। বর্ষা মৌসুমে তো কোনো কথাই নেই। চারদিকে শুধু পানি। তাতে দুর্ভোগও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বেশ কয়েকবার জানালেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেননি। সবাই আশ্বাস দিয়ে আসছেন।
দেবব্রত দাস বুলু নামে একজন বলেন, পানিতে ডুবে যাওয়ায় ও রাস্তাঘাট না থাকায় বর্ষায় এ কমিউনিটি ক্লিনিকটি খোলা হয় না। এই ক্লিনিকটি আঙ্গারুয়া, নওয়াগাঁও, হরিনগর ও সুখলাইন গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা। আশপাশে ভালো কোনো স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রও নেই। তাই নির্ভর করতে হয় কমিউনিটি ক্লিনিকের ওপর।
আঙ্গারুয়া গ্রামের পীযূষ শীল বলেন, ক্লিনিকে প্রাথমিক সেবা ও বিনা মূল্যে ওষুধ পাওয়া যায়। চিকিৎসকেরাও আসেন। কিন্তু রাস্তার অভাবে রোগীরা ক্লিনিকে যেতে পারেন না। ছোট নৌকায় ঢেউয়ে ডোবার আশঙ্কাও থাকে।
শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার বলেন, চলাচলের রাস্তা না থাকলে দুর্ভোগ হবে এটাই স্বাভাবিক। সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরাও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এ বিষয়ে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকার কোনো নিয়ম নেই।
চারদিকে অথই পানি। কিছু দূর পরপর একখণ্ড উঁচু ভূমি। ছোট ছোট দ্বীপের মতো একেকটা গ্রাম। যেদিকে চোখ যায় যেন জলরাশি। চোখ মেললে দেখা যায়, সাপের ফণার মতো ঢেউ। আর ঢেউ ভেঙে ছুটে চলেছে ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো। এরই মাঝে উঁচু স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে একতলা ভবন। এ ভবনটিই শাল্লা উপজেলার সুখলাইন কমিউনিটি ক্লিনিক। যার আশপাশে শুধু পানি।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দরিদ্র মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ২০১৪ সালে এ কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়। ক্লিনিকের জন্য স্থানীয় ব্যক্তিরা জমি দান করেন। ভালো জমি না মেলায় তড়িঘড়ি করে পরিত্যক্ত ও অব্যবহৃত জমিতে ক্লিনিক তৈরি করা হয়। ফলে শুরু থেকেই ক্লিনিকে সেবা নিতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সুখলাইন কমিউনিটি ক্লিনিক গ্রাম থেকে আধা কিলোমিটার দূরের মাঠে অবস্থিত। যাতায়াতের জন্য নেই কোনো রাস্তা। ভবনের সিঁড়ি পর্যন্ত পানির নিচে রয়েছে। কক্ষে রয়েছে তালা ঝোলানো। সপ্তাহে ৬ দিন এটি খোলার নির্দেশ থাকলেও যাতায়াতের জন্য তা মানা হচ্ছে না। ছয় মাস খোলা থাকলেও বর্ষা আসলেই ক্লিনিকটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বাহাড়া সদর ইউনিয়নের প্রায় ৫টি গ্রামের মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
সুখলাইন গ্রামের বাসিন্দা সুমন দাস বলেন, শুষ্ক মৌসুমেও ক্লিনিকে যেতে কাদা মাড়াতে হয়। বর্ষা মৌসুমে তো কোনো কথাই নেই। চারদিকে শুধু পানি। তাতে দুর্ভোগও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বেশ কয়েকবার জানালেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেননি। সবাই আশ্বাস দিয়ে আসছেন।
দেবব্রত দাস বুলু নামে একজন বলেন, পানিতে ডুবে যাওয়ায় ও রাস্তাঘাট না থাকায় বর্ষায় এ কমিউনিটি ক্লিনিকটি খোলা হয় না। এই ক্লিনিকটি আঙ্গারুয়া, নওয়াগাঁও, হরিনগর ও সুখলাইন গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা। আশপাশে ভালো কোনো স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রও নেই। তাই নির্ভর করতে হয় কমিউনিটি ক্লিনিকের ওপর।
আঙ্গারুয়া গ্রামের পীযূষ শীল বলেন, ক্লিনিকে প্রাথমিক সেবা ও বিনা মূল্যে ওষুধ পাওয়া যায়। চিকিৎসকেরাও আসেন। কিন্তু রাস্তার অভাবে রোগীরা ক্লিনিকে যেতে পারেন না। ছোট নৌকায় ঢেউয়ে ডোবার আশঙ্কাও থাকে।
শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার বলেন, চলাচলের রাস্তা না থাকলে দুর্ভোগ হবে এটাই স্বাভাবিক। সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরাও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এ বিষয়ে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকার কোনো নিয়ম নেই।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৪ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৫ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে